3:11 pm , December 28, 2018
পরিবর্তন ডেস্ক ॥ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, ‘আপনারা দেখেছেন কীভাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবরা ভোটকেন্দ্র দখলের নির্দেশনা দিয়েছেন। দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত ও একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি তারেক রহমান ভিডিওবার্তার মাধ্যমে নাশকতার নির্দেশনা দিয়েছেন। তারেকের বক্তৃতায় শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরিবেশ বিনষ্টের পরিকল্পনা ও সন্ত্রাস সৃষ্টির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তিনি সংঘবদ্ধভাবে গেরিলা কায়দায় ভোটকেন্দ্র দখলের হুমকি দিয়েছেন। একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট উৎসবকে বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন।’ শুক্রবার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের পক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় নানক বলেন, ‘পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই ব্যাপক সহিংসতা ও অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব রটিয়ে নির্বাচনের আগে ভীতি সঞ্চারের চক্রান্ত চালাচ্ছে। ভুয়া ব্যালট পেপার ছাপিয়ে ও নকল বুথ বানিয়ে সিল মারা নকল ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে গুজব ছড়ানোর নীল নকশা করছে।’
পর্যবেক্ষক হিসেবে বিএনপি জামায়াতের হাজার হাজার ক্যাডার নামানো হচ্ছে এমন অভিযোগ করে নানক বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের মদতপুষ্ট একাধিক সংগঠনকে পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে হাজার হাজার দলীয় নেতাকর্মীকে পর্যবেক্ষক হিসেবে মাঠে নামানো হচ্ছে বলে আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খানের সংস্থা খান ফাউন্ডেশন, খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা শফিক রেহমানের স্ত্রী তালেয়া রেহমানের ডেমোক্রেসি ওয়াচ, তারেক রহমানের পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত বগুড়াভিত্তিক লাইটহাউস, বিতর্কিত আইনজীবী আদিলুর রহমানের বাংলাদেশ মানবাধিকার পরিষদ এবং বিএনপি- জামায়াত-ঐক্যফ্রন্ট কোটি টাকা খরচ করে বিদেশে লবিস্ট ফার্ম এনফ্রেল নামের একটি সংস্থাকে পর্যবেক্ষণের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এসব সংস্থার নামে বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডার বাহিনীর হাজার হাজার সদস্যকে পর্যবেক্ষক হিসেবে মাঠে নামানো হচ্ছে। এ ধরনের দলীয় প্রতিষ্ঠান নামে সাড়ে ছয় হাজার পর্যবেক্ষক নিয়োগ দেওয়ায় নির্বাচনের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে।
‘তারা দলের পক্ষে কাজ করে নির্বাচনের সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ পরিবেশ বিনষ্ট করতে তৎপরতা চালাতে পারে। রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত এমন বিতর্কিত পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ এবং ইউরোপের আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের জন্য প্রণীত কোড অফ কন্ডাক্ট বিরোধী। আমরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এ ধরনের পক্ষপাতদুষ্ট প্রতিষ্ঠানকে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ না দিতে অনুরোধ জানিয়েছিলাম। তারা নির্বাচনি পর্যবেক্ষণে কাজ করলে নির্বাচনকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা চালাবে। তাই তাদের বিষয়ে সকলকে সতর্ক থাকতে আহ্বান জানাচ্ছি।’