3:05 pm , December 2, 2018
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ জেলার ৬টি আসনে জাতীয় পার্টিসহ ৯ স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এক ভাগ সমর্থক ভোটার না থাকা, মৃত ব্যক্তির স্বাক্ষর জাল এবং দায়-দেনার কারনে তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। তবে তারা আগামী তিন দিনের মধ্যে আপিলের সুযোগ পাবেন। গতকাল রোববার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বরিশাল-১ (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া) আসনে জাকের পার্টি’র প্রার্থী বাদশা মিয়া’র ৮ হাজার ২৭৯ টাকা পৌর (হোল্ডিং) কর বকেয়া রয়েছে। এজন্য তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
বরিশাল-২ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ও চিত্র নায়ক মাসুদ পারভেজ (সোহেল রানা) এর ৪ হাজার ১৭৪ টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার ৭ দিন পূর্বে সকল বকেয়া পরিশোধ করতে হবে। কিন্তু তিনি রোববার বকেয়া পরিশোধ করেছেন। তাই তার মনোনয়নপত্রটি বাতিল বলে বিবেচিত হয়েছে।
এছাড়া বরিশাল-২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করা সৈয়দা রুবিনা আক্তার ও ক্যাপ্টেন (অবঃ) এম মোয়াজ্জেম হোসেন এক ভাগ সমর্থক ভোটারের যে তালিকা জমা দিয়েছেন তার মধ্যে মৃত ব্যক্তির নাম এবং তার স্বাক্ষর থাকায় বাতিল হয়েছে। একই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত অপর প্রার্থী শেরে বাংলা একে ফজলুল হক এর দৌহিত্র একে ফাইয়াজুল হক রাজু ও অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী আনিচুজ্জামান এর দেয়া সমর্থক ভোটারের ১০ জনের মধ্যে একজন করে সমর্থকের খোঁজ বা কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। তাই তাদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। বরিশাল-৩ (মুলাদী-বাবুগঞ্জ) আসনে বাংলাদেশ কমিউনিষ্ট পার্টির প্রার্থী নূরুল ইসলাম হলফনামায় দেয়া আটটি তথ্য পুরন করেননি। তাছাড়া বরিশাল-৬ আসনে লটারীতে ওঠা স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হুসেইন এর ক্রমিক নং খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাই ওই দুই প্রার্থীর মনোনয়পত্র বাতিল করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান বলেন, বরিশালের ৬টি আসনে মোট ৫২ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এর মধ্যে জাতীয় পার্টির (কাঠাল প্রতীক) এইচএম মাসুম বিল্লাহ নামের প্রার্থী সদর আসনে অনলাইনের মাধ্যমে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ৫২ জন প্রার্থীর দাখিলকৃত মনোনয়নপত্র ও কাগজপত্র যাচাই বাছাই করে ১১টিতে ত্রুটি পাওয়া যায়। ওই প্রার্থীদের বিকাল ৫টা পর্যন্ত ত্রুটি-বিচ্যুতির বিপক্ষে বৈধ কাগজপত্র বা সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে সময় দেয়া হয়। এ সময়ের মধ্যে দু’জন প্রার্থী যথাযথ ব্যাখ্যা দিলেও বাকি ৯ জন্য ব্যর্থ হয়েছেন।