6:40 pm , May 22, 2018

রুবেল খান ॥ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযানের মধ্যেও ধরা ছোয়ার বাইরে রয়েছে নগরীর চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীরা। অভিযানের হাত থেকে বাঁচতে এসব মাদক ব্যবসায়ীরা আত্মগোপনে চলে গেছেন। অথচ দেশব্যাপী মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান শুরুর পূর্বেও মহানগরী সহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলের মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রনে ছিলো তারা। এদের মধ্যে ধরা পড়ার ভয়ে কেউ কেউ তাবলীগ জামায়াতে নাম দিয়েছে। আবার কেউ কেউ এক অঞ্চল ছেড়ে অন্য অঞ্চলে গাঁ ঢাকা দিয়েছে। তবে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, যে যেখানেই আত্মগোপন করুক না কেন, মাদকের গড ফাদারদের খুঁজে খুঁজে বের করে ধরে আনা হবে।
তথ্যানুসন্ধানে জানাগেছে, দীর্ঘ দিন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জোরালো অভিযান না থাকার সুযোগে মহানগরী এলাকায় মাদকের রাম রাজত্ব গড়ে তোলে দুই শতাধিক মাদক ব্যবসায়ী। যাদের মধ্যে রয়েছে মাদকের ডিলার এবং হোল সেলার। এরা মাঝে মধ্যে ধরা পড়লেও আইনের ফাঁক ফোকর দিয়ে বেরিয়ে আসে। শুরু করে দেয় মাদক রাজ্যের নিয়ন্ত্রন। শুধু তাই নয়, এসব মাদক মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে অনেকেই নিজেদের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সোর্স পরিচয় দিয়েও তাদের মাদক বানিজ্য জমিয়ে তোলে।
এদের মধ্যে রয়েছে নগরীর নথুল্লাবাদ এলাকাধীন জিয়া সড়কের বাসিন্দা ও ২২নং ওয়ার্ড যুবলীগ কর্মী তরিকুল ইসলাম রাজা। তিনি আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী। রাজার মাদক ব্যবসার সহযোগী হিসেবে রয়েছে সরজিৎ চন্দ্র রায় ওরফে সবুজ, মো. ফিরোজ, মাসুদ মোল্লা ও রফিকুল ইসলাম বাদশা। অবশ্য তাদের পেছনে মাদক ব্যবসার ইন্ধন জোগানোর অভিযোগ রয়েছে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। তার ইন্ধনেই সাপের বাক্সে করে কক্সবাজার থেকে ইয়াবার চালান বরিশালে পৌঁছে দেয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় ২০১৭ সালের ১৭ জুলাই রাতে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয় সর্পরাজ মান্না পাহাড়ীকে। ওই ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় সংরক্ষিত কাউন্সিলর রুপা ও রাজাসহ তাদের সহযোগিদের হাজত বাস করতে হয়েছে।
এছাড়া নগরীর চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকায় রয়েছে নগরীর নতুন বাজার এলাকার দম্পতি হারুন ও বেবী। এর মধ্যে একটি মাদক মামলায় বেবীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। কিন্তু উচ্চ আদালতে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল এবং জামিন নিয়ে জেল থেকে ছাড়া পায় ফেন্সিস¤্রাজ্ঞী বেবী। এর পর পরই পুনরায় শুরু হয় তার মাদক ব্যবসা। নগরীর নতুন বাজার এলাকাকে ফেন্সিডিল ও গাঁজার আতুড় ঘরে পরিনত করেছে বেবী। লোক চক্ষুর অন্তরালে থেকে প্রশাসনের কঠোর নজরদারীর মধ্যেও নতুন বাজার বগুরা ফাঁড়ি সংলগ্ন বস্তিতে মাদক বাজিন্য চালিয়ে যাচ্ছে বেবী। অবশ্য সূত্র জানিয়েছে, বেবীর মাদক ব্যবসা দেখভাল করছে তার ছেলে আরিফ। প্রশাসনের বিশেষ অভিযানের কারনে এরা বাইরে মাদক সরবরাহ করছে না। বরং নিজেদের ঘরে কিংবা প্রতিবেশী মাদক ব্যবসায়ী সহযোগিদের ধরের মধ্যেই বিক্রি করছে বেবী ও তার ছেলে আরিফ। তাছাড়া নতুন বাজারের অপর প্রান্তে মাদক ব্যবসা করছে বেবীর স্বামী ফেন্সি হারুন।
