আতংকে ছাত্রদলের সাবেক ও বর্তমান নেতারা আতংকে ছাত্রদলের সাবেক ও বর্তমান নেতারা - ajkerparibartan.com
আতংকে ছাত্রদলের সাবেক ও বর্তমান নেতারা

6:13 pm , September 20, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার উপর পদবঞ্চিত ছাত্রদল নেতার ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশে হামলার পর থেকে আতংকে ভুগছে ছাত্রদলের সদ্য ঘোষিত কমিটির নেতৃবৃন্দসহ সাবেক ছাত্রনেতারা। প্রকৃত ছাত্র নেতাদের বছরের পর বছর হাতিয়াড় হিসেবে ও নিজেদের স্বার্থ হাসিলে ব্যবহার করে তাদের বঞ্চিত করায় ক্ষিপ্ত কর্মীদের অনেকটাই এড়িয়ে চলছেন পদবীধারী নেতারা। তারা এখন চলাফেরায়ও অনেকটাই সাবধান। অভিযোগ পাওয়া গেছে, মাদক ব্যবসা, নারী কেলেংকারী, কমিটিতে পদ দেয়ার প্রলোভন দিয়ে ছাত্রনেতাদের কাছ থেকে নানা ধরনের সুবিধা গ্রহণ এমনকি বিকাশে টাকা নেয়া নামধারী সাবেক ছাত্রনেতারাই বেশি আতংকে রয়েছেন। সাবেক ছাত্রদল নেতা ও বর্তমান মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারন সম্পাদক মশিউর রহমান মঞ্জুর বিরুদ্ধে এসব সুবিধাভোগের অভিযোগ রয়েছে। সুবিধাভোগের পরও কমিটি গঠনের সময় প্রকৃত ত্যাগী ছাত্রনেতাদের পক্ষ অবলম্বন না করায় সাবেক ছাত্রনেতারা এখন এমন ক্ষোভের শিকার হচ্ছেন বলে জানান অভিযোগকারী পদবঞ্চিত ছাত্রদল নেতারা। তাদের কারনে বর্তমান ঘোষিত কমিটির অযোগ্যরা ক্ষোভের বাইরে নয় বলেও জানান তারা। পদ বঞ্চিত ও সাধারন ছাত্র নেতারা অভিযোগ করেন, মঞ্জু সহ বেশ কয়েকজন নেতার কুটকৌশলী হিসেবে পরিচয় রয়েছে। নির্দিষ্ট কয়েকজনের মধ্যে মঞ্জু অন্যতম সুবিধাভোগি ছিলেন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের বিতর্কিত কাজের অভিযোগ। তাই ক্ষোভের বহি.প্রকাশের প্রথম শিকার তিনিই হয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ছাত্রদলের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রের দেয়া তথ্যে জানা যায়, ২০১১ সালে বরিশাল জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের তিনমাস মেয়াদী আহবায়ক কমিটি গঠিত হয়। মহানগরের আহবায়ক হন খন্দকার আবুল হাসান লিমন ও জেলায় মাসুদ হাসান মামুন। তবে এই দুই নেতা সংগঠনকে সাজানো তো দুরের কথা, পুরোপুরি মেরুদন্ডহীন সংগঠনে পরিনত করেন। তৃনমুল থেকে নেতা তৈরিতে ব্যর্থ কমিটি টানা ৭ বছর দায়িত্ব আগলে রাখে। জেলা ও মহানগরের কোন যুগ্ম আহবায়ককেও তারা পারেননি নিয়ন্ত্রন করতে। দীর্ঘ সময় তাদের এই ব্যর্থতার ফলে মহানগর ও জেলা ছাত্রদল চলে যায় কিছু কুটকৌশলী স্বার্থলোভী নেতাদের দখলে। পদবীধারীদের নেতৃত্ব দেয়ার যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও কুটকৌশলী এসব নেতারা তৃনমুল কর্মীদের নিয়ে শুরু করেন নোংরা রাজনীতি। কখনও নতুন কমিটি হবে এমন প্রলোভনে, কখনও আবার নিজেদের কমিটির উচ্চ পদের দাবীদার বানিয়ে তৃনমুল কর্মীদের কাছ থেকে সুযোগ সুবিধা আদায় শুরু করেন। কর্মীদের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নেয়া সহ তাদের দিয়ে মাদক বিক্রয়ের মত কাজ করানের অভিযোগ রয়েছে। তবে সদ্য ক্ষোভের শিকার হওয়া মশিউর রহমান মঞ্জু সকল বিতর্ককে হারিয়ে দিয়েছেন তার নোংরা রাজনীতিকরনের মাধ্যমে। বাকসুর প্রয়াত ভিপি মশিউল আলম সেন্টুর ঘনিষ্ঠজন পরিচয়ে ছাত্রদলের রাজনীতিতে আসেন মশিউর রহমান মঞ্জু। পরে তিনি মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক হন। এর পর দল ও সংগঠনের কোন কাজে তাকে আর পাওয়া যায়নি দীর্ঘ সময়। এমনকি একবার ছাত্রদলসহ বিএনপি’র রাজনীতির সাথে জড়িত না থাকার ঘোষনা দিয়েছিল মঞ্জু। পরে নানা ধরনের অনৈতিক কাজে তার উপস্থিতি ছিল সর্বদা। এমন সুবিধা আদায়ের পর মঞ্জুর আসল চেহারা প্রকাশ পেতে শুরু করে। এরপর সে তার ব্যবসায় ছাত্রদল এর নেতা কর্মীদের পদবীর প্রলোভনে জড়ানোর চেষ্টা করে। ছাত্রদল নেতা হিসেবে মাঠে নামলেও তোষামোদ করে সে হয়ে যায় মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দল এর সাধারন সম্পাদক। অপরদিকে নেতাকর্মীদের কাছ থেকে নানা ধরনের সুবিধা গ্রহন করে তাদের পেছনে ক্ষতি করেন মঞ্জু। তবে মঞ্জুর ঘনিষ্ঠজনরা জানিয়েছেন, বিএম কলেজে সাংগঠনিক দক্ষতার মাধ্যমেই নিজের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছিলেন মঞ্জু। যেকারণে ছাত্রদলের বেশ কয়েকটি গ্রুপ তার উপর ক্ষিপ্ত ছিলো। একারণেও তার উপর হামলা হতে পারে। তবে, মঞ্জুর উপর হামলার পর থেকেই বেশ আতংকে রয়েছেন বিতর্কিত ছাত্র ও যুবদল নেতারা। চলাফেরায় তাদের এই সাবধানতা এখন অনেকটাই স্পষ্ট। বিশেষ করে ছাত্র ও যুবদলের নেতৃবৃন্দ এখন একাকী চলাফেরা করেন না বরং অনেককেই দেহরক্ষী নিয়ে চলাফেরা করতে দেখা গেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT