5:35 pm , September 14, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ নগরীতে হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে ছিনতাই। রাত একটু গভীর হলেই সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্র সক্রিয় হয়ে উঠে। নগরীর রাস্তায় পথচারী আনাগোনা বাড়লে কমে ছিনতাইকারীদের তৎপরতা। গত ১৫ দিনে সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্রের শিকার হয়েছে অন্ত.সত্ত্বা নারীসহ বেশ কয়েকজন। লঞ্চের যাত্রী ও গভীর রাতে চলাচলকারী এবং রিক্সাচালকরাই বেশি ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছে। নগরীর মধ্যে বিএম কলেজ এলাকা, বান্দ রোড, কাউনিয়া এলাকাসহ বিসিকে বেশি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। ছিনতাইকারীদের কৌশলে নগরময় র্যাব-পুলিশের টহল ও গোয়েন্দা নজরদারী কোন কাজে আসছে না। এ নিয়ে ছিনতাইয়ের শিকার ভুক্তভোগীসহ সংশ্লিষ্টরা ক্ষোভ প্রকাশ করে র্যাব-পুলিশ’র বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছেন। তাদের ভাষ্য নগরবাসীসহ নিরীহ মানুষদের নিরাপত্তা দিতে তারা ব্যর্থ। প্রাইভেট কার নিয়ে গত ৭ সেপ্টেম্বর নগরীর বিএম কলেজের সামনে ও বান্দ রোডে পৃথক দুই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ছিনতাইকারীরা অন্ত.সত্ত্বা মহিলা যাত্রীসহ দুই জনকে আহত করেছে। তারা শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি হয়। এ ঘটনায় কোতয়ালী মডেল থানায় জিডি করা হয়েছে। কিন্তু এখনও ছিনতাইকারীদের টিকিটিও ছুতে পারেনি পুলিশ। তবে কোতয়ালী মডেল থানার ওসি নুরুল ইসলাম জানিয়েছেন, প্রাইভেট কার সনাক্ত করা হয়েছে। কারটি খোঁজা হচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে ছিনতাইকারীদেরও গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।
ওসি আরো বলেন, তিনি কোতয়ালী থানায় যোগদানের পর একটি ছিনতাইয়ের অভিযোগ পেয়েছেন। এছাড়াও আর কোন ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে বলে শোনেননি।
তবে ছিনতাইয়ের শিকার নগরীর ব্যাটারিচালিত রিক্সা চালক আব্দুল মন্নান জানান, গত কয়েকদিনে ব্যাটারিচালিত রিক্সার অন্তত ৬ চালক ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন। ছিনতাইকারীরা যাত্রীবেশে উঠে নগরীর বিসিক এলাকায় নিয়ে সাথে টাকা ও মোবাইল সেট নিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা। প্রতিটি ঘটনাই একইভাবে ঘটেছে।
মন্নান জানায়, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২ টার দিকে লঞ্চঘাট থেকে দুই যুবক আতœীয় দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে জানিয়ে তড়িঘরি করে রিক্সায় উঠে বিসিক এলাকার ফরচুন সু কোম্পানী এলাকায় নেয়। সেখানে নিয়ে যাত্রীবেশের দুই ছিনতাইকারী চা-পাতি দেখিয়ে সাথে থাকা নগদ সাড়ে আটশ’ টাকা ও মোবাইল ফোন সেট নিয়ে যায়। কয়েক দিন পূর্বে একই স্থানে বাস করা রিক্সা চালক মোস্তাফিজকে এমনভাবে কাউনিয়া বিসিক এলাকায় নিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা। তারা মোস্তাফিজের কাছ থেকে নগদ দুই হাজার দুইশ’ টাকা ও মোবাইল ফোন সেট ছিনিয়ে নিয়েছে। একইভাবে অন্য এলাকার চার চালক ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছে কাউনিয়া ও কিংবা বিসিক এলাকায়।
এ বিষয়ে কাউনিয়া থানার ওসি গোলাম কবির জানান, টহল থাকলেও যাত্রীবেশে ছিনতাইকারীরা ছিনতাই করে। তাই এদের চিহিৃত করা সম্ভব হয় না। ছিনতাইয়ের শিকার হওয়া ভুক্তভোগীরা থানায় এসে অভিযোগ না দিলে কিংবা সহায়তা না করলে ছিনতাইকারী সনাক্ত করা যায় না। তবুও কাউনিয়া ও বিসিক এলাকায় টহল বাড়ানো হবে।