6:04 pm , May 2, 2018
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে নবজাতক সন্তানের চিকিৎসা করাতে এসে মারধরের শিকার হয়েছে তার বাবা। চিকিৎসা অবহেলার অভিযোগ করায় হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক ও চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারীরা তাকে মারধর করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে শেবাচিম হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় শিশু বিভাগের স্কানু ইউনিটে এই ঘটনা ঘটে। হামলার শিকার নবজাতকের বাবা হলেন বরগুনা সদর এলাকার বাসিন্দা মো. রাসেল।
তিনি জানান, গত পাঁচ দিন পূর্বে স্ত্রী মিতুকে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের ১২ দিন বয়সি শিশুকেও শেবাচিম হাসপাতালের নবজাতক ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার রাতে নবজাতক শিশু কান্নাকাটি শুরু করে।
শিশুর বাবা রাসেল বলেন, আমরা ভেবেছিলাম হাতে পড়ানো ক্যানুলায় কোন সমস্যা হওয়ায় সন্তান কান্না করছে। তাই রাতেই বিষয়টি ওয়ার্ডে দায়িত্বরত নার্সকে অবহিত করি। কিন্তু নার্স শিশুটিকে না দেখেই বলে দেয় ক্যানুলায় কোন সমস্যা হয়নি। বাচ্চা এমনেতেই কান্না করছে। পরে ঠিক হয়ে যাবে। এমন কথা বলে শিশুর বাবাকে ফিরিয়ে দেয়। কিন্তু রাতভর শিশু কান্না থামেনি।
এদিকে গতকাল বুধবার দুপুরে অন্য নার্স এসে বলেন, শিশুর হাতে পরানো ক্যানুলায় সমস্যা হয়েছে। তখন বিষয়টি নিয়ে ওই নার্সদের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায় হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক এবং চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী ওয়ার্ড বয়রা এসে নবজাতকের বাবা রাসেলকে মারধর করে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। তাছাড়া বিষয়টি নিয়ে ওয়ার্ডে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে শিশু ইউনিটের প্রধান সহকারী অধ্যাপক ডা. আলী হাসান দুই পক্ষকে ডেকে বিষয়টি মিমামংসা করে দেন। কিন্তু ওয়ার্ডের স্টাফরা সেই মীমাংসা মেনে না নিয়ে নবজাতকের ভর্তি এবং ব্যবস্থাপত্রসহ সকল কাগজপত্র নিয়ে আটকে রাখে। যে কারনে চিকিৎসা সেবা বন্ধ হয়ে যায় ওই নবজাতকের।
এ প্রসঙ্গে শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. আব্দুল বাকির হোসেন বলেন, এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটেছে বলে আমি শুনিনি। তাছাড়া কেউ আমরা কাছে অভিযোগও করেনি। অবশ্য প্রায়শই এমন ঘটনা ঘটছে যা ওয়ার্ড থেকেই সিনিয়র চিকিৎসকরা মিমাংসা করে দিচ্ছেন।
তিনি বলেন, কোন রোগী বা তার স্বজনের অভিযোগ থাকলে তা লিখিত ভাবে আমাদের জানাতে হবে। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।