মেহেন্দিগঞ্জে প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া চলছে হামলা মামলা ও সরকারী প্রভাবসহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগ বিএনপির মেহেন্দিগঞ্জে প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া চলছে হামলা মামলা ও সরকারী প্রভাবসহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগ বিএনপির - ajkerparibartan.com
মেহেন্দিগঞ্জে প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া চলছে হামলা মামলা ও সরকারী প্রভাবসহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগ বিএনপির

3:08 pm , November 29, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল ৪ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মেজবাহউদ্দিন ফরহাদের কর্মীদের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল দুপুর ১টায় নগরীর সদর রোডে বিএনপি’র দলীয় কার্য্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে বরিশাল ৪ আসনের বিএনপি প্রার্থী মেজবাহউদ্দিন ফরহাদ অভিযোগ করেন আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বরিশাল ৪ আসনের আওয়ামীলীগের প্রার্থী পংকজ দেবনাথ তার ক্যাডার বাহিনী দিয়ে নির্বাচনী কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করছেন। মেজবাউদ্দিন ফরহাদ সাংবাদিকদের বলেন, ২৮ নভেম্বর মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিনে হিজলা উপজেলার সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার নিকট তিনি মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। পরে সেখানে নেতাকর্মীদের নিয়ে দোয়া মোনাজাত সম্পন্ন করে মেহেন্দিগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা কার্যালয়ে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার নিকট তিনি মনোনয়নপত্র দাখিল করা কালীন সময়ে জানতে পারেন হিজলা থেকে তার নেতাকর্মীরা মেহেন্দিগঞ্জ আসার পথে পংকজ দেবনাথ এর ক্যাডার বাহিনীর অতর্কিত হামলার শিকার হয়েছেন। তার কর্মীদের অগ্নেয়া¯্র, পিস্তল, কাটা রাইফেলের বাট দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। এ সময় কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলিও ছোড়েন সন্ত্রাসীরা। মেজবাহউদ্দিন ফরহাদ বলেন এই যদি হয় লেভেল প্লেইং ফিল্ড এর নমুনা তাহলে কেমন নির্বাচন হবে সেটা বোঝাই যাচ্ছে।
আহতদের মধ্যে চারজন শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।এদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।এ ঘটনা রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বললে তিনি বের হয়ে বিষয়টি দেখার আশ্বাস দেন। কিন্তু তিনি তার কার্য্যালয় থেকে বের হননি। নির্বাচন কমিশন ইতিপূর্বে বলেছে, সংসদ সদস্যরা কোন প্রটোকল ব্যবহার করতে পারবেন না। কিন্তু পঙ্কজ দেবনাথ তার এলাকায় রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ সহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড উদ্বোধন করছেন।আর অন্যদিকে প্রশাসন আমার কর্মীদের বাসায় তল্লাশী করছে। পংকজ দেবনাথ পুলিশ প্রটোকল ব্যবহার করছেন। তিনি তার পছন্দমতো ওসি, ইউএনও, এসআই দেরকে মেহেন্দিগঞ্জে নিয়োগ করেছেন। সে ওই এলাকায় রাম রাজত্ব কায়েম করেছেন। এখানে কোন ধরনের লেভেল প্লেইং ফিল্ড নেই। এ ঘটনায় গতকাল রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্য্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান মেজবাহ ইদ্দিন ফরহাদ।
তিনি আরো বলেন,পঙ্কজ দেবনাথ প্রভাব খাটিয়ে তার বাড়ির দরজায় ১০ হাজার লোকের জন্য সাতটি ভোট কেন্দ্র তৈরি করেছেন। এটা সম্পূর্ণ আইন বহির্ভূত। এমনকি নির্বাচনে সে পছন্দ মত লোকদের পোলিং ও প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ দিচ্ছেন। আমি এই হামলার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি এবং যারা অবৈধ অস্ত্রের মহড়া দিয়েছে তাদেরকে অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি। সাধারণ মানুষ এ সকল অস্ত্রধারীদের মহড়ায় শংকিত। তারা কেমন করে ভোট কেন্দ্রে যাবে বলেও প্রশ্ন রাখেন মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত বিএনপি’র কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন, আসন্ন নির্বাচন এ সরকারের বিরুদ্ধে একটি আন্দোলন। নির্বাচন কমিশন আমাদেরকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তার যে কোন কার্যকারিতা নেই তা মেহেন্দিগঞ্জের ঘটনাই প্রমাণ করে। তারপরও আমরা শুধুমাত্র আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচনে যাচ্ছি। আমরা যে ৭ দফা দাবি দিয়েছিলাম তা মানা না হলেও, নির্বাচন কমিশন আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছিল, নির্বাচনে লেভেল প্লেইং ফিল্ড থাকবে। কিন্তু কোন লেভেল প্লেইং ফিল্ড এখন পর্যন্ত দেখা যাচ্ছেনা। বর্তমান এমপিরা প্রটোকল নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করছেন, এটা কোন লেভেল প্লেইং ফিল্ড হতে পারেনা। কিন্তু আমরা বলতে চাই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারীর মতো নির্বাচন হবে না। এটা যদি কেউ মনে করে তাহলে ভুল করবে। মেহেন্দিগঞ্জে যা হয়েছে তা প্রমাণ করে নির্বাচন কমিশন আজ্ঞাবহ হয়ে কাজ করছে। অপরদিকে আমাদের দলের কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। সমস্ত আইন শৃঙ্খলা বাহিনী যে ভাবে নির্বাচন পরিচালনা করার কথা ছিল তা তারা করছেন না। আমরা কিছুতেই আর একটি প্রহসনের নির্বাচন হতে দেবো না। নির্বাচনে সমতল ভূমির ক্ষেত্র তৈরি করে নির্বাচন কমিশনকে সবাইকে সমান সুযোগ দিতে হবে। মজিবর রহমান সরোয়ার আরো বলেন, গত ৫ বছর ধরেই মেহেন্দিগঞ্জে অশান্ত পরিস্থিতি ছিল। এখনো তা আছে। নির্বাচনে সমতল ভূমি ক্ষেত্র না হলে সকল ধরনের দায় এ সরকারকে নিতে হবে। নির্বাচন কমিশনকে আজ্ঞাবহ না হয়ে সেখান থেকে বের হয়ে এসে গণতন্ত্রিক ভূমিকা রাখতে হবে। এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সরোয়ার বলেন, লেভেল প্লেইং ফিল্ডের কি অবস্থা তা তো আপনারা বুঝতেই পারছেন। বিএনপি সারা দেশের মধ্যে জনপ্রিয় নেতাদের নমিনেশন দেয়ায় আওয়ামী লীগ ভীত সন্ত্রস্ত অবস্থায় রয়েছে। তারা বুঝতে পেরেছে গনেশ উল্টে যেতে পারে। এজন্য তারা এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে নির্বাচনের স্বাভাবিক পরিস্থিতি ব্যাহত করার চেষ্টা করছে। সরকারের নিয়োগ দেওয়া বর্তমান প্রশাসন এখনো পরিবর্তন করা হয়নি। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে যারা ছিল এখনো তারা বহাল রয়েছে। ঐ সকল প্রশাসন এখানে ভোটারদের নিকট একটি আতংক। দ্রুত প্রশাসনের রদবদল প্রয়োজন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত বিএনপি’র কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান বলেন, আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য সাবেক হলেও তারা বর্তমানে সংসদ সদস্যের ভূমিকায় কাজ করছেন। নির্বাচনের আগে ভোটের যে উচ্ছ্বাস থাকে বিএনপি’র কর্মীরা কিন্তু সে উচ্ছাস নিয়ে কাজ করতে পারছে না। মেহেন্দিগঞ্জের ঘটনায় অবশ্যই শাস্তি মূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। এমনকি আওয়ামী লীগের যিনি প্রার্থী তাকেও নিয়মের মধ্যে থেকে কাজ করতে হবে। তিনি যতই প্রভাবশালী হোক না কেন তার বিরুদ্ধে যদি ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হয় তাহলে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হবে। নিয়মিত নেতাকর্মীদের গায়েবী মামলা দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেন সেলিমা রহমান। এ সময় তিনি আরো গতকালও বলেন ৪৫ জন নেতাকর্মীর আদালতে হাজিরা ছিল। পুরো এ সপ্তাহটি আমরা নিজেরা হাজিরা দিতে দিতে কাটিয়েছি। এ পরিস্থিতি থেকে মুক্ত না হলে কোন ক্রমেই নির্বাচনের পরিবেশ স্বাভাবিক বলা চলবে না। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিন জেলা জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক এ্যাড.আবুল কালাম শাহীন, বিএনপি নেতা আনোয়ারুল হক তারিন, মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আনোয়ার হোসেন লাবু, উত্তর জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট নূরুল আলম রাজু, মহানগর যুবদলের সভাপতি অ্যাডভোকেট পারভেজ আকন বিপ্লব, সাধারণ সম্পাদক হাফিজ আহমেদ বাবলু, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা জে এম আমিনুল ইসলাম লিপন সহ বিভিন্ন ইউনিট কমিটির নেতৃবৃন্দ। সাংবাদিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্ট টিভির ব্যুরো প্রধান মুরাদ আহাম্মেদ, দৈনিক সমকালের ব্যুরো প্রধান পুলক চ্যাটার্জি, দৈনিক আজকের পরিবর্তনের প্রকাশক ও সম্পাদক এবং কীর্তনখোলা পত্রিকার প্রকাশক কাজী মিরাজ মাহমুদ, এটিএন বাংলার রিপোর্টার হুমায়ুন কবির, বাংলাদেশ প্রতিদিনের ব্যুরো প্রধান রাহাত খান সহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ। এদিকে হামলার ঘটনায় বরিশাল জেলা প্রশাসক এবং রিটার্নিং কর্মকর্তা এস এম অজিয়র রহমানের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন বরিশাল ৪ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ। লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন গত ২৮ নভেম্বর বুধবার জেলা প্রশাসক কার্য্যাালয়ে সকাল ১০ টায় মনোনয়ন জমা দান করে হিজলায় দুপুর ১২ টায় মনোনযয়ন জমা দিয়ে মেহেন্দিগঞ্জ সহকারি রিটানিং অফিসারের কার্যালয়ে দুপুর ২ টায় মনোনয়ন জমা দিতে গেলে পংকজ দেবনাথ এমপির নির্দেশে শ্রমিক লীগ নেতা মনির জমাদ্দার, বাবুল মিয়া, জয়নাল রাঢ়ী, ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক শাকিল বেপারী নেতৃত্বে শতাধিক ক্যাডাররা গন্তব্যে রওনা হওয়া আমার নিরীহ নেতাকর্মীদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে হাশেম রানীকে মারাত্মক জখম করে। আমার ছোট ভাই কাজী জহির উদ্দিন নিশাত ও চাচাতো ভাই কাজী মাকসুদুর রহমান কে অগ্নেয়াস্ত্রের বাট দিয়ে মাথায় আঘাত করে মারাত্মক জখম করে। তারা শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। হাসেম রাঢ়ীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। এছাড়াও ক্যাডারদের হামলায় আহত অন্যরা হলেন মনির হওলাদার, মোফাজ্জেল জমাদার, লিপু সিপাই, আলামিন জমাদার, মোবাশ্বের বেপারী ,মুরাদ খান, সাদ্দাম হোসেন, কালাম তালুকদার, রায়হান স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন। উল্লেখ্য যে ৮ নভেম্বর তফসিল ঘোষণার দিন থেকে হিজলা- মেহেন্দিগঞ্জ-কাজিরহাটে বিভিন্ন স্থানে হাট বাজার গ্রাাম গঞ্জে পঙ্কজ দেবনাথের ক্যাডাররা প্রকাশ্যে সশস্ত্র মহড়া ও মিছিল দিচ্ছে। পংকজ দেবনাথ সংসদ সদস্য হিসেবে প্রশাসনের সকল ধরনের সহযোগিতা নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় সভা-সমাবেশ অব্যাহত রাখার পাশাপাশি নৌকা প্রতীকে ভোট চাওয়া এবং আমার নির্বাচনী কাজে সম্পৃক্ত থাকা এবং দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাদের নাম উল্লেখ করে হাত পা ভেঙ্গে দেয়ার হুমকি দিচ্ছে। এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য হুমকি অব্যাহত রাখছে। তার নির্দেশ অনুযায়ী হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জ ও কাজিরহাট থানার মামলা দিয়ে আমার দলীয় কর্মীদের এলাকা থেকে সরিয়ে রাখতে চেষ্টা করছে। এছাড়াও আরও মামলা দেয়ার পায়তারা করছে। তফসিল ঘোষণার পর বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের ফলক উম্মোচন করছে ও প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন যা নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘন। অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয় বিভিন্ন এলাকায় মোটরসাইকেল মহড়া সহ মিছিল অব্যাহত রাখছে। তিনি নির্বাচন সংিিশ্লষ্ট কর্মকর্তাদের ওপর খবরদারি করে ভোট কেন্দ্রের পরিবর্তন এবং পরিবর্ধন করেছেন নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী সুযোগ সুবিধা ভোগ ও ভোট রেগিং করতে। এছাড়া নির্বাচন সংশ্লিষ্ট পুলিশ অফিসার, সরকারি পোলিং অফিসারসহ নির্বাচন কাজে সহযোগিতার জন্য নিজের পছন্দ অনুযায়ী প্রদত্ত লোকদের নামের তালিকা বাস্তবায়ন করেছেন। এ বিষয়ে রিটার্নিং অফিসার হিসেবে জেলা প্রশাসক ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারদেরসহ নিয়ন্ত্রিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে মোবাইল ফোনে অভিযোগ জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাইনি।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT