3:27 pm , December 7, 2018
মঠবাড়িয়া প্রতিবেদক ॥ মঠবাড়িয়ায় ৬ষ্ঠ শ্রেণীর (১৩) এক স্কুল ছাত্রীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে আপন দুলাভাইর বিরুদ্ধে। ঘটনার দুইদিন পর এলাবাসী ওই ছাত্রীর দুলাভাই শাহীন খানকে (২৫) আটক করে শিক্ষকদের কাছে সোপর্দ করে। পরে পুলিশ খবর পেয়ে শুক্রবার দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত দুলাভাইকে আটক করে। আটককৃত শাহিন উপজেলার গুলিসাখালী ইউনিয়নের বুখইতলা বান্ধবপাড়া গ্রামের ইসমাইল খানের ছেলে।
থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, মঠবাড়িয়ার সাপলেজার বিবিএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণী পড়–য়া স্কুল ছাত্রী গত বুধবার (৫ডিসেম্বর) রাতে নিজ গৃহে বসে পড়াশুনা করছিল। এসময় পরিবারের লোকজন ঘুমিয়ে পরার সুযোগে ওই স্কুল ছাত্রীর আপন দুলাভাই শাহীন মেয়েটির মুখ চেপে তুলে নিয়ে যায়। সকালে স্কুল ছাত্রীকে ঘরে না পেয়ে তার বাবা মেয়ে নিখোঁজের বিষয়ে মঠবাড়িয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন। এদিকে দুলাভাই শাহীন মেয়েটিকে বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দুরে একটি নির্জন ঘরে আটকে ধর্ষন করে। স্থানীয়ভাবে বিষয়টি জানাজানি হলে ধর্ষক শাহীনের পরিবারের লোকজন শুক্রবার সকালে নির্যাতিত মেয়েটিকে উদ্ধার করে তার বাবার বাড়ি পৌঁছে দেয়। নির্যাতিত মেয়েটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দেয়। পরে স্কুল কর্তৃপক্ষ গ্রামবাসির সহায়তায় অভিযুক্ত ধর্ষক দুলাভাইকে আটক করে থানায় খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল হতে অভিযুক্ত শাহীনকে আটক করে।
সাপলেজা বিবিএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহফুজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নির্যাতিত স্কুল ছাত্রীর লিখিত অভিযোগ পেয়ে গ্রামবাসির সহায়তায় বখাটে শাহিনকে আট করে থানায় সোপর্দ করা হয়।
মঠবাড়িয়া থানার ওসি শওকত আনোয়ার বলেন, অভিযুক্ত দুলাভাইকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ারের প্রস্তুতি চলছে।