6:06 pm , May 2, 2018

ভোলা অফিস ॥ রমজানে পন্যের দাম বাড়ালে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, আগেও রোজার মাসে জিনিসপত্রের দাম স্বাভাবিক ছিল। এবার রোজার মাসে পর্যাপ্ত পন্য আছে। রমজানে চাহিদার চেয়ে বেশি পন্য আছে তাই দাম সিস্থি রাখার চেষ্টা করবেন। কেউ মূল্য বাড়ানোর চেস্টা করবেন না। কারণ ভোগ্যপন্য নিয়ন্ত্রণের টিম বাজারে থাকবে। যদি কেউ দাম বাড়ায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা চাই ব্যবসায়ীদের সাথে সু-সম্পর্ক রেখে বাজারকে স্বাভাবিক রাখতে। চাহিদার তুলনায় অনেক পন্য বেশি আছে সুতরাং দাম বাড়ার কোন কারণ নাই। গতকাল বুধবার সকালে মন্ত্রী ভোলার গাজিপুর রোডের নিজ বাসায় অগ্নিকা-ে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের সহায়তা প্রদান ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এসময় মন্ত্রী সম্প্রতি অগ্ন্কিা-ে ভোলা শহরের চকবাজার ও মনিহারিপট্টির ক্ষতিগ্রস্থ ৫২ ব্যবসায়ীকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ১৫ লাখ টাকার সাহায্য তুলে দেন। এসময় মন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনাদের যা ক্ষতি হয়েছে তা পূরণ সম্ভব না। দলের নেতৃবৃন্দ নিজেদের পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য এ সহায়তার ব্যবস্থা করেছেন। এছাড়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাট্রিজের পক্ষ থেকে প্রতি ব্যবসায়ীকে ১০ হাজার টাকা করে ৩ লাখ ২০ হাজার টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। এদিকে ক্ষতিগ্রস্থদেরকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘর প্রতি ২ বা-িল টিন ও ৬ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল মমিন টুলু, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, পুলিশ সুপার মো. মোকতার হোসেন ও পৌর মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব সহ জেলা নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অ-িকা-ে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শনের জন্য ১ মে ভোলায় আসেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। সরেজমিন পরিদর্শন করে মন্ত্রী ব্যবসায়ীদের খোঁজ-খবর নেন এবং সমবেদনা জানান। ওইদিন দুপুরে নতুনব বাজার চত্বরে জেলা শ্রমিকলীগ আয়োজিত মে দিবসের সমাবেশ রাখেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী নেতাকর্মীদের নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহবান জানিয়ে বলেছেন, নির্বাচন যথাসময়ে এ সরকারের অধীনে হবে। নির্বাচনকালীন সমকারের প্রধান থাকবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নির্বাচন পরিচলনা করবে নির্বাচন কমিশন। আমি মনে করি সকল দলের অংশ গ্রহণের মধ্যদিয়েই এবারের নির্বাচন হবে। যারা অতীতে নির্বাচন করে নাই নিশ্চয়ই তারা তাদের ভুল উপলদ্ধি করেছেন। আগামীতে নির্বাচন না করলে তাদেরই ভুল হবে। সুতরাং আমি মনে করি আগামী নির্বাচন হবে অংশগ্রহণমূলক। কোন তত্বাবধায়ক সরকার বা সহায়ক সরকার আসবে না। সে নির্বাচনের জন্য আপনারা ঘরে ঘরে আওয়ামী লীগের দুর্গ গড়ে তুলবেন।
জেলা শ্রমিকলীগ সভাপতি মো. আবু তাহেরের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল মমিন টুলু, পৌর মেয়র মো. মনিরুজ্জামান মনির, জেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম সম্পাদক জহুরুল ইসলাম নকীব, ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. ইউনুছ, শ্রমিকলীগ সম্পাদক মো. শাহে আলম, আজিজুল ইসলাম প্রমুখ।