6:18 pm , May 12, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) ও চার থানা পুলিশের টানা ৪১ দিনের পৃথক অভিযানে বিপুল পরিমান মাদক দ্রব্য, আগ্নেয় ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় আটক করা হয়েছে ডাকাত ও মাদক ব্যবসায়ী সহ ১২৫ জনকে। জব্দ করা হয়েছে আরো ৪টি মোটর সাইকেল। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় পৃথক পৃথক ভাবে ১০৮টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ১ এপ্রিল হতে ১১ মে পর্যন্ত মহানগরী এলাকায় এই আটক এবং উদ্ধার অভিযান পরিচালিত হয়। গতকাল শনিবার মহানগর পুলিশ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কমিশনার মো. মাহফুজুর রহমান সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন। দুপুরে নগরীর আমতলার মোড়ে পুলিশ কমিশনার এর অস্থায়ী কার্যালয়ের পঞ্চম তলার অনুষ্ঠিত এই সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সন্ত্রাস, মাদক ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স দেখিয়ে আসছে। তার পাশাপাশি মহানগর পুলিশও এসব অপরাধ নিয়ন্ত্রনের বিষয়টি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে। তারই অংশ হিসেবে গত ১ এপ্রিল থেকে মহানগরী এলাকায় ৪টি থানা ও গোয়েন্দা পুলিশের তৎপরতায় বিশেষ ঝটিকা অভিযান পরিচালিত হয়। এই অভিযানে গত ৪১ দিনে মোট দুই হাজার ৭৭৬ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ১৫২ অ্যাম্পুল জি-মরফিন ইনজেকশন, সাড়ে ৩ কেজি গাঁজা, ৩৫০ মিলি বিদেশী মদ, ৪ লিটার চোলাই মদ উদ্ধার করা হয়েছে।
এর পাশাপাশি ১টি বগি দা, ২টি দা, ১টি ছোড়া, ২টি চাকু, মাদক পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত ২টি মোটর সাইকেল এবং পরিত্যক্ত অবস্থায় আরো ২টি সহ মোট ৪টি মোটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়। এসময় গ্রেফতার করা হয়েছে ১২৫ জন মাদক ব্যবসায়ীকে। যাদেরকে ১০৭টি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের সোপর্দ করা হলে বিচারক তাদের জেল হাজতে প্রেরনের নির্দেশ দেন।
এছাড়া সর্বশেষ গত ১১ মে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে ১টি বিদেশী অটোমেটিক পিস্তল ও ৩ রাউন্ড কর্তুজ সহ এক ডাকাত সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় ডিবি পুলিশ বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, শুরু হওয়া নগর পুলিশের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। অপরাধী যেই হোক নাকেন কাউকেই ছাড় দেয়া হবে। বিশেষ করে মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে মহানগর পুলিশ কঠোর অবস্থানে থাকবে। তাই পুলিশের এই ধরনের কার্যক্রমে মিডিয়া সহ সংশ্লিষ্ট নগরবাসির সহযোগিতাও চান ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কমিশনার।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশেল উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মো. হাবিবুর রহমান খান, গোলাম রউফ খান (দক্ষিণ), উত্তম কুমার পাল (ট্রাফিক), মোয়াজ্জেম হোসেন ভূইয়া (ডিবি), মো. জাহাঙ্গীর মল্লিক (বিশেষ শাখা) ও খাইরুল আলম সহ পুলিশেল অন্যান্য উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।