এক সময়ের আলোচিত মাদক ব্যবসায়ী সদর উপজেলার কাগাশুরা এলাকার বাসিন্দা ছত্তার সিকদার। যিনি আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সোর্স পরিচয় দিয়ে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলো। ইতিপূর্বে মাদকের চালান সহ গ্রেপ্তার হয় ছত্তার সিকদার। পরবর্তীতে মাদক ব্যবসা থেকে কিছুটা গোপনে চলে যায় সে। তবে বর্তমানে ছত্তার সিকদার তার সহযোগিদের দিয়ে মাদক ব্যবসা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
মাদক অধ্যুষিত এলাকা খ্যাত নগরীর বৃহত্তর কাউনিয়া এলাকা। এক সময় এই এলাকায় মাদক স¤্রাট হিসেবে পরিচিত ছিলো বিসিক বাবুল। তার বিরুদ্ধে একাধিক মাদকের মামলা রয়েছে। বাবুল নিজেকে প্রশাসনের সোর্স হিসেবে পরিচয় দিয়ে বেড়িয়েছে। অবশ্য বছর খানেক পূর্বে সে মাদক ব্যবসা থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেয় বলে দাবী করেছে পরিবারের স্বজনরা। তবু মাদক ব্যবসার অভিযোগে কাউনিয়া থানা পুলিশ আটক করেছে বিসিক বাবুলকে। তবে তার কাছ থেকে কোন মাদক দ্রব্য উদ্ধার করতে পারেনি বলে জানিয়েছে থানা পুলিশ।
বিসিক এলাকার অপর চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ছিলো সোহেল ওরফে তাঁত সোহেল। যার বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে ১০টির মত মামলা রয়েছে। ওইসব মামলার বোঁঝা মাথায় নিয়েই দেশ ত্যাগ করেছে তাঁত সোহেল। এতোগুলো মামলা থাকার পরেও তার পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন এবং বিদেশ যাওয়ার অনুমতির বিষয়টি নিয়ে বেশ কানাঘুষা চলছে সংশ্লিষ্ট মহলে। কিভাবে এতগুলো মাদক মামলার আসামি পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে দেশের বাইরে চলে গেছে এ নিয়ে সাধারণ মহলেও ক্ষোভ রয়েছে।
অপরদিকে কাউনিয়ার এক সময়ের চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী বাঁশ রফিক। অবশ্য সে বর্তমানে মাদক ব্যবসা করছে না বলে দাবী করেছে। একাধিক মাদক মামলার আসামী বাঁশ সোহেল রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছে বলে দাবী করেছে তার পরিবার।
এদিকে নগরীর নাজিরের পুল এলাকায় ফেন্সিডিল ও ইয়াবার বিশাল সিন্ডিকেট পরিচালিত হচ্ছে। এই সিন্ডিকের মুল হোতা হিসেবে উঠে আসছে নাজিরের পুল এলাকার বাসিন্দা ক্রস ফায়ারে নিহত শীর্ষ সন্ত্রাসী সুহাদের ভাই মুরাদের নাম। বিশাল সিন্ডিকের মাধ্যমে মুরাদ মাদক ব্যবসা করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এদিকে বরিশাল নগরী ও ঝালকাঠি জেলার তালিকাভুক্ত শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী সেন্টু। যাকে সম্প্রতি ঝালকাঠি থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বর্তমানে সে জেল হাজতে রয়েছে। তবে সেন্টুর অবর্তমানে তার মাদক সিন্ডিকেট পরিচালনা করছে তারই সহোদর শাহ আলম। নগরী ও ঝালকাঠিতে প্রশাসনের চোখে ফাঁকি দিয়ে ফেন্সিডিল, ইয়াবা ও গাঁজার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে শাহ আলম। অবশ্য শাহ আলমকে মাদক ব্যবসার সহযোগিতা করছে তারই পরিবারের সদস্যরা।
