ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে সভাপতি পদে শক্ত অবস্থানে বাবুগঞ্জের সন্তান জয় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে সভাপতি পদে শক্ত অবস্থানে বাবুগঞ্জের সন্তান জয় - ajkerparibartan.com
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে সভাপতি পদে শক্ত অবস্থানে বাবুগঞ্জের সন্তান জয়

6:47 pm , May 3, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ শুরু হয়েছে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন প্রক্রিয়া। এবারের কমিটি কাউন্সিলের মাধ্যমে নয়, বরং প্রস্তাবনার মাধ্যমেই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সে লক্ষ্যে আজ শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে ছাত্রলীগের পদ প্রত্যাশিদের ফরম সংগ্রহ কার্যক্রম।
এদিকে ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কেন্দ্রীয় কমিটিতে আলোচনায় উঠে এসেছেন বরিশালের সন্তান মোহাম্মদ আল-নাহিয়ান খান জয়। গঠনতন্ত্রের শর্তাবলী, বয়স এমনকি পারিবারিক পরিচিতির দিক থেকেও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে প্রার্থী হিসেবে শক্ত অবস্থান তৈরী করে নিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি বিভাগে অধ্যায়নরত মেধাবী ছাত্র আল-নাহিয়ান খান জয়।
জানা গেছে, বাবুগঞ্জ উপজেলার বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টিন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর (আগরপুর) ইউনিয়নের ঠাকুর মল্লিক গ্রামের আব্দুল আলীম খান ও নার্গিস খান দম্পতির সন্তান মোহাম্মদ আল- নাহিয়ান খান জয়। ১৯৯১ সালের ৩০ অক্টোবর জন্মগ্রহন করা জয় বরিশাল জিলা স্কুল থেকে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে ২০০৬ সালে মেধা তালিকায় মাধ্যমিক পাশ করেন। ২০০৮ সালে ঢাকা কমার্স কলেজ থেকে এইচএসসি, ২০১২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে এলএলবি পাশ করেন। এছাড়া ২০১৩ সালে ১ম শ্রেনীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলএম ও বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি বিভাগে এমএসএস কোর্সে অধ্যায়নরত রয়েছেন।
মোহাম্মদ আল-নাহিয়ান খান জয় এর পূর্ব পুরুষ থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। এমনকি স্কুল জীবন থেকেই বঙ্গবন্ধুর নীতি ও আদর্শে পরিচালিত ছাত্রলীগ’র রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হন জয়। ২০১৬ সালে গঠিত হওয়া বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের আইন সম্পাদক নির্বাচিত হন তিনি। যে পদটি বর্তমানেও বহাল রয়েছে। এছাড়া শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের ২০১৩-১৬ সাল পর্যন্ত সাধারণ সম্পাদক এর দায়িত্ব পালন করেন জয়। এছাড়া ২০০৯-১৩ সাল পর্যন্ত একই হলের উপ-আইন সম্পাদক এর দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
এছাড়া মোহাম্মদ আল-নাহিয়ান খান জয় এর বাবা আব্দুল আলীম খানও ছিলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা। ১৯৮০ সালে ছাত্রলীগ বরিশাল বিএম স্কুল শাখার আহ্বায়ক ছিলেন তিনি। তখনকার সময়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ছিলেন বর্তমান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়েদুল কাদের ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন বাহালুল মজলুল চুন্নু। তাছাড়া ৮০’র দশকে ঢাকাস্থ বৃহত্তর বরিশাল ছাত্রকল্যাণ সমিতির প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি। বর্তমানে তিনি প্রগতি ইন্সুরেন্স লিমিটেড (জেনারেল) এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট। বরিশাল বিভাগের গরীব ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চ শিক্ষায় উৎসাহিত করতে ১৯৮৩ সাল থেকে উপবৃত্তি প্রদান করে আসছেন। বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা ছাড়াও ১৯৯৬ সালে তৎকালিন বাবুগঞ্জ-উজিরপুর (বরিশাল-২) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন।
জয়ের চাচা মৃত আব্দুল হালিম খান ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। জীবদ্দশায় তিনি আগরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বাবুগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে তিনি পটুয়াখালী ও বরিশাল জেলার উত্তর মহাকুমার মুজিব বাহিনীর কমান্ডের দায়িত্ব পালন করেন। তার নেতৃত্বে বরিশালের প্রায় সাড়ে তিন হাজার মুক্তিযোদ্ধা ভারতে ট্রেনিং করেন। আওয়ামী লীগের ৫০ বছর পূর্তি উৎসবে বাবুগঞ্জ থানার অন্যতম পদক গ্রহন করেছেন তিনি।
এছাড়া জয়ের দাদা মৃত মো. মোশারফ হোসেন খান ভোলার তজুমদ্দিন-মনপুরা থানার রেভিনিউ সার্কেল অফিসার ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে বাবুগঞ্জ-উজিরপুর, গৌরনদী ও মুলাদী থানার মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। বড় ফুফু মৃত মোসাম্মৎ কহিনুর বেগম ছিলেন একজন শিক্ষানুরাগী। মেঝ ফুফু মোসাম্মৎ বিলকিস বেগম গোলেনুর আওয়ামী লীগ মনোনিত বাবুগঞ্জ থানা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান এবং থানা মহিলা আওয়ামী লীগের সংগঠক ছিলেন।
শুধু তাই নয়, মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বহন করে চলেছে ছাত্রলীগ নেতা মোহাম্মদ আল-নাহিয়ান খান জয়। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বরিশাল অঞ্চল নিয়ে যে নবম সেক্টর গঠিত হয়েছিলো। তার কন্ট্রোল রুম ছিলো জয়দের বাড়িতে। যার দায়িত্বে ছিলেন আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় অভিযুক্ত মরহুম ফ্লাইট সার্জেন্ট ফজলুল হক।
অপরদিকে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি পদের জন্য লড়াই করা মোহাম্মদ আল-নাহিয়ান খান জয়’র রাজনৈতিক অর্জনও রয়েছে অনেক। রাজধানীতে নাশকতাকালে বোমাবাজদের ধরিয়ে দিয়ে ডিএমপি কর্তৃক পুরস্কার লাভ করেছিলেন জয়। পুরস্কার থেকে প্রাপ্ত অর্থ নিজের কাজে ব্যয় না করে তা বিএনপি-জামায়াতের নাশকতায় দ্বগ্ধ হওয়াদের চিকিৎসার জন্য বার্ণ ইউনিটে প্রদান করেছিলেন এই তরুন ছাত্র নেতা। সাংগঠনিক দায়িত্ব পেয়ে চাঁপাইনবাগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত করা এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের আওতাধীন ৮টি সাংগঠনিক ইউনিটের কমিটি গঠন করে দিয়েছেন দক্ষ সংগঠক জয়। বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের সাধারণ সম্পাদক থাকাবস্থায় মহান মুক্তিযুদ্ধের বীরাঙ্গনাদের সংবর্ধনা প্রদান এবং একই সময়ে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে নিহত শহীদ শহীদুল ইসলাম চুন্নুর স্মৃতি রক্ষার্থে নিজস্ব তত্ত্বাবধানে স্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করে দেন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান জয়।
মেধাবী ও ত্যাগী ছাত্র নেতা মোহাম্মদ আল-নাহিয়ান খান জয়কে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি পদে দেখতে চান তার বিশাল সমর্থক গোষ্ঠি। একজন ভদ্র, নির্লোভ ছাত্র সমাজের অহংকার জয়ের প্রতি সমর্থন রয়েছে গোটা বরিশাল তথা দক্ষিণাঞ্চলবাসির।
এক প্রতিক্রিয়ায় মোহাম্মদ আল-নাহিয়ান খান জয় বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, স্বাধীন বাংলার স্থপতি জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিজ হাতে গড়া সংগঠন ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। শিক্ষা, শান্তি, প্রগতির পতাকাবাহী দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ ছাত্র সংগঠনকে গঠনতন্ত্র অনুসরণ করে গণতন্ত্রের মানসকণ্যা দেশরতœ শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করা এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করে জামাত-বিএনপির সন্ত্রাসী ও নাশকতামুলক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে অগ্রণী ভুমিকা পালন সহ জনকল্যাণ মুলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা ও জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মিনাণের উপযোগী ছাত্রসংগঠন হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।
তিনি বলেন, ঐতিহ্যবাহী ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক এর পদের জন্য বয়সিমা সর্বোচ্চ ২৭ থেকে ২৯ বছর। সে অনুযায়ী আমার যোগ্যতা রয়েছে। ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে নিজের স্থান সৃষ্টির জন্য বরিশাল সহ দেশবাসির দোয়াও চেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র নেতা মোহাম্মদ আল-নাহিয়ান খান জয়।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT