মা ইলিশ রক্ষায় শিকার নিষেধাজ্ঞা শুরু মা ইলিশ রক্ষায় শিকার নিষেধাজ্ঞা শুরু - ajkerparibartan.com
মা ইলিশ রক্ষায় শিকার নিষেধাজ্ঞা শুরু

5:51 pm , October 6, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ অভিযান শুরুর পথম দিনে ইলিশ বিক্রি, বিপনন, পরিবহন, বাজারজাতে নিষেধজ্ঞার উপরে রিট ও আদালতের শো-কজ আদেশের মধ্যেই প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় অভিযান শুরু হয়েছে। ৭ অক্টোবর রাত ১২টার পর থেকেই নদ-নদীতে অভিযানে নেমে পড়েছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সরকারের দেয়া নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মৎস্য বিভাগের নেতৃত্বে নৌ-বাহিনী, কোস্টগার্ড, র‌্যাব, জেলা এবং মেট্রোপলিটন পুলিশ ও নৌ পুলিশ এই অভিযান পরিচালনা করছে। মা ইলিশ রক্ষায় দেয়া নিষেধাজ্ঞার শেষ দিন আগামী ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত তাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। নদ-নদীতে ইলিশ নিধন, বিক্রি, বিপনন, পরিবহন, বাজারজাত সহ সকল ধরনের কার্যক্রম মনিটরিং করবেন তারা। অভিযুক্তদের ধরতে পারলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে করা হবে জেল জরিমানা। গতকাল শনিবার রাতে বরিশাল জেলার মৎস্য কর্মকর্তা (ইলিশ) বিমল চন্দ্র দাস এই তথ্য জানিয়েছেন।

এদিকে ইলিশ বিক্রি, বিপনন, পরিবহন, বাজারজাত নিষেধাজ্ঞার কারনে গতকাল শনিবার নগরীর ইলিশ মোকামে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভীড় ছিলো। গভির রাত পর্যন্ত পোর্ট রোডের মৎস্য অবতরন কেন্দ্রে বেচাবিক্রি ভালো হলেও বিক্রেতাদের মুখে হাসি ছিলো না। কেননা ক্ষতির আশংকায় সামান্য লাভেই বিক্রি করে দিতে হয়েছে বিভিন্ন সাইজের ইলিশ।

বরিশাল জেলার মৎস্য কর্মকর্তা বিমল চন্দ্র দাস বলেন, বছরে চারটি জোতে মা ইলিশ ডিম দিয়ে থাকে। যার একটি শুরু হয়েছে শনিবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে। চলতি মাসের ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত টানা ২২দিন মা ইলিশ নোনা পানিতে ডিম দিয়ে থাকে। তাই এই সময়ে নদ-নদীতে ইলিশ থেকে শুরু করে সব ধরনের মাছ নিধনে নিষেধাজ্ঞা থাকে। নিষেধাজ্ঞার মধ্যে জেলেরা যাতে মাছ শিকারে না যায় সে জন্য তাদের সরকারি ভাবে বিশেষ ভিজিএফ এর চাল বরাদ্দ দেয়া হয়। সে অনুযায়ী বরিশালে থাকা ৭৩ হাজার ৫৯৪ জন কার্ডধারী জেলের অনুকুলে ১৪ লাখ ৭১ হাজার ৮৮০ কেজি চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ২২ দিনের জন্য প্রতিজন জেলে পাবে ২০ কেজি করে চাল। এরই মধ্যে ওই চাল বরাদ্দ হয়ে গেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

মৎস্য কর্মকর্তা (ইলিশ) বিমল চন্দ্র দাস বলেন, জেলেদের দাবী তারা নিষেধাজ্ঞার আগে অর্থাৎ ৬ অক্টোবর যে ইলিশ শিকার করেছে তা তাদের ৭ অক্টোবর বিক্রি, বিপনন, পরিবহন, বাজারজাত করতে দিতে হবে। এসংক্রান্ত বিষয়ে আদালতে একটি মামলা করা হয়েছে। ওই মামলায় উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের শো-কজও করা হয়েছে বলে শুনেছি। কিন্তু এ সংক্রান্ত বিষয়ে উর্ধ্বতন মহল থেকে আমরা কোন আদেশ বা নির্দেশনা পাইনি। যে কারনে পূর্বের নিয়ম অনুযায়ী ৬ অক্টোবর রাত ১২টার পর পরই মা ইলিশ রক্ষায় আমাদের অভিযান শুরু হয়েছে।

মৎস্য বিভাগের নেতৃত্বে, র‌্যাব, পুলিশ, কোস্টগার্ড এবং নৌ-বাহিনী এই অভিযান পরিচালনা করছেন। পাশাপাশি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষাকারীদের গ্রেপ্তারের পরে তাৎক্ষনিক বিচারের জন্য মোবাইল কোর্ট রয়েছে। দেশের ইলিশ সম্পদ বৃদ্ধি করতে মা ইলিশ রক্ষা দেয়া সরকারের নির্দেশনা কঠোর ভাবেই বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন ওই মৎস্য কর্মকর্তা।

জেলে এবং ব্যবসায়ীরা যে দাবী তুলে মামলা করেছে সে বিষয়টি উল্লেখ করে বিমল চন্দ্র দাস বলেন, তারা যে দাবি তুলেছে সেটা আমার কাছেও যৌক্তিক। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা শুরুর প্রথম দিনে যে ইলিশ বিক্রি করা হবে সেটা যে আগের দিনের শিকার করা ইলিশ তার নিশ্চয়তা কে দিবে ? সুতরাং তাদের এই দাবির ভিত্তি নেই। তার পরেও উর্ধ্বতন মহল থেকে আমরা নির্দেশনা পেলে সে অনুযায়ী পরবর্তী কার্যক্রম চালিয়ে যাব।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT