২২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী আজিম’র নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা ২২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী আজিম’র নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা - ajkerparibartan.com
২২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী আজিম’র নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা

6:11 pm , October 8, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ স্থগিত হওয়া কেন্দ্রে পুনঃনির্বাচনের আগেই হুমকি ও কারচুপি সহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে ভোট বর্জনের ঘোষনা দিয়েছে বিসিসি’র ২২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আ.ন.ম সাইফুল আহসান আজিম। গতকাল সোমবার বেলা ১২টার দিকে শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই ঘোষনা দেন। এর আগে গত ৩০ জুলাই ২২নং ওয়ার্ডে ঘুড়ি প্রতীক নিয়ে সাধারণ কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন তিনি।

এদিকে পুনঃনির্বাচনের মাত্র পাঁচ দিন পূর্বে নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়ানোর কোন সুযোগ নেই। নিয়ম অনযায়ী পূর্বে যে কজন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে তাদের নিয়েই ব্যালট এবং ভোটের আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

সংবাদ সম্মেলনে সাধারন কাউন্সিলর প্রার্থী আ.ন.ম সাইফুল আহসান আজিম বলেন, চলতি বছরের ৩০ জুলাই অনুষ্ঠিত সিটি নির্বাচনে ২২নং ওয়ার্ডে ঘুড়ি প্রতীক নিয়ে সাধারণ কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করি। নির্বাচনের দিন সকাল ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত এক ঘন্টার সুষ্ঠু নির্বাচনে চারটি কেন্দ্রে আমি ১৩শ’ ভোট পাই। এর পর পরই ভোটের পরিবেশ অস্বাভাবিক হয়ে ওঠে। কেন্দ্র থেকে আমার এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়। পরে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে নির্বাচন কমিশন ২২ নং ওয়ার্ডের চারটি কেন্দ্রের ফলাফল স্থগীত করে। তদন্ত করে নির্বাচন কমিশন চারটি কেন্দ্রেই অনিয়মের প্রমান পায়। কিন্তু তার পরেও আমি যেই কেন্দ্র দুটিতে ১৩শ ২০ ভোটে পিছিয়ে রয়েছি সেই কেন্দ্র দুটিতে পুনঃনির্বাচন দিয়েছে।

তিনি বলেন, ওই দুটি কেন্দ্রে পুনরায় ভোট গ্রহনকে কেন্দ্র করে এরই মধ্যে ঠেলাগাড়ি প্রতীকের প্রার্থী ও তার সমর্থকরা পূর্বের মত করেই আমার কর্মী-সমর্থকদের হুমকী দিচ্ছে। ভোটার স্লিপ প্রদানে বাঁধা সৃষ্টি করছে। দিন যতই এগোচ্ছে পরিবেশ ততই অস্বাভাবিক হচ্ছে। তাই সার্বিক দিক বিবেচনা করে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রত্যাহারের ঘোষনা দেন সাইফুল আহসান আজিম।

তবে তার এমন অভিযোগকে পরিকল্পিত মিথ্যাচার বলে দাবী করেছেন ২২নং ওয়ার্ডে ঠেলাগাড়ি প্রতীক নিয়ে সাধারণ কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা আওয়ামী লীগ সমর্থিক প্রার্থী মো. আনিছুর রহমান দুলাল। তিনি বলেন, ১৩ অক্টোবর নির্বাচন হবে সে বিষয়টি আমি সোমবার বিকালে জানতে পেরেছি। অথচ আমার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী সংবাদ সম্মেলন করেছে দুপুরে। এতেই প্রমান করে যে পরিকল্পিতভাবে মিথ্যাচার করতেই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

আনিছুর রহমান দুলাল বলেন, পুনঃনির্বাচনের তারিখ ঘোষনা না হওয়ায় আমি নির্বাচনী কোন কার্যক্রম পরিচালনা করছিনা। সম্প্রতি আওয়ামী লীগের একটি সভা ছাড়া আমার কর্মী সমর্থকরা কোথাও ভোট চাইতেও যায়নি। যেখানে প্রচারনা কিংবা নির্বাচনী কার্যক্রমই নেই সেখানে বাঁধা দেয়ার কথা আসে কিভাবে। মুলত সাইফুল আহসান আজিম নিজের পরাজয় নিশ্চিত তা বুঝতে পেরেই কৌশলে নির্বাচন থেকে সড়ে দাড়িয়েছে। কেননা যে দুটি কেন্দ্রে পুনরায় ভোট হবে সেখানে ভোটের সংখ্যা ৫ হাজার। অথচ যে দুটি কেন্দ্রে ভোট হয়েছে সেই দুটি কেন্দ্রে আমি ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছি। যে পরিমান ভোটে আমি এগিয়ে রয়েছে তাতে সাইফুল আহসান আজিম এর নির্বাচিত হওয়ার কোন সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, সংবাদ সম্মেলনে আজিম যে বক্তব্য উপস্থাপন করেছে তা আমি দেখেছি। সে বিএনপি’র প্রার্থী। তাই বর্তমানে বিএনপি যেভাবে মিথ্যাচার করছে, আজিম নিজেও সেই ভাবেই বলছে। তিনি চ্যালেঞ্জ করে বলেন, আপনারা সাংবাদিক। আমার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী যে অভিযোগ করেছেন তা আপনারা বাস্তবে তদন্ত করে দেখুন। তার অভিযোগের প্রমাণ দিতে পারলে স্বেচ্ছায় নির্বাচন থেকে সড়ে দাড়াবেন বলেও জানিয়েছেন।

এদিকে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মুজিবুর রহমান বলেন, প্রতীক বরাদ্দের পরে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের কোন সুযোগ নেই। প্রার্থী নির্বাচন থেকে সড়ে দাড়ালেও নিয়ম অনুযায়ী ভোটের ব্যালট পেপার ছাপা হবে। ভোটের যাবতীয় আয়োজন করা হবে। ভোটের ফলাফলে যে এগিয়ে থাকবে তিনিই নির্বাচিত হবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT