6:51 pm , May 25, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ ঈদ উপলক্ষে বরিশল-ঢাকা নৌ-রুটের ব্যক্তি মালিকানাধীন লঞ্চের বিশেষ সেবার কেবিনের জন্য আবেদন বা চাহিদাপত্র জমা নেয়া শুরু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া ওই আবেদন ১৫ রমজান পর্যন্ত নেয়া হবে। আবেদন জমা নেয়া হলেও কবে নাগাদ টিকিট দেয়া হবে তার সঠিক কোন দিনক্ষন জানায়নি লঞ্চ কতৃপক্ষরা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার থেকে কেবিনের আবেদন স্লিপ জমা নেয়া শুরুকরেছে ক্রিসেন্ট শিপিং লাইন্সের সুরভী লঞ্চ কর্তৃপক্ষ। যা চলবে ১০ রমজান পর্যন্ত। অপরদিকে ১০ রমজান থেকে ১৫ রমজান পর্যন্ত সুন্দরবন লঞ্চ কর্তৃপক্ষ কেবিনের আবেদন পত্র গ্রহন করবে। একইসময়ে এ্যাডভেঞ্চার লঞ্চ কর্তৃপক্ষও আবেদন গ্রহন করবেন। এ সংক্রান্ত নোটিশ সকল লঞ্চ কাউন্টারে টানিয়ে দেয়া হয়েছে। আবেদন বরিশাল ও ঢাকার স্ব-স্ব লঞ্চের কাউন্টারে জমা দিতে হবে। আবেদন করলেই হবে না। এক্ষেত্রে বাগ্যের সহায়তা পেতে হবে। ভাগ্যের উপর নির্ভর করছে কেবিনের টিকিট। বরিশাল-ঢাকা রুটের কীর্তনখোলা, পারাবাত, টিপু, কালাম খান, কামাল, ফারহানসহ বাকী লঞ্চ’র টিকিট আগে এলে আগে পাবেন ভিত্তিতে সরাসরি যাত্রীদের মাঝে বিক্রি করা হবে। তবে সরাসরি টিকিট বিক্রি লঞ্চ কতৃপক্ষ এ কার্যক্রম করে শুরু করবেন সঠিক কোন দিনক্ষন জানায়নি।
সুরভী লঞ্চের বরিশাল কাউন্টারের ইনচার্জ নাইমুল ইসলাম জানান, ঈদে ঢাকা থেকে আসা ও বরিশাল থেকে যাওয়ার কেবিনের টিকিটের জন্য আবেদন গ্রহন শুরু করা হয়েছে। আবেদন যাচাই-বাছাই করে যাত্রী সাধারণের মাঝে টিকিট বিক্রি করা হবে। টিকিট বিতরণের দিনক্ষন নির্ধারণ করা না হলেও যারা টিকিট পাবেন তাদের ফোনে জানিয়ে দেয়া হবে।
পারাবাত লঞ্চের ইনচার্জ মো. সেলিম আহমেদ জানান, তাদের লঞ্চে কেবিনের জন্য আবেদন গ্রহন করা হবে না। তবে নৌ-মন্ত্রনালয়, মালিক সমিতির ও বিআইডব্লিউটিএ এর যৌথ সভার পরে আগে এলে আগে পাবেন ভিত্তিতে লঞ্চের টিকিট বিক্রি শুরু হবে। সুন্দরবন নেভিগেশনের পরিচালক আকিদুল ইসলাম আকিজ জানান, আগামী ১০ রমজান থেকে ১৫ রমাজার পর্যন্ত তাদের লঞ্চের কেবিনের জন্য আবেদন গ্রহন করা হবে এবং যাচাই-বাছাই শেষে ৫ জুন থেকে যাত্রীদের মাধ্যে টিকিট বিক্রি শুরু হবে। চাহিদাপত্র নিয়ে যাচাই-বাছাইয়ের ফলে বিগত সময়েও যেমন টিকিট কালোবাজারির হাত থেকে রক্ষা করতে পেরেছেন এবারেও সেটি সম্ভব হবে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, কেবিনের থেকে চাহিদা কয়েকগুন বেশি থাকায় লটারীরর মাধ্যমে যাত্রীদের টিকিট দিতে হয়। এজন্য সবাই টিকিট যে পান এমনটাও নয়, তবে আমরা চাই সবাই যেন টিকিট পায় বাড়িতে আসতে পারে কর্মস্থলে ফিরতে পারে।