6:14 pm , April 27, 2018
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ দেশের দক্ষিণাঞ্চলে তাপমাত্রার পারদ প্রায় ৩৬ ডিগ্রীতে উঠে যাবার পরে এখন শেষ রাতে ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। এমনকি মাঝে মাঝে সকালের দিকে হালকা কুয়াশায়ও মেঘনা অববাহিকা সহ দিগন্ত ঢেকে যাচ্ছে। প্রচন্ড তাপদাহের পরে শেষ রাতের এ ঠান্ডার অনুভব জনস্বাস্থ্যের পাশাপাশি মাঠে থাকা উঠতি বোরো ধানের জন্য ঝুঁকিও কিছুটা বৃদ্ধি করছে। আবহাওয়ার এ বৈপরিত্য দেশের প্রধান দানাদার খাদ্য ফসল বোরো ধানে রোগ বালাই বৃদ্ধ করতে পারে বলেও শংকিত কৃষকগন।
আবহাওয়া বিভাগের দীর্ঘমেয়াদী বুলেটিনে চলতি মাসের শেষ দিকে দেশের বিভিন্ন এলাকায় মাঝারী তাপ প্রবাহ বয়ে যাবার কথা বলা হয়েছিল। পাশাপাশি চলতি মাসে বরিশাল অঞ্চলে স্বাভাবিক ১২০ থেকে ১৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের কথা বলা হলেও গতকাল পর্যন্ত মাসের ২৭ দিনে বরিশালে বৃষ্টি হয়েছে ৯৮ মিলিমিটার। গত মার্চ মাসেও বরিশালে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ৯০ ভাগ কম। ফেব্রুয়ারিতে বরিশালে বৃষ্টিপাতের পরিমান ছিল প্রায় ১শ’ ভাগ কম।
চলতি মাসে বরিশালে সর্বোচ্চ স্বাভাবিক তাপমাত্রা থাকার কথা ৩৩.৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস। কিন্তু গত ২৪ এপ্রিল তাপমাত্রার পারদ ৩৫.২ ডিগ্রীতে উঠে যায়। আর সর্বনিম্ন ২৩.৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস থাকার কথা থাকলেও গত ২১ এপ্রিল বরিশালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরেই শেষ রাত থেকে কাল পর্যন্ত তাপমাত্রা স্বভাবিকের কিছুটা নিচে নামছে। গতকাল সকালে বরিশালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২১ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসে হ্রাস পায়। অপরদিকে গতকাল দুপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
আবহাওয়া বিভাগের মতে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। বরিশাল সহ দক্ষিণাঞ্চল এবং উপকূলীয় এলাকায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া এবং বিজলী চমকানো সহ বৃষ্টি বা বজ্র বৃষ্টির সম্ভবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। পাশাপাশি সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত এবং রাতের তাপমাত্রা কিছুটা হ্রাস পেতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। এমনকি আজ সকালের পরবর্তী ৪৮ ঘন্টায় দক্ষিণাঞ্চল সহ সারা দেশেই বৃষ্টি ও বজ্র বৃষ্টি সহ আবহাওয়া কিছুটা দূর্যোগপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছে আবহাওয়া বিভাগ।