2:55 pm , November 24, 2018
কলাপাড়া প্রতিবেদক ॥ বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক শামীম আল সাইফুল সোহাগসহ তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে বরাদ্দ পাওয়া খাস জমি থেকে ভূমিহীন চারটি পরিবারের সদস্যদের উচ্ছেদের চেষ্টার অভিযোগে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে ভূক্তভোগীরা। গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় কলাপাড়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উদ্বিগ্ন চারটি পরিবারে পক্ষে মোসাঃ ইনারা বেগম। এসময় অন্যান্য পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। তিনি লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন, পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার বালিয়াতলী ইউনিয়নের সোনাপাড়া মৌজায় ৬নং দাগে দেড় একর খাস জমি আমার নানা মৃতঃ মোহাম্মাদ গাজী ও নানী মৃতঃ হালিমা খাতুন ভূমিহীন কৃষক হিসেবে ভোগদখল বুঝে পান। একই ভাবে আঃ খালেক গাজী, মোঃ নুর আলম এবং খাদিজা বেগম, মোঃ নোয়াব মোল্লা এবং হাওয়া বেগম দেড় একর করে জমি ভোগ দখল করে আসছে। তাদের প্রাপ্ত ছয় একর জমিতে বাড়ি-ঘর, বাগান-পুকুর খনন করে বসবাস এবং জমি চাষবাস করে ফসল উৎপাদন করছেন।
কিন্তু সেই জমিতে যুবলীগ নেতা এবং কলাপাড়া থেকে এমপি প্রার্থী হওয়ার জন্য বিভিন্ন পোস্টার লিফলেট টানিয়ে প্রচার প্রচারনার পাশাপাশি ভূমিহীন কৃষকদের জমি লুটপাট এবং আত্মসাৎ করার পায়তারা করছে শামীম আল সাইফুল সোহাগ। একই সঙ্গে তার সহযোগিদের নিয়ে আমাদের অন্যায় ভাবে উৎখাত করার জন্য নানা ভাবে জাল জালিয়াত কাগজ পত্র তৈরী করে এবং আমাদের খুন যখমের হুমকি দিয়া উক্ত জমি থেকে উচ্ছেদের পায়তারা করছে। তার সহযোগি সন্ত্রাসী মো. খলিল, রিপন বেপারী, মাকিত হোসেন সার্বক্ষনিক আমাদের সশস্ত্রাবস্থায় জীনব নাশের হুমকি দিয়ে আসছে। এই বাহিনীর সদস্যরা গত ২১ নভেম্বর রাতে শামীম আল সাইফুল সোহাগের সন্দ্রাসী বাহিনী আমার ২০০ টি কুমার গাছ, ২০০টি চাম্বল গাছ, ১৫০টি রেইনট্রি গাছের চারা নস্ট করে ফেলে। এঘটনায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।
সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি আরো উল্লেখ করেন, শামীম আল সাইফুল সোহাগ ঢাকায় থাকায় ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকার মো. হানিফ নামের এক ব্যক্তির মাধ্যমে এবং কলাপাড়ায় মো. খলিল খানের মাধ্যমে অপর একটি চুরির মামলা দিয়ে আমাদের নানা ভাবে হয়রানী করে আসছে। বর্তমানে তারা এই হরানী এবং দখল সন্ত্রাসের কবল থেকে মুক্তি পেতে সরকার এবং প্রশাসনের উধ্বর্তণ কর্মকর্তাদের সহায়তা দাবি করছেন।
এব্যাপারে শামীম আল সাইফুল সোহাগের সঙ্গে ০১৭১২০০২৬৬৭ মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে শামীম আল সাইফুল সোহাগের পিতা হাজী আব্দুল খালেক মিয়া জানায়, এই জমি নিয়ে কলাপাড়া সহকারি জজ আদালতে একটি মামলা চলমান আছে। মামলার রায় না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছেনা। এর আগেও তারা একটি কলাপাড়া ইউএনও সাহেবের কাছে একটি মামলা দায়ের করলে তা তদন্তসাপেক্ষে তাদের জমি আমার ছেলের ঘেরের ভিতরে দাবি করার বিষয়টি মিথ্যা প্রমানিত হওয়ায় মামলাটি খারিজ হয়ে যায়। তবে তারাই আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করে আসছে। আমার ছেলেকে সামাজিক ভাবে হয়রানী এবং হেওপ্রতিপন্ন করার জন্য একটি চক্রের মাধ্যমে তারা এধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।
শামীম আল সাইফুল সোহাগের মো. খলিল খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ইরানী বেগমসহ অন্যান্যদের কবুলিয়াত জমির অস্তিত্ব খুজে পাওয়া যায়না। তারা শামীম আল সাইফুল সোহাগের মাছের ঘেরের ভিতরে জমি দাবি করে আসছে। তবে কলাপাড়া ভূমি অফিস কর্তৃপক্ষ এবং কলাপাড়া থানা পুলিশের তদন্তে তা মিথ্যা প্রমানীত হয়েছে। আমি ইরানী বেগমসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে গত ০৩/০৪/২০১৮ তারিখ যে মামলাটি দায়ের করেছি সেটা হচ্ছে সোহাগ এর মাছের ঘেরের মাছ চুরি এবং বিষপ্রয়োগ করে নিধর করার অপরাধে।