6:51 pm , April 25, 2018
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ স্ত্রীর ছুড়ে মারা ইটের আঘাতে স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে নগরীর কালুশাহ সড়ক এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত আনোয়ার হোসেন খান (৫৫)। তিনি ১৪ নং ওয়ার্ডের আওতাধিন কালুশাহ সড়কের আফতাব উদ্দিন খানের ছেলে। পেশায় তিনি একজন ব্যবসায়ী ছিলেন।
নিহতের মেয়ে আলেকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী নাঈমা খাতুন বলেন, বাবা ও মায়ের মধ্যে প্রায়শ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝগড়া হতো। সর্বশেষ বুধবার সকালে ছোট ভাইকে নিয়ে স্কুলে যাওয়ার প্রস্তুতি নেয়া হয়। তখন ভাই নাঈম বাবা আনোয়ার হোসেন’র কাছে নাস্তা এবং সে খাতা কেনার টাকা চায়। এজন্য বাবা তাকে গালমন্দ এবং ভাই নাঈমকে মারধর করে। তখন মা লিজা বেগম বাবাকে বকা দিলে দু’জনের মধ্যে ঝগড়া হয়। এক পর্যায় নানা শাহজাহান খানকে ডাকা হয়। নগরীর কালিবাড়ি রোড থেকে তিনি আমাদের বাসায় আসেন। এতে বাবা ক্ষিপ্ত হয়ে নানাকেও অকথ্য ভাষায় গালি এবং মারধরের চেষ্টা করে। তখন বাবা ও নানার পাশে থাকা ইট সরিয়ে ফেলতে মা বাইরে ছুড়ে মারেন। এ সময় দুর্ঘটনা বসত ইট বাবার মাথায় লেগে গুরুতর আহত হন। তাৎক্ষনিক ভাবে মা ও নানা বাবাকে উদ্ধার করে শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে যায়।
নিহতের ভাই মো. নূর হোসেন খান বলেন, ভাই আনোয়ারের পরিবারে দীর্ঘ দিন থেকেই কলহ ছিলো। পরিবারে অস্বচ্ছলতার কারনে প্রায়শই সে স্ত্রী এবং সন্তানদের সাথে খারাপ ব্যবহার করতো। এমনকি মারধরও করা হতো স্ত্রী-সন্তানকে।
তিনি বলেন, বুধবার সকালে ছেলে মেয়ে টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এর পরে শুনতে পাই স্ত্রীর ছোড়া ইটের আঘাতে স্বামী আনোয়ার গুরুতর আহত হয়েছে। গুরুতর অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেয়া হলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন।
এ বিষয়ে কোতয়ালী মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সত্য রঞ্জন খাসকেল বলেন, নিহতের ঘটনায় আপাতত থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি। কেননা পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ কোন অভিযোগ করেনি। অবশ্য গতকালই হাসপাতালের মর্গে নিহতের মৃত দেহের ময়না তদন্ত করা হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্টে হত্যার প্রমান পাওয়া গেলে পরিবার না চাইলেও পুলিশ বাদি হয়ে মামলা করবে। তাছাড়া আপাতত পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।