পেঁয়াজের কেজি ১২০ ঃ আরো বৃদ্ধির আশংকা পেঁয়াজের কেজি ১২০ ঃ আরো বৃদ্ধির আশংকা - ajkerparibartan.com
পেঁয়াজের কেজি ১২০ ঃ আরো বৃদ্ধির আশংকা

2:57 pm , November 3, 2019

সাঈদ পান্থ ॥ দেশে মিশর ও তুরষ্ক থেকে পেয়াজ আমদানী হলেও বরিশালে এখনো চলছে কেজি ১২০ টাকা। যদিও নগরীতে বিদেশী কোন পেঁয়াজ ছিল না রোববার। দেশী পেঁয়াজ পাইকারী বিক্রি হয়েছে প্রকারভেদে ৯০ থেকে ১০৫ টাকা কেজি দরে। তবে গত শনিবার পর্যন্ত এই দর ছিল ৯৫ থেকে ১১০ টাকা। আড়ৎদারদের দাবী ঢাকা ও চট্টগ্রামের চেয়ে বরিশালে কম দরে পেয়াজ বিক্রি হচ্ছে। তবে ঢাকা ও চট্টগ্রামে পেঁয়াজের দাম না কমলে বরিশালেও পেঁয়াজের দাম আরো একধাপ বৃদ্ধি পাবে। নগরীর পেয়াজপট্টিসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বিদেশী কোন পেঁয়াজ বাজারে নেই। দেশী পেঁয়াজ দুই প্রকারের পাওয়া যাচ্ছে। যা ৯০ টাকা ও ১০৫ টাকা দরে পাইকারী বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া খুচরা বিক্রেতারা এই পেঁয়াজই ১০৫ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে। যদিও গত মাসের প্রথম সপ্তাহে অতিরিক্ত মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি করার দায়ে ৩ আড়ৎদারকে ১২ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত। তখন অভিযানের পরপরই প্রতিকেজি পিয়াজ ৭০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। কিন্তু ধাপে ধাপে সেই পেঁয়াজ আবারো বৃদ্ধি পেয়ে ১২০ টাকায় দাড়িয়েছে। পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা বলেন, যে দামে তারা পেঁয়াজ কিনছেন, তার চেয়ে সামান্য লাভে বিক্রি করছেন। এখানে অতিরিক্ত দাম রাখা হচ্ছে না বলে দাবি তাদের। মূলত সীমান্ত সিন্ডিকেট এবং বড় ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধির পেছনে দায়ী বলে জানান তারা।নগরীর পেঁয়াজপট্টির পায়েল এন্টারপ্রাইজের মালিক এনায়েত হোসেন বলেন, ‘শনিবার থেকে আমাদের কাছে এলসি পেঁয়াজ নেই। দেশী পেঁয়াজ রয়েছে। যা কেজি চলছে ৯০ টাকা ও ১০৫ টাকা। তবে গত শনিবার আরো ৫ টাকা বেশী দামে বিক্রি হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘বরিশালের বাজারেই পেঁয়াজের দাম কম। ঢাকা ও চট্টগ্রামে দাম বেশী চলছে। তবে কাল ও পরশু ঢাকা ও চট্টগ্রামে দাম বেশী থাকলে আমাদেরও বেশী দামে পেঁয়াজ বিক্রি করতে হবে। নগরীর কালীবাড়ি রোডের খুচরা দেকানদার বাচ্চু হাওলাদার বলেন, ‘আমরা ১২০ টাকা দরে পেয়াজ বিক্রি করছি। আমাদের কেনাই পড়েছে ১১০ টাকা দরে। তারপর ঘাটতি দিয়ে পেয়াজ বিক্রি করতে হয়। অনেকে আরো বেশী দামেও পেয়াজ বিক্রি করছে বলে তিনি জানান। বরিশাল জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদফতর ও জেলা প্রশাসন জেলার বাজারগুলোতে মনিটরিং জোরদার করেছে। এর আগে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেও ৩ আড়ৎদারকে অর্থদন্ড প্রদান করেছে। বাজার নিয়ন্ত্রনে আনতে প্রয়োজনে আবারো অভিযান পরিচালনা করা হবে।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT