ভোলায় বিএনপির ৩শ’ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা ॥ আটক ১৫ জন জেলে ভোলায় বিএনপির ৩শ’ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা ॥ আটক ১৫ জন জেলে - ajkerparibartan.com
ভোলায় বিএনপির ৩শ’ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা ॥ আটক ১৫ জন জেলে

5:39 pm , May 6, 2018

ভোলা অফিস ॥ ভোলা জেলা বিএনপির শোকর‌্যালীতে বাঁধা দেওয়া এবং পুলিশের গাড়ি ভাংচুরের ঘটনায় বিএনপি ও পুলিশ একে অপরকে দায়ী করে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছে। পুলিশ বলছে তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে গাড়ি ভাংচুর ও বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে বিএনপি নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় ৫৮ জনের নাম উল্লেখ সহ প্রায় ৩শ’ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে শনিবার থানায় মামলা করে পুলিশ। ওই মামলা জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির সোপান সহ ১৫ জনকে গ্রেফতার করে গতকাল রোববার জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। আর বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে বিনা উস্কানিতে শোক র‌্যালীতে বাঁধা সৃষ্টি ও র‌্যালীটি ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার জন্য আকস্মিক পুলিশ ভ্যান র‌্যালীতে উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর পরও মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের নেতাকর্মীদের হয়রানী করা হচ্ছে। এর জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর মো. শাফিন মাহমুদ ও সদর থানার ওসি তদন্ত মনিরকে দায়ি করে তাদের প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বিএনপি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাফিন মাহমুদ জানান, শনিবার সাবেক বিএনপি নেতা মরহুম মোশারেফ হোসেন শাজাহানের মৃত্যুবার্ষিকীর শোক র‌্যালী বের করে জেলা বিএনপি। শহরের মহাজনপট্টিতে ওই র‌্যালী থেকে অতর্কিত পুলিশের উপর হামলা চালায় এবং গাড়ি ভাংচুর করে। হামলায় কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়। এ ঘটনায় সদর মডেল থানায় দায়ের করা মামলায় ১৫ জনকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে নিজ কার্যালয়ে প্রেসবিফ্রিংয়ে তিনি এসব তথ্য জানান। মামলা সূত্রে জানা যায়, আসামীরা (বিএনপি নেতাকর্মীরা) ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গাড়িতে হামলা চালায় এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের গাড়ি ও গোয়েন্দা শাখার পিকআপের গ্লাস ভাংচুর করে। বেপরোয়া ভাবে ইনটাপাটকেল নিক্ষেপ করে। এছাড়া পিটিয়ে পুলিশের ড্রাইভার জসিম উদ্দিন, ফোরকান তালুকদার, এএসআই ওবায়দুল হককে আহত করে। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ ট্রুমেনকে প্রধান আসামী করে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের ৫৮ জনকে এজাহারভুক্ত ও ২৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে পুলিশ ওই মামলাটি করেছে।
এদিকে বিকালে মহাজনপট্টির দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলণ করে জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব গোলাম নবী আলমগীর বলেন, বিনা উস্কানিতে অতি উৎসাহী পুলিশ কর্মকর্তারা তাদের র‌্যালীতে বাঁধা দেন এবং কয়েকজন কর্মীকে আটক করে পুলিশ ভ্যানে তোলে। নেতাকর্মীদের বাধার মুখে পুলিশ তাদের ছেড়ে দিতে বাধ্য হলেও র‌্যালীটি ছত্রভঙ্গ করার জন্য আকস্মিক একটি পুলিশ ভ্যান র‌্যালী উপর উঠিয়ে দেয়। এতে ১০/১২ জন নেতাকর্মী আহত হয়। এসময় পুলিশ তাকে (আলমীরকে) গ্রেফতারের চেষ্টা করে। এ ঘটনায় পুলিশ গণগ্রেফতার শুরু করে। জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির সোপান সহ ২০ জনকে আটক করেছে। এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি। এ ঘটনায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে নসাৎ করার অপচেষ্টা উল্লেখ করে জেলা বিএনপির সভাপতি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সদর থানার ওসি তদন্ত কে প্রত্যাহারের দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলণে জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি আমিনুল ইসলাম খান, আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট ছালাউদ্দিন হাওলাদার, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজাহারুল ইসলাম, মহিলাদল নেত্রী অধ্যক্ষ খালেদা খানম, বিলকিছ জাহান মুনমুন, নিগারুন নাহার রিংকু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া মামলার ভয়ে নেতাকর্মীরা এলাকার বাইরে থাকায় পূর্ব নির্ধারিত (রোববারের) আলোচনা সভা বাতিল করা হয়েছে।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT