6:38 pm , May 8, 2018

রুবেল খান ॥ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কাউন্সিলকে ঘিরে মহানগর ছাত্রলীগে কমিটি গঠনের কানাঘুষা শুরু হয়েছে। সম্মেলনের পূর্বেই নেতৃত্ববিহীন মহানগর ছাত্রীগের কমিটি অনুমোদনের সম্ভাবনার কথার গুঞ্জন শুরু হয়েছে। তাদের মতে কেন্দ্রের কাউন্সিলে কাউন্সিলর নির্ধারনের সার্থেই মহানগর ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষনা হতে পারে। অবশ্য কেন্দ্রের কমিটি সিলেকশনে হলে সেই সম্ভাবনা থাকবে না বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
অবশ্য কেন্দ্রীয় কাউন্সিলকে ঘিরে মহানগর ছাত্রলীগের কমিটি অনুমোদনের গুঞ্জনে এরই মধ্যে নড়ে চড়ে বসেছেন পদের দাবীদার নেতারা। তারা যে যার মত করে তদবির লবিং করছে কেন্দ্রে। অনেকে রাজধানীতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নতুন নেতৃবৃন্দের স্মরনাপন্নও হচ্ছেন। এমনই তথ্য জানিয়েছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির দায়িত্বশীল পদে থাকা কয়েকজন নেতা। তবে বরিশাল জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের কমিটি অনুমোদনের বিষয়টি সম্পূর্ন পরিবেশ-পরিস্থিতির উপর নির্ভর করছে বলেও জানিয়েছেন তারা।
জানাগেছে, আগামী ১১ মে রাজধানীতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সম্মেলন। ওই সম্মেলনে ছাত্রলীগের উদ্দেশ্যে দিক নির্দেশা দিবেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া ১২ মে কাউন্সিলের জন্য দিক-ক্ষন নির্ধারন হয়েছে। নেতৃবৃন্দ বলছেন, ১১ মে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের উপর নির্ভর করবে কাউন্সিল নাকি সিলেকশনের মাধ্যমে ছাত্রলীগের কমিটি হবে। কাউন্সিলের ক্ষেত্রে অবশ্যই ভোটাভুটি হবে। সে জন্য প্রত্যেকটি জেলা, মহানগর ও বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি থেকে কাউন্সিল নির্ধারন করা হবে। এরই মধ্যে বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে নির্ধারিত ২৫ জন কাউন্সিলরের নামের তালিকা কেন্দ্রে জমা দেয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার কেন্দ্রের কাছে এই তালিকা জমা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক।
কেন্দ্রিয় সূত্র জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট শাখা কমিটির কার্যনির্বাহী পরিষদের মধ্যে থেকেই কাউন্সিলর নির্ধারন করতে হবে। সে অনুযায়ী মেয়াদ উত্তির্ণ বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের কমিটি থেকে ২৫ জনের তালিকা করা হলেও মহানগর নিয়ে দেখা দিয়েছে জটিলতা। অবশ্য মেয়াদ উত্তীর্ণ মহানগর ছাত্রলীগের এক সদস্য বিশিষ্ট কমিটির সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন জানিয়েছেন, এরই মধ্যে ২৫ জন কাউন্সিলর এবং ২৫ জন ডেলিগেট এর তালিকা কেন্দ্রে জমা দেয়া হয়েছে। যাদের নামের তালিকা জমা দেয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকে তাদের পদ নির্ধারন করে দেয়া হবে। সেই পদ অনুযায়ী কেন্দ্রীয় মহানগর ছাত্রলীগকের কাউন্সিলররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। ইতিপূর্বে কাউন্সিলে যে ভাবে পদ নির্ধারন করে দেয়া হয়েছিলো এবারেও তেমনি ভাবেই হবে।
অবশ্য মহানগর ছাত্রলীগের অপর অংশও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ওই অংশের নেতৃত্ব স্থানে থাকা রইচ আহমেদ মান্না। তিনি বলেন, এরই মধ্যে আমরা মহানগর ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে দুই হাজার ডেলিগেট নির্ধারন করেছি। তবে কাউন্সিলরের বিষয়ে এখনো কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। তাও নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই নির্ধারন হবে বলে জানিয়েছেন মান্না।
এদিকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সূত্র জানিয়েছে, জেলা মেয়াদ উত্তির্ণ হলেও তাদের কাউন্সিলর নির্ধারনের বিষয়টি বিধি সম্মত হয়েছে। তবে মহানগর যেভাবে কাউন্সিলর নির্ধারন করছে তা গঠনতন্ত্র পরিপন্থি। কেননা কমিটির বাইরে কারোর কাউন্সিলর হওয়ার সুযোগ নেই। তাই মহানগর ছাত্রলীগের কাউন্সিলর নির্ধারনের শার্থে এই শাখার আংশিক কমিটি অনুমোদন হতে পারে। কেন্দ্রীয় ভাবে এমন সিদ্ধান্তই হয়েছে। শুধু বরিশাল মহানগর নয়, বরং যেই যেই জেলা ও মহানগরে কমিটি নেই সেইসব স্থানেও কাউন্সিলের শর্তে কমিটি গঠনের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ভাবে আলোচনা হয়েছে। অবশ্য এর সব কিছু নির্ধারন হবে ১১ মে সম্মেলনের দিন। ১২ মে কাউন্সিল হলে ১১ মে বরিশাল মহানগর কমিটি অনুমোদন হতে পারে। ওই কমিটির নেতৃবৃন্দই কাউন্সিলর হিসেবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। কিন্তু কাউন্সিলের পরিবর্তে সিলেকশনে কেন্দ্রের কমিটি হলে নতুন কমিটির অপেক্ষাতে থাকতে হবে মহানগর ছাত্রলীগের কমিটি। এমনটিই জানিয়েছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, উপ-দপ্তর সম্পাদক সহ কয়েকটি সম্পাদকিয় পদের নেতৃত্ব দেয়া নেতারা।