নগরীর কেডিসি এলাকার এক সময়ের আলোচিত মাদক স¤্রাট মালেক ওরফে গাঁজা মালেক। যার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মাদকের মামলা। অবশ্য বর্তমান সময়ে তিনি মাদক ব্যবসা করছে না বলে প্রচার করছে। কিন্তু তার মধ্যেই সম্প্রতি তার ভাগ্নে বুলবুলকে ইয়াবা সহ আটক করে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ। এর পূর্বে ২ কেজি গাঁজা সহ গ্রেপ্তার হয় কেডিসি’র চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী নাসিমা ও টুলটুলি। এদের মধ্যে মাদক স¤্রাজ্ঞি টুলটুলি গাঁজা মালেকের ভাগ্নি। তাদের এই দুই নারী মাদক স¤্রাজ্ঞির সাথে রয়েছে নাসির বেপারী নামের মাদক ব্যবসায়ী। যাকে ইতিপূর্বে আটক করে পুলিশ। মামা-ভাগ্নির মাদক সহ গ্রেপ্তার হওয়ার কারনে গাঁজা মালেকের মাদক ব্যবসা ছেড়ে দেয়ার প্রচারনাকে কৌশল হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। তাছাড়া সোমবার গাজা মালেকের অন্যতম সহযোগী পুলিশের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী আব্দুর রহমানকে আটক করেছে থানা পুলিশ।
এদের বাইরে কেডিসি এলাকার একাংশের মাদক নিয়ন্ত্রন করছে ওই এলাকার বাসিন্দা আলামীগর ওরফে ডাক্তার আলমগীর, জেলা ছাত্রলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদকের স্ত্রী লাবনী ও মাদক স¤্রাজ্ঞি তাসলি। এর মধ্যে সম্প্রতি লাবনীকে একটি মাদক মামলায় সাজা দিয়েছে আদালত। তাছাড়া সম্প্রতি গাঁজা সহ আটক হয় ডাক্তার আলমগীর। যিনি আদালত থেকে জামিনে ছাড়া পেয়েছে। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরই পুনরায় শুরু হয় ডাক্তার আলমগীরের মাদক ব্যবসা। তবে তাসলি মাদক ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছে বলে এলাকায় প্রচার করা হচ্ছে। এছাড়া গোটা বালুর মাঠ এলাকায় ইয়াবার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করছে মাসুম ওরফে লম্বা মাসুম ও ফরহাদের ছেলে বাবুল।
নগরীর ৯নং ওয়ার্ডের অধিনস্ত রসুলপুর চর কলোনীতেও রয়েছে অর্ধ ডজন মাদক ব্যবসায়ী। যার মধ্যে রয়েছে মৃত শামীম এর স্ত্রী শাহনাজ বেগম। যাকে ২০১৭ সালের ১৯ আগস্ট ৫ কেজি গাঁজা সহ আটক করে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ। বর্তমানে শাহনাজ এর মাদক বানিজ্য চলমান রয়েছে। অবশ্য এই এলাকার অপর শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে মনির হোসেন। তবে সম্প্রতি আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর বিশেষ অভিযানকে ঘিরে গাঁ ঢাকা দিয়েছে রসুল পুরের সকল মাদক ব্যবসায়ীরা।
এদিকে নগরীর রূপাতলী এলাকাতেও চলছে মাদকের রমরমা বানিজ্য। নগরীর দক্ষিণের জনপদে এই মাদক ব্যবসা পরিচালনা করছে নতুন ও পুরাতন ৬ মাদক ব্যবসায়ী। এরা হলো রূপাতলী বাস স্ট্যান্ড সংলগ্নের বাসিন্দা সোহেল। যার বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা রয়েছে। ২৫ নং ওয়ার্ডের উকিল বাড়ি সড়কের বাসিন্দা সহিদুল ও মনির ওরফে হাত কাটা মনির ইয়াবা বেচা-বিক্রির সাথে জড়িত বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে। তাছাড়া র্যাব-৮ সদর দপ্তর সংলগ্ন বাংলাদেশ বেতার সংলগ্নের বাসিন্দা মতিউর রহমান মতি ফেন্সিডিল এর ব্যবসা করছে। তার সহযোগী হিসেবে রয়েছে মিজান মাঝি। যারা দু’জনেই মোটর সাইকেলে ঘুরে ঘুরে নগরীতে ফেন্সিডিল সরবরাহ করছে। এদের মধ্যে ফেন্সিডিল ব্যবসায়ী মতিউর রহমান মতির বিরুদ্ধে রয়েছে মাদক মামলা। মাস কয়েক পূর্বে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ফেন্সিডিল সহ আটক হয় সে। জেল থেকে জামিনে বের হয়ে পুনরায় মাদক ব্যবসা চালাচ্ছে মতি। এর বাইরে উকিল বাড়ি সড়কের বাসিন্দা জুয়েল ও ২৫নং ওয়ার্ড বটতলা এলাকার মাদক ব্যবসায়ী আরিফ নিজ নিজ এলাকায় গাঁজার ব্যবসা করছে। যাদের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে পৃথক মামলা রয়েছে।
এছাড়া নগরীর বগুরা রোড মুন্সি গ্যারেজ এলাকায় রায়হান, ফয়সাল সম্প্রতি মাদক ব্যবসা শুরু করেছে। তারা সহজলভ্য মাদক দ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট এর ব্যবসা করছে বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে। তাছাড়া কাউনিয়ার ল্যাংরা জামাল, জালিয়াবাড়ির পুল এলাকার বাসিন্দা ও ভ্রাম্যমান মাদক ব্যবসায়ী চাচা জামাল, পশ্চিম কাউনিয়ার দুলাল মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে।
বৃহত্তর পলাশপুর ও মোহাম্মদ পুর এলাকা জুড়েও মাদকের বিশাল হাট বসছে। যার নেপথ্যে রয়েছে স্থানীয় হানিফ এর স্ত্রী মুন্নি, মোহাম্মদপুরের জনি, পলাশপুরের বালা সুমন, মান্না সুমন, গগণ গলির আল আমিন ওরফে আক্কা আলামীন। যিনি চায়ের দোকানের আড়ালে খুঁচরা মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে কাজ করছে। একই এলাকার নাগর হাওলাদার নামের যুবক মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পলাশপুর ২ নম্বর গলির বাসিন্দা শাহীন ও তার স্ত্রী মুন্নিও ইয়াবা ও গাঁজা ব্যবসার সাথে সম্পৃক্তার প্রমান মিলেছে। হাটখোলা হকার্স মার্কেট এলাকার মামুন। এদের মধ্যে মামুন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সোর্স পরিচয় দিয়ে মাদক ব্যবসা চালাচ্ছে। তবে মোহাম্মদপুর এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী পলাশ মাদক মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছে। তবে তার অবর্তমানে ওই এলাকায় তার মাদকের নেট নিয়ন্ত্রন করছে তার সহযোগিরা। এর বাইরে বর্তমানে ওই এলাকায় যারা মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মাদকের মামলাও রয়েছে।
এর বাইরে নগরীর বান্দ রোড এলাকার ঈদগাহ বস্তি, শিশু পার্ক বস্তি এবং শেবাচিম হাসপাতালের সামনে পানি উন্নয়ন বোর্ড কলোনী, হাসপাতালের পেছনে আলেকান্দা এলাকায় মনির নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে। নগরীর সাগরদী এলাকায় মাদকের বিশাল সিন্ডিকেট গড়ে ওঠেছে। যার নিয়ন্ত্রক হিসেবে একজন ওয়ার্ড কাউন্সিলরের সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া একই এলাকার কবি নজরুল ইসলাম সড়কে দীঘিরপাড়েও চলছে মাদকের রমরমা বানিজ্য। যার নেতৃত্ব দিচ্ছে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা পরিচয়ধারী উজ্জল। তার সহযোগী হিসেবে রয়েছে স্থানীয় হাসান ও রবি শীল। এদের মধ্যে রবি শীলকে সম্প্রতি পুলিশ আটক করে। কিছুদিন পূর্বে সে আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে পুনরায় দীঘির পাড় এলাকায় মাদক ব্যবসা পরিচালনা করছে বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে।
এদিকে বরিশাল মহানগর পুলিশের মুখপাত্র জানিয়েছেন, কোন মাদক ব্যবসায়িই ছাড় পাবে না। যারা মাদকের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে তাদের খুঁজে খুঁজে বের করে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে জানিয়ে নগর পুলিশের মুখপাত্র মো. নাসির উদ্দিন মল্লিক বলেন, মহানগরী এলাকায় ২৬৭ জন মাদক ব্যবসায়ীর তালিকা রয়েছে তাদের হাতে। যারা মধ্যে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী এবং গডফাদার রয়েছে। ডিবি ও মহানগরীর ৪ থানা পুলিশরে কাছে ও তালিকা পৌছে দেয়া হয়েছে। তালিকা অনুযায়ী মাদক ব্যবসায়ী ছাড়াও নতুন গজিয়ে ওঠা মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।