2:37 pm , November 9, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেয়রনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘কারো নির্দেশনা এবং অর্থের জন্য যেন দূর্যোগ মোকাবেলা বা উদ্ধার কার্যক্রম থেমে না থাকে। চোখের সামনে কোন দূর্যোগ দেখা মাত্রই নিজের বুদ্ধি খাটিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন। এ ক্ষেত্রে যদি টাকার প্রয়োজন হয় সেটা নিজের পকেট থেকে খরচ করুন। পরবর্তীতে আপনাদের টাকা ফিরিয়ে দিয়ে হবে।
গতকাল শনিবার দুপুর ১টার দিকে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ মোকাবেলায় বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর এবং কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরী প্রস্তুতিমূলক সভায় সভাপতির বক্তব্যে মেয়র এ নির্দেশনা দিয়েছেন।
নগরীর সোহেল চত্ত্বরস্থ বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের এ্যানেক্স ভবনে অনুষ্ঠিত এই সভায় মেয়র আরও বলেন, ‘বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ৫, ৯, ১১, ১২, ২৪, ২৫ ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের অংশ বিশেষ নদীর তীরবর্তী। এ কারনে ওইসব এলাকার মানুষদের তৎসংলগ্ন নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যেতে সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলরদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তাদের এই কাজে সহযোগিতা করবে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, ছাত্র ও যুবলীগসহ সংশ্লিষ্টরা।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশঙ্কায় থাকা বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য পাশর্^বর্তী এলাকার সকল স্কুল-কলেজ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সার্বক্ষনিক খোলা রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিশেষ করে গর্ভবতী নারী, শিশু, প্রতিবন্ধি এবং বয়স্কদের বাধ্যতামুলকভাবে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসতে হবে। যাতে করে দুর্যোগ শুরু হলে তাদের কোন সমস্যা না হয়। পাশাপাশি গবাদী পশু, পাখি আশ্রয়ের জন্যও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মেয়র আরও বলেন, ‘দূর্যোগ মোকাবিলায় আমরা সকল প্রকার প্রস্তুতি হাতে নিয়েছি। বিশেষ করে আমাদের সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগ, পরিচ্ছন্নতা, বিদ্যুৎ ও পানি শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ২৪ ঘন্টা দায়িত্ব পালন করবেন। তাদের ছুটি বাতিল করে কর্মস্থলে নিয়ে আসা হয়েছে।
অপরদিকে প্রস্তুতিমূলক সভা পরিচালনা করা বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইসরাইল হোসেন বলেন, ‘আশ্রয়স্থল গুলোতে পর্যাপ্ত শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও স্যালাইনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিকল্প বিদ্যুৎ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে জেনারেটর, মোমবাতি ও মশা রোধে কয়েকের ব্যবস্থা রয়েছে। পাশাপাশি সিভিল সার্জন কার্যালয়ে ৫০ হাজার পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও খাবার স্যালাইন মজুদ রয়েছে। আরও ৫০ হাজার ট্যাবলেট সরবরাহ করা হচ্ছে।
এর পাশাপাশি সিটি কর্পোরেশনে একটি কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। যার প্রধান সমন্বয়কারী হিসেবে জনসংযোগ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এছাড়া চারজন চিকিৎসকের সমন্বয়ে পাঁচটি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। দূর্যোগ মোকাবেলায় শনিবার বাদ আসর নগরীর বিভিন্ন মসজিদে দোয়া- মোনজাত ও মন্দির এবং গীর্জাসহ ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থীনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।