3:28 pm , December 3, 2018
স্বরুপকাঠি প্রতিবেদক ॥ উপজেলার নান্দুহার গ্রামে বিরোধীয় সম্পত্তিতে থাকা ঘর উচ্ছেদের জন্য আপন চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রীকে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে মধ্যযুগীয় নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আপন চাচাতো ভাই আবুল কালামের স্ত্রী সাজেদা বেগমকে ঘর থেকে বের করে বেধরকভাবে মারধর করা হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। নারীকে সন্ত্রাসী মারধর থেকে রক্ষায় শত শত প্রত্যক্ষদর্শীরা কেউ এগিয়ে আসেনি।প্রত্যক্ষদর্শী নাজনিন বলেন, সুটিয়াকাঠি ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের মৃত আজিজুল হকের ছেলে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সহ সম্পাদক কামাল হোসেন, মৃত বেল্লাল মিয়ার ছেলে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ কামরুল হোসেন, কৌরিখাড়া বেপারী বাড়ির সুন্দর আলী মিয়ার ছেলে মোঃ মাছুম বিল্লাহ সহ কয়েকজন সাজেদাকে মাটিতে ফেলে লাথি মারতে থাকে। এ সময় কামাল ও কামরুল সাজেদার কাপড় টেনে খুলে ফেলে ২৫ থেকে ৩০ জন সন্ত্রাসী উল্লাস করতে থাকে বলে তিনি জানান। নাজনিন বলেন আমি সহ কয়েকজন মহিলা দৌড়ে এলে আসামী কামরুল ও মাসুম তাদের মারধরের চেষ্টা করে। পরে রাস্তায় দাড়ানো গ্রামবাসীরা এগিয়ে আসলে কামরুল কামাল সহ অন্য সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন সন্ত্রাসী মাছুম, কামাল ও কামরুল সাজেদাকে নির্যাতন হুংকার দিয়েছে যে, তারা আওয়ামী লীগের লোক তাদের কেউ কিছু করতে পারবেনা।
এ বিষয়ে নারীকে মারধরকারী কিবরিয়া বলেন, আমার পিতা মৃত ছত্তার আকনের জমি এটা। সেখানে ছাগল রাখার ঘর ছিল। কিন্ত দুই মাস পূর্বে দখল নিয়ে ঘর করেছে। বিষয়টি আমি সুটিয়াকাঠি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক অসিম আকনকে জানাই। তিনি আমাকে ঘর ভেঙ্গে দখল নিতে বলেছেন। তার কথায় কামাল, কামরুল, মাসুম, ভাই ইলিয়াস ও শামছুল হক খানের ছেলে শাহিন খান সহ আওয়ামীলীগের অনেকেই আমার পক্ষে এসেছেন।
বিষয়টি নিয়ে অসীম আকন বলেন, আমার সাথে এ রকম কোন আলোচনাই কিবরিয়া বা অন্য কেউ করে নাই। ওরা এখন বাচার জন্য আমার নাম ব্যবহার করছে। আমি এ ঘটনা পরে জেনেছি।
সুটিয়াকাঠি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ ফজলুল হক খোকন বলেন, সম্পত্তিটি নিয়ে মামলা রয়েছে। তাই উভয় পক্ষকে স্থিতিবস্থায় থাকতে বলেছি। মহিলাকে মারধর করেছে তা আমি শুনেছি।
এ ব্যাপারে সুটিয়াকাঠি ইউপি চেয়ারম্যান গাউস মিয়া তালুকদার বলেন আওয়ামী লীগের পদধারীরা অন্যের সম্পত্তি দখলের জন্য ভাড়ায় যাবে যা কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায় না। এরা দলের মধ্যে থেকে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ পল্টু বলেন আমি খবর পেয়ে ওই স্থানে গিয়ে দেখি কামাল কামরুল ও মাসুম সহ একাধিক সন্ত্রাসী ঘর ভাংচুর করে আসবাবপত্র বাহিরে ফেলে দিয়েছে। পরে জানতে পারি সাজেদাকে কয়েকজন মিলে স্বরুপকাঠি সরকারি স্বাস্থ্য ক্লিনিকে ভর্তি করেছে।