3:08 pm , November 5, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ নগরীতে জুয়ার পাওনা টাকা নিয়ে দ্বন্ধে বন্ধুকে খুন করা যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে খুনী বন্ধু সুমনকে গ্রেপ্তার করে কোতয়ালী মডেল থানার পুলিশ। সুমন ওরফে লাইলী সুমন নগরীর ইসলামিয়া কলেজ সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা মকবুল হোসেনের ছেলে। তিনি পেশায় প্রাইভেটকার চালক।
কোতয়ালী মডেল থানার এসআই মোস্তাফিজুর রহমান জানান, হত্যাকান্ডের পর প্রাইভেটকার চালক সুমন পালিয়ে যায়। পরে পটুয়াখালী গিয়ে আত্মগোপন করে। গোপনে এ খবর পেয়ে থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. রাসেল ও ওসি (তদন্ত) আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি দল পটুয়াখালীতে অভিযান করে। সেখান থেকে সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, জুয়া খেলার পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধেরজেরে সোমবার বিকেল ৪টার দিকে নগরীর আমানতগঞ্জ কসাইবাড়ি পোল এলাকায় প্রকাশ্যে ধারালো চাকু দিয়ে বন্ধু রুহুল আমিনকে (২৬) কুপিয়ে হত্যা করে সুমন। নিহত রুহুল আমিন ভোলা সদর উপজেলার দিঘলদী এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে ও নগরীর উত্তর আমানতগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা শফিউল ইসলামের মেয়ে জামাই। রুহুল আমিন শ্বশুর বাড়িতে থেকে নগরীর বাজার রোডের একটি দোকানে কাজ করতেন। এ ঘটনায় নিহতের বাবা মোহাম্মদ আলী থানায় হত্যা মামলা করেছেন। নিহত রুহুল আমিন ও সুমনের ঘনিষ্ঠজনরা জানান, রুহুল আমিন ও সুমন একসঙ্গে চলাফেরা করত। তারা মোবাইলে লুডু খেলার মাধ্যমে জুয়া খেলত। খেলায় কয়েকবার হেরে যায় রুহুল আমিন। তার কাছে জুয়ার টাকা বাবদ ২৬ হাজার টাকা পেতেন সুমন। এ নিয়ে বিরোধের জেরেই এ হত্যাকা- ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল ৪টার দিকে রুহুল আমিন তার দুজন বন্ধুর সঙ্গে কসাইবাড়ি পুল সংলগ্ন পানি উন্নয়ন বোর্ডের পরিত্যক্ত ভবনের পাশে বসে ছিল। এ সময় সাইকেল চালিয়ে সেখানে আসেন সুমন। পাওনা টাকা নিয়ে তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সুমন তার কাছে থাকা ধারালো অস্ত্র (চাকু) বের করে রুহুল আমিনকে কুপিয়ে জখম করে। এ সময় তার সঙ্গে থাকা দুই বন্ধু পালিয়ে যায়। রুহুল আমিন দৌড়ে পাশের ঈদগাহ মাঠে গিয়ে পড়ে গেলে সেখানেও তাকে কোপায় সুমন। পরে সুমন ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেলে স্থানীয়রা রুহুল আমিনকে উদ্ধার করে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।