6:27 pm , May 18, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ টানা চার দিন পরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সহ সংশ্লিষ্ট এলাকার পানি সমস্যা সমাধান হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই হাসপাতালের প্রত্যেকটি ওয়ার্ড, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাসভবন, ছাত্র ও ছাত্রী নিবাস এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি পৌছে গেছে। গণপূর্ত বিভাগ মেডিকেল উপ-বিভাগের যান্ত্রিক বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ফিরোজ আলম সহ সংশ্লিষ্টরা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর পূর্বে গত রোববার শেবাচিম এলাকায় পানি সরবরাহ দেয়া মুল সাবমার্সিবল পাম্পের ভুগর্ভে থাকা পাইপ ফেটে যায়। যে কারনে পানি উত্তোলন বন্ধ ছিল। মুল ট্যাংকির পানি ফুরিয়ে যাওয়ায় সোমবার ভোর থেকেই হাসপাতাল সহ সংশ্লিষ্ট এলাকায় সংকট দেখা দেয়। সোমবার থেকেই গণপূর্ত বিভাগ পাইপ সংস্কারে কাজ শুরু করেন। টানা তিনদিনের প্রচেষ্টায় বুধবার সন্ধ্যায় পাইপ রিপিয়ারিং ও ভুগর্ভের কলম অপসারন পরবর্তী পাম্প চালু করা হয়। বুধবার সন্ধ্যায় পানি উত্তোলন শুরু হলেও তা সরবরাহ করতে দেরী হয়েছে।
হাসপাতালের রোগীরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তারা হাসপাতালের টয়লেট ও বাথরুমে পানি পেয়েছেন। এর আগেই পানি পেয়েছেন ডক্টর্স কোয়ার্টার, মেডিকেল কলেজ, ছাত্র ও ছাত্রী হোস্টেল এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেনির কোয়ার্টারের বসবাসকারিরা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিতে তারা তাদের গৃহে পানি পেয়েছেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে।
গনপূর্ত মেডিকেল উপ-বিভাগের যান্ত্রিক শাখার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. ফিরোজ আলম বলেন, গত পাঁচদিন পূর্বে পানি উত্তোলনের যে প্রধান সাবমার্সিবল পাম্পটি রয়েছে তার ভুগর্ভে থাকা পাইপ ফেটে গেছে। তা মেরামত করে বুধবার সন্ধ্যার পড়ে পাম্প চালু করা হয়।
তিনি বলেন, প্রথমে পানি তুলে প্রধান প্রধান টেংকি রিজার্ভ করা হয়ে। সেখান থেকে হাসপাতাল, বাসভবন, ছাত্রাবাস ও কলেজ’র ট্যাংকিতে পানি যায়। এর পর সেখান থেকে প্রত্যেকটি কলে পানি পৌছেছে। এজন্য কিছুটা সময় লেগেছে। কেননা হাসপাতালের মুল ট্যাংকি রিজার্ভ করতেই অনেক সময় লেগে যায় বলে দাবী করেন তিনি।