জামানত হারিয়েছে বিএনপির ৫ জনসহ ৩১ প্রার্থী জামানত হারিয়েছে বিএনপির ৫ জনসহ ৩১ প্রার্থী - ajkerparibartan.com
জামানত হারিয়েছে বিএনপির ৫ জনসহ ৩১ প্রার্থী

2:53 pm , December 31, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলার ছটি আসনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা। তবে বিএনপি’র পাঁচ জন সহ অন্যান্য দলের ৩১ জন প্রার্থীর লজ্জাজনক পরাজয় হয়েছে। কেননা পরাজিত হওয়া ওই প্রার্থীদের কেউ প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের এক ভাগ ভোট না পাওয়ায় তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত করছে নির্বাচন কমিশন। প্রার্থীদের মনোনয়ন দাখিলের সময় সরকারের অনূকূলে জমা দেয়া ২০ হাজার টাকা তারা আর ফেরত পাবেন না ওই প্রার্থীরা। জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা এসএম অজিয়র রহমান বলেন, জেলার সংসদীয় ৬টি আসনে মোট ৩৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের ৪ জন ও জাতীয় পার্টির ২ জন বিজয়ী হন। এছাড়া বিএনপি’র একজন ও মহাজোটের এক প্রার্থী প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের বেশি ভোট পেয়েছেন। বাকি ৩১ জন প্রতিদ্বন্দ্বির কেউ প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ পাননি। কোন কোন প্রার্থী রয়েছেন যাদের ভোটের গড় পাসেন্টেজ ৫ ভাগের মধ্যেও নেই। ছোট দলগুলোর ক্ষেত্রেই এমনটা বেশি হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী বরিশাল-১ (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া) আসনে চার জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ বিজয়ী হয়েছেন। বাকি ৩ জন প্রার্থীর মধ্যে বিএনপি’র ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী সর্বোচ্চ এক হাজার ৩০৫ ভোট পেয়েছেন। এছাড়া সর্বনি¤œ ৯৫৪ ভোট পেয়েছেন ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী। এ আসনে প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ২ লাখ ১১ হাজার ৫০৭। বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) আসনে ৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাহে আলম বিজয়ী হয়েছেন। বাকি ৬ জনই জামানত হারানোর মত ভোট পেয়েছেন। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিএনপি প্রার্থী সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু সর্বচ্চ ১১ হাজার ১৩৭ ভোট এবং সর্বনি¤œ ৮৪৪ ভোট পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আনিচুজ্জামান। আর চিত্র নায়ক মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৪৭১ ভোট। আসনটিতে প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ২ লাখ ৩৭ হাজার ৪৯১। বরিশাল-৩ (মুলাদী-বাবুগঞ্জ) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৬ জন। যার মধ্যে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে জাতীয় পার্টির গোলাম কিবরিয়া টিপু বিজয়ী হয়েছেন। আর জামানত হারানোর মত ভোট পেয়েছেন একজন স্বতন্ত্র সহ ৩ জন প্রার্থী। তবে বিএনপি ও মহাজোটের নৌকা প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের এক ভাগের বেশি ভোট পেয়েছেন। সর্বনি¤œ ১৮৪ ভোট পেয়েছেন বিকল্প ধারা বাংলাদেশের প্রার্থী মো. এনায়েত কবির। এই আসনে প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০। বরিশাল-৪ (হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জ) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৪ জন প্রার্থী। যার মধ্যে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী পঙ্কজ নাথ বিজয়ী হয়েছে। বাকি ৬ জনই জামানত হারানোর মত ভোট পেয়েছে। ওই ছয় জনের মধ্যে ধানের শীষ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা নাগরিক ঐক্যের জেএম নুরুর রহমান জাহাঙ্গীর সর্বোচ্চ ৯ হাজার ২৮২ ও সর্বনি¤œ ৪১১ ভোট পেয়ে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রার্থী মাহাবুবুল আলম। এ আসনে প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ২ লাখ ৬৪ হাজার ৩৯। বরিশাল-৫ (সদর) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৭ জন। এর মধ্যে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের জাহিদ ফারুক শামীম। ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করা বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ার বাকি ছয়জনই জামাতন হারাচ্ছেন। ছয় জনের মধ্যে মজিবর রহমান সরোয়ার সর্বোচ্চ ৩১ হাজার ৩৬২ এবং কাঠাল প্রতীক নিয়ে সর্বনি¤œ ৮৯ ভোট পেয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির এইচ এম মাসুম বিল্লাহ। এ আসনে প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ২ লাখ ৭৮ হাজার ৩২৩। এছাড়া বরিশাল-৬ (বাকেরগঞ্জ) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৮ জন। যার মধ্যে জাতীয় পার্টির প্রার্থী নাসরিন জাহান রতনা বিজয়ী হয়েছে। বাকি ৭ জনই তাদের জামানত হারানোর মত ভোট পেয়েছেন। এদের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৪ হাজার ৮৪৫ ভোট পেয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। এছাড়া তারা প্রতীক নিয়ে সর্বনি¤œ ২৮ ভোট পেয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি’র প্রার্থী একেএম নুরুল ইসলাম। এই আসনে মোট প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা এক লাখ ৯৩ হাজার ৩৩৮। জামানত হারানোর বিষয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা একতরফা লোক দেখানো নির্বাচন বলে আখ্যায়িত করেছেন। এ বিষয়ে বরিশাল সদর আসনের বাম গনতান্ত্রিক জোটের প্রার্থীআবদুস সত্তার নির্বাচনকে ভূয়া প্রহসন এবং জবরদস্তিমূলক ভোট হয়েছে। এ ভোটের ফলাফল হাস্যকর। বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড.বিলকিস জাহান শীরিন বলেন, জনগন ভোট দিতে পারেনি। ১২/১৪ বছরের ছেলে মেয়েরা ভোট দিয়েছে। আওয়ামীলীগ কেন্দ্র দখল করে ভোট ডাকাতির মহোৎসব করেছে। সুষ্ঠ ভোট হলে আওয়ামীলীগ প্রার্থীদেরই জামানত বাজেয়াপ্ত হত। বরিশাল জলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমান এ বিষয়ে বলেন, মনোনয়ন জমা দেয়ার সময় প্রার্থীদের নিকট থেকে ২০ হাজার টাকা জামাতন গ্রহন করা হয়েছিল। মোট প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক অংশ না পাওয়ায় এ টাকা সরকারি কোষাগারে নিয়ম অনুযায়ী জমা দেওয়া হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT