3:00 pm , December 31, 2018
পরিবর্তন ডেস্ক ॥ কারচুপির অভিযোগ তুলে একাদশ নির্বাচনে ফল প্রত্যাখ্যান করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পুনঃভোটের দাবি নাকচ করে দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা। ভোটের পরদিন সোমবার বিকালে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সিইসি ঐক্যফ্রন্টের দাবির বিষয়ে বলেন, “না, আমরা আর নতুনভাবে নির্বাচন করব না; আর নতুন করে নির্বাচনের সুযোগ নেই।”
ঐক্যফ্রন্ট কিংবা বিএনপি লিখিত অভিযোগ দিলে কী করবেন ও পরবর্তীতে গেজেট প্রকাশের ধাপ জানতে চাইলে তিনি বলেন, “লিখিত অভিযোগ দিলেও গেজেট প্রকাশের ক্ষেত্রে তা প্রতিবন্ধকতা হবে না।”
জনগণের ভোটের বিবেচনায় ফল নির্ধারিত হয়েছে বলে জানান সিইসি। এ সময় চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিব হেলালুদ্দীন উপস্থিত ছিলেন। রোববার সারা দেশের ২৯৯টি সংসদীয় আসনে ভোটগ্রহণ হয়। এর মধ্যে ঘোষিত ২৯৮টি আসনের ফলাফলে আওয়ামী লীগ এককভাবে পেয়েছে ২৫৯টি আসন, আর মহাজোটগতভাবে তাদের আসন সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮৮টি।
১৪ দলীয় জোটের দলগুলোর মধ্যে জাসদ ২টি, ওয়ার্কার্স পার্টি ৩টি, বিকল্প ধারা ২টি, তরীকত ফেডারেশন ১টি আসনে জিতেছে। এর বাইরে আওয়ামী লীগের মিত্র দল জাতীয় পার্টি (জেপি) বাইসাইকেল প্রতীকে একটি আসনে জিতেছে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে বিএনপি ৫টি আসনে জিতেছে, গণফোরাম দুটি আসনে জিতেছে। তিনটি আসনে জিতেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
তবে ভোটে বাধা দেওয়া, এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া এবং কারচুপির অভিযোগ তুলে বিএনপি-জামায়াত জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্তত ৩১ জন প্রার্থী দুপুরেই নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন। ভোটগ্রহণ শেষে রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা কামাল নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে তা বাতিল করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের দাবি জানান।