নির্যাতনের শিকার গৃহকর্মী শিশু কন্যাকে সার্বিক সহযোগিতা করবেন পুলিশ কমিশনার নির্যাতনের শিকার গৃহকর্মী শিশু কন্যাকে সার্বিক সহযোগিতা করবেন পুলিশ কমিশনার - ajkerparibartan.com
নির্যাতনের শিকার গৃহকর্মী শিশু কন্যাকে সার্বিক সহযোগিতা করবেন পুলিশ কমিশনার

5:41 pm , October 17, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ নগরীতে গৃহকর্মী শিশু লামিয়া আক্তার মরিয়মকে নির্যানতকারী একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম চৌধুরী এখনো ধরা ছোয়ার বাইরে রয়েছে। তবে এই ঘটনায় আটককৃত গৃহকর্তী শারমিন আক্তার শিশু কণ্যা সহ জেলে রয়েছে। আত্মগোপনে থাকা গৃহকর্তা আশরাফুল ইসলাম চৌধুরীকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার মো. মোশারফ হোসেন। সেই সাথে নির্যাতনের শিকার শিশুর সার্বিক সহযোগিতার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি। গতকাল বুধবার নগর পুলিশ প্রধান মো. মোশারফ হোসেন শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধিন শিশুর খোঁজ খবর নিতে গিয়ে সাংবাদিকদের এমন কথাই জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, শিশু নির্যাতন একটি জঘন্যতম অপরাধ। এই অপরাধের কোন ছাড় নেই। লামিয়ার উপর যারা নির্যাতন করেছে তাদেরকেও ছাড় দেয়া হবে না। নির্যাতনকারী পালিয়ে থেকেও রক্ষা পাবে না। অতি শিঘ্রই তাকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে জানিয়ে পুলিশ কমিশনার বলেন, এ ধরনের অনেক ঘটনাই ঘটে থাকে। যা বাইরে প্রকাশ পায় না। তাই এই ধরনের নির্যাতনের ঘটনা কারোর জানা থাকলে তা পুলিশকে অবহিত করার পরামর্শ দেন নগর পুলিশ প্রধান মোশারফ হোসেন’র।
কমিশনার বলেন, কেউ সরাসরি অভিযোগ করতে না চাইলে প্রয়োজনে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের “বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ-বিএমপি” নামক ফেসবুক পেজে অভিযোগ বা ঘটনা তুলে ধরতে পারেন। আমরা সেই অভিযোগের প্রতিও গুরুত্ব দিয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করে থাকি। যার উদাহরন লামিয়া আক্তার মরিয়মের বিষয়টি।
নিজের নাম পরিচয় গোপন রাখার শর্তে লামিয়াকে নির্যাতনের বিষয়টি পুলিশের ফেসবুক পেজে তুলে ধরেন একজন ব্যক্তি। ফেসবুকে পাওয়া ওই তথ্যের ভিত্তিতে বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব দিয়ে পুলিশ কমিশনার মো. মোশারফ হোসেন শিশুটিকে উদ্ধারে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন নগর পুলিশের অপরাধ ও মিডিয়া বিভাগ (ডিবি) এর সহকারী কমিশনারকে। সে অনুযায়ী তথ্য দাতার নাম পরিচয় গোপন রেখেই ১৫ অক্টোবর সহকারী পুলিশ কমিশনার নাসির উদ্দিন মল্লিক এর নেতৃত্বে নগরীর বিমানবন্দর থানাধীন ২৯নং ওয়ার্ডের মদিনা সড়কের “আকাশ মঞ্জিল” এর চতুর্থ তলার ভাড়াটিয়া আশরাফুল ইসলাম চৌধুরীর বাসা থেকে লামিয়া আক্তার মরিয়মকে উদ্ধার করা হয়। একই সময় আটক করা হয় আশরাফুলের স্ত্রী গৃহকর্তী শারমিন আক্তারকে। এমনকি ডিবি পুলিশ বাদী হয়ে এই ঘটনায় মামলাও করেছেন। ওই মামলায় শারমিন জেল হাজতে থাকলেও আত্মগোপনে রয়েছে তার স্বামী আশরাফুল।
উল্লেখ্য, গত ১৫ অক্টোবর উদ্ধার হওয়া গৃহপরিচারিকা লামিয়া আক্তার মরিয়ম গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর নোয়াপাড়া গ্রামের রিক্সা চালক ইকবাল সরদারের কণ্যা। পালাতক আসামী আশরাফুল ইসলাম চৌধুরী লামিয়ার দাদীকে প্রলোভন দেখিয়ে তাদের শিশু কণ্যার দেখভালের জন্য নিয়ে আসে। কিন্তু বরিশালে এনে ঘরে আটকে রেখে লামিয়াকে দিয়ে ঘরের যাবতীয় কাজ করিয়ে নেয় তার স্ত্রী। এমনকি কারনে অকারনে গৃহকর্মী লামিয়াকে নির্যাতন অকথ্য নির্যাতন করে। মাথার চুল কেটে ন্যাড়া করে দেয়। নির্যাতনের ফলে চোখের চার পাশ কালো হয়ে ফুলে যায়। মাথা এবং হাতে ক্ষত হয়। কিন্তু চিকিৎসা না করিয়ে তাকে আটকে রাখা হয়।
এদিকে শিশুটিকে উদ্ধারের পরে ওই রাতেই তাকে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার দেখভালের জন্য পুলিশের একজন নারী কনস্টেবলকে দায়িত্ব দেয়া হয়। তিনিই সার্বক্ষনিক তার পাশে থেকে তদারকি করছেন। তাছাড়া পুলিশ কমিশনার নিজেই শিশুর চিকিৎসা এবং আইনগত সহায়তা প্রদানের বিষয়টিতে তদারকি করছেন।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT