6:59 pm , April 28, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ নগরীতে এইচএসসি পরিক্ষার্থীকে গনধর্ষনের কথা স্বীকার কারে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে ধর্ষকদ্বয়সহ তিন আসামি। এর মধ্যে ধর্ষনে সহযোগিতা করা সাইফুল ইসলাম সজিব তার জবানবন্দিতে উল্লেখ করে, শুক্রবার সকালে সে মথুরানাথ পাবলিক স্কুল সড়কে হানিফ সিকদার এর ভাড়াটিয়া মেস বাড়িতে তার নিজ কক্ষে ছিলো। সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে রাব্বি ওই পরিক্ষার্থীকে নিয়ে তার রুমে আসে। পরে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষন করে।
এর কিছুক্ষন পরেই মানিক শেখও তার কক্ষে প্রবেশ করে। এ সময় ওই ছাত্রী কক্ষে থাকায় মানিক তার সুযোগ নেয়। পরে রাব্বির সহয়োগিতায় ধর্ষন করে।
জবানবন্দিতে রাব্বি তার দোষ স্বীকার বলেন, সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজের ছাত্র ও ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার আবু বক্করপুর গ্রামের মো. ফারুক এর ছেলে মো. ইমতিয়াজ বিএম কলেজের ১ম গেটের বিপরীতে মিলনের মালিকানাধীন মেসে ভাড়া থাকে। শুক্রবার দিন সকালে ওই ছাত্রী তার প্রেমিক ইমতিয়াজের মেসে কৃষিশিক্ষা ব্যবহারিক খাতা নিতে আসে। এ সময় ইমতিয়াজের পাশের রুমের ছাত্র নিজাম উদ্দিন বেপারি ফোন করে তাকে ডেকে নেয়। যাওয়ার পথে মানিক শেখকে নিয়ে রাব্বি ওই মেসে যায়। এ সময় ওই ছাত্রী মেস থেকে ব্যবহারিক খাতা নিয়ে বের হওয়ার পথে তাকে রিকশাযোগে সজিবের মেসে নিয়ে যায় এবং সেখানেই তাকে ধর্ষন করে বলে জানায় রাব্বি। এই সুযোগ নিয়ে পরে মানিক শেখও সেখানে এসে ধর্ষন করে।
গতকাল শনিবার ধর্ষকদের দেয়া এমন জবানবন্দি ১৬৪ ধারায় নথিভুক্ত করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. আনিসুর রহমান। জবানবন্দি গ্রহন শেষে বিচারক তাদের জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জেলে যাওয়া আসামিরা হলো, ২০নং ওয়ার্ডস্থ বিএম কলেজের ১ম গেট সংলগ্ন মল্লিক প্লাজার বাসিন্দা মৃত বাবুল মল্লিকের ছেলে মো. রায়হান মল্লিক রাব্বি (২৬), একই এলাকাধীন তালভিটা’র মিলন এর বাড়ির ভাড়াটিয়া মৃত ইসমাইল শেখ এর ছেলে মো. মানিক শেখ (৩০) ও বাকেরগঞ্জ উপজেলার পাদ্রীশিবপুর গ্রামের জামাল হাওলাদারের ছেলে, বাকেরগঞ্জ পাদ্রীশিবপুর গ্রামের হাওলাদার বাড়ীর জামাল হাওলাদারের ছেলে বিএম কলেজ ছাত্র সাইফুল ইসলাম সজিব (২৬) ও ভোলা শষীভুষন গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে ও বিএম কলেজ প্রথম গেটের মিলনের ভাড়াটিয়া নিজাম উদ্দিন বেপারি।
এরপুর্বে শুক্রবার নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের আটক করে কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশ। তাদের মধ্যে আদালতের কাছে জবানবন্দি দেয় রায়হান মল্লিক রাব্বি, সাইফুল ইসলাম সজিব ও মানিক শেখ।
ছাত্রীর প্রেমিক ইমতিয়াজের দেয়া তথ্যনুযায়ি, সজিবের কক্ষ থেকে ছাত্রীকে উদ্ধার করে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ। ছাত্রী এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছে।
অপরদিকে, এই ঘটনায় ছাত্রীর মা ময়না বেগম বাদী হয়ে ধর্ষন ও তাতে সহযোগিতার অভিযোগ এনে ৪ জনকে আসামি করে কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা করে।