6:16 pm , May 3, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ নগরীতে অপরাধ নিয়ন্ত্রনে কাগজপত্র বিহিন ও অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। মহানগর পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কমিশনার মাহফুজুর রহমান’র নির্দেশে যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এই অভিযান পরিচালিত হয়েছে। বিশেষ করে প্রেস এবং পুলিশ লাগানো মোটর সাইকেল উপর বিশেষ দৃষ্টি দেয়া হচ্ছে। নগরীর প্রত্যেকটি মোড়ে মোড়ে তল্লাশী চৌকি স্থাপন করে মোটর সাইকেল এবং সন্দেহজনকদের তল্লাশী করা হচ্ছে। প্রথম দিনেই কাগজপত্র বিহিন ও হেলমেট না থাকায় ৪১২টি মামলা করা হয়েছে। এমনকি আটক করা হয়েছে ৩টি অবৈধ মোটর সাইকেল। ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কমিশনার মাহফুজুর রহমান বলেছেন- নগরীতে এ ধরনের অভিযান আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।
সরেজমিনে দেখাগেছে, সকাল থেকে হঠাৎ করে নগরীর গুরুত্বপূর্ন প্রত্যেকটি মোড়ে মোড়ে পুলিশ তল্লাশী চৌকি স্থাপন করে যানবাহন তল্লাশী ও কাগজপত্র পর্যবেক্ষন করছে। মহানগর ট্রাফিক পুলিশের এই অভিযানে সহযোগিতা করেন গোয়েন্দা (ডিবি) ও সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ। যেসব যানবাহনের কোন কাগজপত্র পাওয়া যায়নি সেগুলো আটক এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও হেলমেট না থাকা যানবাহন চালকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়। বিশেষ করে পুলিশ এবং প্রেস বা সাংবাদিক স্টিকারের মোটর সাইকেল বেশি দৃষ্টিতে রাখা হচ্ছে। স্টিকারের মোটর সাইকেল অধিকতর তল্লাশী’র পাশাপাশি বৈধ কাগজপত্র, ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং হেলমেট এর বিষয়টি নিশ্চিত করা হচ্ছে। এমনকি সংশ্লিষ্ট সংস্থা বা পত্রিকা অফিসের পরিচয়পত্র যাচাই বাচাই করেও দেখছেন পুলিশ, ডিবি ও ট্রাফিক সদস্যরা।
ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (টিআই) সামসুল আলম বলেন, দীর্ঘ দিন পরে যে অভিযান হয়েছে তাতে পূর্বের অভিযানের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। কেননা অভিযানের প্রথম দিনেই ৪১২টি মামলা করেছেন সার্জেন্টরা। এছাড়া আটক করা হয়েছে ৩টি মোটর সাইকেল। মহানগরীর কাকলির মোড়, আমতলার মোড়, জিলা স্কুল মোড়, বটতলা, হাতেম আলী কলেজ চৌমাথা সহ মোট ৯টি স্পটে চেক পোষ্ট বসিয়ে এসব মামলা এবং আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
মহানগর পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কমিশনার মাহফুজুর রহামন বলেন, মহানগরী এলাকায় পুলিশ এবং প্রেস লেখা মোটর সাইকেলের ছড়াছড়ি। ভাড়ি যানবাহনেও পত্রিকার স্টিকার লেখা হচ্ছে। কিছু লোক রয়েছে যারা সাংবাদিক বা পুলিশ না হয়েও সংশ্লিষ্ট সংস্থার স্টিকার মোটর সাইকেলে ব্যবহার করছে। যাতে করে ট্রাফিক পুলিশ তাদের ধরতে না পারে। এতে করে প্রকৃত সাংবাদিক ও পুলিশকে বেগ পেতে হচ্ছে। এসব কারনেই স্টিকার লাগানো মোটর সাইকেল এবং যানবাহন গুলো পুলিশেল নজরদারীতে নিয়ে আসা হয়েছে। এর পাশাপাশি অন্যান্য মোটর সাইকেল ও যানবাহন গুলোও তল্লাশী করা হচ্ছে। আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনের পাশাপাশি অপরাধ নিয়ন্ত্রনের লক্ষে এমন অভিযান নগরীতে ভবিৎস্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কমিশনার।