7:16 pm , May 29, 2018
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রনজিৎ কুমার রায় এর দুর্নীতির তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। এমনকি রনজিৎ কুমার ও তার স্ত্রী-সন্তানদের নামে থাকা অর্থ সম্পদের বিষয়েও তথ্য প্রমান সংগ্রহ করছে সংস্থাটি। এরই মধ্যে তাদের তিন জনের নামে কোন সম্পদ রয়েছে কিনা তা জানতে চেয়ে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে দুদক। গত ২১ মে দুদক’র সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এর সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা মো. আবদুল ওয়াদুদ স্বাক্ষরিত ওই চিঠি গতকাল মঙ্গলবার সিটি কর্পোরেশনে এসে পৌছেছে।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এর প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা’র বরাবর (স্বারক নং ০০.০১.২৬০০.৭০২.০১.০৩৫.১৮-২৯০৫) অভিযোগ অনুসন্ধানের স্বার্থে রেকর্ডপত্র/তথ্য সরবরাহ প্রসঙ্গে প্রেরিত ওই চিঠি সূত্রে জানাগেছে, বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রণজিৎ কুমার রায়। যিনি বর্তমানে রাজধানীর কাওরানবাজারে অবস্থিত যৌথমূলধন কোম্পানী ও ফার্মসমূহ’র অধিদপ্তরের উপ-নিবন্ধক হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি বরিশালের উজিরপুর উপজেলার রাজাপুর গ্রামের হরলাল রায় ও কুসুম রায় দম্পতির ছিলে।
রণজিৎ কুমার রায় এর বিরুদ্ধে অজ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে দুদক’র কাছে। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে রণজিৎ কুমার রায়, তার স্ত্রী শেলী হাওলাদার ও ছেলে প্রাস্ত রায় এর নামে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এর আওতায় কোন বাড়ি, প্লট, দোকান সহ অন্যান্য স্থাপনা বা সম্পত্তি আছে কিনা তা জানা প্রয়োজন। আগামী ৫ জুন সকাল ১০টার মধ্যে রণজিৎ কুমার রায় ও তার স্ত্রী-সন্তানের নামে উল্লেখিত কোন সম্পত্তি থাকলে তার বিস্তারিত তথ্যাদি দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এর সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা মো. আবদুল হয়াদুদ এর কাছে প্রেরনের জন্য বলা হয়েছে। এই চিঠি শুধুমাত্র বরিশাল সিটি কর্পোরেশনকেই নয়, ঢাকার মোহাম্মদপুর ইকবাল রোডে বসবাস করার সুবাধে সংশ্লিষ্ট ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষের কাছেও রণজিৎ কুমার রায়ের সম্পদ সম্পর্কে তথ্য জানতে চিঠি দেয়া হয়েছে।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের বেশ কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, রণজিৎ কুমার রায় বিসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা থাকাবস্থাতে সু-কৌশলে অনেক সম্পদের মালিক হয়েছেন। তিনি বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বিপুল পরিমান জমি এবং বিভিন্ন স্থানে প্লাট ক্রয় করেছেন। অবশ্য এসব সম্পদের বেশিরভাগই তার বাবা-মা কিংবা নিকট আত্মিয় স্বজনদের নামে ক্রয় করা। কিছু কিছু সম্পদ স্ত্রীর নামেও রয়েছে। সু-চতুর রণজিৎ কুমার রায় নিজের নামে কোন সম্পদ অর্জন করেননি বলেও সূত্র দাবী করেছে। যে কারনে তার নামে সিটি কর্পোরেশনে কোন হোল্ডিং নাম্বারও পাওয়া যাবে না। অবশ্য দুদকের তদন্তের কৌশলের কাছে রণজিৎ কুমার রায় এর অবৈধ সম্পদক বেরিয়ে আসতে পারে বলেও মনে করছেন তারা।