বৃষ্টি উপেক্ষা করে জমে উঠেছে ইফতারীর বাজার বৃষ্টি উপেক্ষা করে জমে উঠেছে ইফতারীর বাজার - ajkerparibartan.com
বৃষ্টি উপেক্ষা করে জমে উঠেছে ইফতারীর বাজার

6:21 pm , May 18, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ রমজানের প্রথম দিন থেকেই জমে উঠেছে নগরীর ইফতারীর বাজার। গতকাল বৃষ্টি উপেক্ষা করেই বাহারী ও মুখরোচক ইফতার সামগ্রী কিনতে পছন্দের দোকানে ভীর করে নগরীরর রোজাদার ও ভোজনরসিকরা।
নগরীর বিভিন্ন ইফতারীর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মানসম্পন্ন নানা রকমের ইফতার সামগ্রী বিক্রির প্রতিযোগিতা। তবে গুনগত মান ও নিজস্ব বৈশিষ্ট্য ধরে রেখে স্বাস্থ্যসম্মত ইফতার সরবরাহে এগিয়ে আছে নাজেম’স রেস্তোরা। এছাড়া নগরীর হান্ডি কড়াই, হুপারস, হট প্লেট, রিভার ক্যাফে, হোটেল আকাশ, রয়েল রেস্তোরা, গার্ডেন ইন রেস্তোরায় করা হয়েছে বাহারি ইফতারির আয়োজন। এছাড়াও নগরীর প্রতিটি এলাকার মোড়ে মোড়ে ছোট আকৃতির ইফতার সরবরাহের আয়োজন করেছে বিভিন্ন ব্যক্তি ও হোটেল রেস্তোরা মালিকরা।
গতকাল ইফতারির পূর্বে বগুড়া রোডে নাজেম’স রেস্তোরায় গিয়ে দেখা গেছে বিভিন্ন শ্রেণীর ক্রেতাদের উপচে পরা ভীর। এখানে দেশী ও শাহী খাবারের প্রায় ৩০টি আইটেম রয়েছে। এর মধ্যে নাজেম’স এর স্পেশাল ফিরনী ও শাহী জর্দ্দার চাহিদা সবচেয়ে বেশী। শাশ্রয়ী মূল্য ও স্বাদে অনন্য হওয়ায় অনেক দূর থেকেও ক্রেতারা এখানে আসছেন। রেস্তোরার প্রতিষ্ঠাতা অলহাজ্ব নাজেম আলীর ঐতিহ্যবাহী মোরগ-পোলাও, তেহেরী, কাচ্চি বিরিয়ানি ও হালিমের বিশেষ কদর রয়েছে ক্রেতাদের কাছে। এখানের তৈরী মাংসের মধ্যে মুরগীর মোসাল্লেম এবং খাসির রানের সাথে ফ্রি পরাটা এবং গরুর কালোভূনা খাবারে ভিন্ন স্বাদের মাত্রা যোগ করেছে বলে জানান ক্রেতারা।
এখানে ইফতারি নিতে আসা কলেজ শিক্ষক আব্দুল লতিফ জানান, প্রতি বছরই এখানে ইফতার সামগ্রী কিনতে আসেন তিনি। নাজেমস এর সামগ্রী প্রতিদিনই ইফতারের পূর্বেই শেষ হয়ে যায়, ফলে এখানে বাসী খাবারের কোন ভয় নেই । এছাড়া পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশ থাকায় এখানের খাবার স্বাস্থ্য সম্মত, মূল্যও তুলনামূলক কম।
নাজেম’স রেস্তোরার পরিচালক ফরিদুর রহমান রেজা জানান, নাজেম’স এর প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো ব্যতিক্রম আইটেম ও স্বল্পমূল্য। সকল শ্রেনী পেশার রোজাদারদের মানসম্পন্ন ইফতারি সরবরাহের কথা মাথায় রেখে আমরা প্রতিটি আইটেম সর্বনিন্ম মূল্যে সরবরাহ করার চেষ্টা করছি। এর মধ্যে ফিরনি ২৫ টাকা থেকে ২৪০ টাকা, শাহি জর্দ্দা ৫’শ গ্রাম ১০০ টাকা, হালিম ১৬০ টাকা, জিলাপি ১৪০ টাকায় বিক্রি করা হয়। মোরগ পোলাও (হাফ) ১৩০ টাকা, তেহেরী (হাফ) ১২০ টাকা, কাচ্চি বিরিয়ানি (হাফ) ১৬০ টাকায় বিক্রি করা হয়। এছাড়া চিকেন কাবাব ১০ টাকা, চিকেন পুলি ১০ টাকা, আলু ও বেগুনী পিয়াজু মাত্র ৫ টাকায় বিক্রি করা হয়। খাবার তৈরীতে বিশুদ্ধ তেল, উন্নত মানের মশলা ও উপকরন ব্যবহার করায় খাবারের স্বাদ আলাদা। ফলে কোন প্রচারনা ছাড়াই আমাদের এখানে ইফতারের পূর্বেই তৈরীকৃত ইফতারী শেষ হয়ে যায়।
এদিকে সদর রোডের হান্ডি কড়াইতে শাহী প্যাচ পরাটা ২০ টাকা, লাচ্ছী আধা লিটার ১০০ টাকা, পেস্তা শরবত ১০০ টাকা, তান্দুরী চিকেন ১০০টাকা, চিকেন ছাচলিক ৮০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। এ প্রতিষ্ঠানের জি এম মিলন মনোয়ার জানান এবার হান্ডি কড়াইয়ের নতুন সংযোজন চিকেন ড্রাম ষ্টিক । মুরগীর মাংশের চপের আদলে তৈরী এ খাবারের মূল্য প্রতি পিচ ৫০ টাকা । এছাড়া ৯ আইটেমের সেট মেন্যু ৩৭৫ টাকা এবং অপর একটি ১৪ আইটেমের সেট মেন্যু ২৭৫ টাকায় এখানে পাওয়া যাচ্ছে।
পুলিশ লাইন রোডের হট প্লেটে রেস্তোরায় রয়েছে কাবাবের বিভিন্ন আইটেমের ইফতার সামগ্রী। এর মধ্যে গ্রীল চিকেন, চিকেন চাপ, জালি কাবাব অন্যতম। প্রতিষ্ঠানটির মালিক কামরুল আহসান রুমী জানান, সার্বক্ষনিক গরম ও সতেজ খাবার এখান থেকে বিক্রি করা হয়। ইফতার সামগ্রীর পাশাপাশি ৫/৬ আইটেমের সেট মেন্যু ও ২৫ আইটেমের বুফে খাবার এখান থেকে সরবরাহ করা হচ্ছে ।
এছাড়া নগরীর পোর্ট রোড,বাংলা বাজার,বিবির পুকুর পাড়,সকাল সন্ধ্যা সুইটস সহ বিভিন্ন এলাকায় বসেছে রকমারী ইফতার সামগ্রীর বাজার । ছোলাবুট, বিভিন্ন ধরনের ডালের বরা , বেসন মিশ্রিত চপ, বোরহানি, জিলাপি ঝাল ও মিষ্টি জাতীয় খাবার স্থান পেয়েছে এসকল দোকানে।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT