অবৈধ মোটরযানের বিরুদ্ধে অভিযানে ১০ দিনে প্রায় সাত লাখ টাকা জরিমানা অবৈধ মোটরযানের বিরুদ্ধে অভিযানে ১০ দিনে প্রায় সাত লাখ টাকা জরিমানা - ajkerparibartan.com
অবৈধ মোটরযানের বিরুদ্ধে অভিযানে ১০ দিনে প্রায় সাত লাখ টাকা জরিমানা

6:16 pm , May 12, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ মহানগরী এলাকায় অবৈধ ও কাগজপত্র বিহিন মোটরযানের বিরুদ্ধে সাড়াসি অভিযানের ফলে মোটরযান চলাচলে শৃঙ্খলা ফিরেছে। পুলিশ, প্রেস এবং সাংবাদিক লেখা স্টিকার লাগানো মোটর সাইকেলের সংখ্যাও কমে আসতে শুরু করেছে। অভিযানে সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধির সাথে বিআরটিএতে নতুন মোটর সাইকেলের রেজিষ্ট্রেন করতে আসা ব্যক্তিদের ভীর পড়েছে। নিরাপদ যাত্রার স্বার্থে বেড়েছে হেলমেট এর ব্যবহার। ফলে নগর ট্রাফিক বিভাগের চলমান এই অভিযানকে সাধুবাদও জানিয়েছেন সচেতন মহল।
এদিকে নগর পুলিশের দেয়া তথ্য অনুযায়ী গত ৪০ দিনের অভিযানে ট্রাফিক বিভাগ কাগজপত্র বিহিনী যানবাহনের বিরুদ্ধে ৩ হাজার ৬৭৪টি মামলা দায়ের করেছে। যার অনুকুলে ২৮ লাখ ২০ হাজার ৭৪০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। তাছাড়া টানা অভিযানে আটক হয়েছে কাগজপত্র বিহিন ২৫টি মোটর সাইকেল। এর মধ্যে গত ১ মে থেকে ১০ মে পর্যন্ত মামলার অনুকুরে ৬ লাখ ৯৬ হাজার ৬৫০ টাকা জরিমানা আদায় করেছে ট্রাফিক বিভাগ। যা সরকারের কোষাগারে জমা দেয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার আমতলার মোড়ে পুলিশ কমিশনারের অস্থায়ী কার্যালয়ে নগর পুলিশ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কমিশনার মো. মাহফুজুর রহমান সাংবাদিকদের সামনে এসব তথ্য তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, মহানগরী এলাকায় রেজিষ্ট্রেশন বিহিন মোটর সাইকেল উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছিলো। ওইসব মোটর সাইকেলের পেছনে নম্বর প্লেটের উপর পুলিশ, প্রেস ও সাংবাদিক সহ বিভিন্ন সংস্থার স্টিকার লাগিয়ে চলাচল করে। এর ফলে পুলিশ এবং সাংবাদিকদের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হয়। বিষয়টি মাথায় রেখে গত ১ মে থেকে মহানগরী এলাকায় ট্রাফিক বিভাগ বিশেষ অভিযান পরিচালনা শুরু করে। থানা এবং গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সহযোগিতায় পরিচালিত এই অভিযানের শুরু থেকে ব্যাপক সফলাতা আসে। কমে আসতে শুরু করে কাগজপত্র বিহিন অবৈধ যানবাহন।
ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কমিশনার মো. মাহফুজুর রহমান জানান, গত ১০ দিনে নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে চেক পোষ্ট বসিয়ে অভিযান চালানো হয়। ১০ দিনের ওই অভিযানে মোট ২ হাজার ২২৯টি মামলা করা হয়। যার মধ্যে বেশিরভাগই ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং কাগজপত্র না থাকা রেজিষ্ট্রেশন বিহিন মোটর সাইকেলে। ওই সংখ্যক মামলার বিপরিতে ৬ লাখ ৯৬ হাজার ৬৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। তাছাড়া আটক করা হয়েছে ২৫টি কাগজপত্র বিহিন মোটর সাইকেল। তাছাড়া গত ১ মাস ১০ দিনের অভিযানে মোট ৩ হাজার ৬৭৪টি মামলার অনুকুলে ২৮ লাখ ২০ হাজার ৭৪০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে বরিশাল বিআরটিএ কার্যালয় সূত্রে জানাগেছে, নগর ট্রাফিক বিভাগের টানা ১০ দিনের অভিযানের ফলে মোটর সাইকেলের নতুন রেজিষ্ট্রেশন এর আবেদন বেড়েছে। গত ১০ দিনে যে পরিমান আবেদন জমা হয়েছে তা গত কয়েক মাসের তুলনায় দ্বিগুন। তাছাড়া গত কয়েক বছরের তুলনায় মোটর সাইকেল এর হেলমেট বেচা-বিক্রিও কয়েক গুন বেশি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভাটারখাল এলাকার মোটর সাইকেলের পার্টস বিক্রেতারা।
গতকাল অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কমিশনার মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, মহানগরী এলাকায় ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাকে একটি শৃঙ্খলার মধ্যে আনতেই ট্রাফিক বিভাগ কাজ করছে। প্রথম পর্যায়ে নগরীতে চলাচলরত মোটর সাইকেলকে নিয়মের মধ্যে নিয়ে আসতে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। মোটর সাইকেল চালক ও আরহীদের হেলমেট ব্যবহারের বিষয়টি বাধ্যতামুলক করার জন্য সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে পুলিশ হোক বা সাংবাদিকদের সবাইকেই হেলমেট ব্যবহারের বিষয়ে করাকড়ি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। শতর্কতার সার্থে নগরীতে ট্রাফিক আইন সংক্রান্ত লিফলেট প্রদান করা হয়েছে। ট্রাফিক পুলিশের চলামান এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT