দূর্গা পূজা উপলক্ষে মন্দিরে মন্দিরে চলছে প্রতিমা নির্মাণ ॥ বাকী ৩৬ দিন দূর্গা পূজা উপলক্ষে মন্দিরে মন্দিরে চলছে প্রতিমা নির্মাণ ॥ বাকী ৩৬ দিন - ajkerparibartan.com
দূর্গা পূজা উপলক্ষে মন্দিরে মন্দিরে চলছে প্রতিমা নির্মাণ ॥ বাকী ৩৬ দিন

5:39 pm , September 8, 2018

জুবায়ের হোসেন ॥ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গা পুজার আর মাত্র এক মাস ৬ দিন বাকি। আগামী ৯ অক্টোবর মহালয়ায় দেবীর আগমনের মধ্য দিয়ে বৃহৎ এই উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। ১৫ অক্টোবর মহা ষষ্ঠীতে দেবীর বোধনের মাধ্যমে শুরু হবে দূর্গা পুজার মুল উৎসব। এখনও এক মাস বাকী তবে ইতিমধ্যেই উৎসবের আনন্দ বইতে শুরু করেছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মাঝে। নগরী সহ জেলা জুড়ে জোর শোরে চলছে প্রতিমা নির্মান এর কাজ। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত মৃৎ শিল্পীদের নিখুত হাতের ছোয়ায় তৈরি হচ্ছে দেবীর প্রতিমা নির্মান। নগরীর বিভিন্ন মন্ডপে কাঠের ফ্রেম নির্মান, খড় কুটো দিয়ে প্রতিমার আকৃতি তৈরি, মাটির প্রলেপ দেওয়ার কাজ চলছে। ষষ্ঠিতে দেবীর চক্ষু দানের মাধ্যমে শুরু হবে শারদীয় দুর্গা পুজা। গত বছর জেলায় ৫৮৯ টি মন্ডপে দুর্গা পুজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মহানগরীতে ৩৬টি এবং জেলায় ১০ উপজেলার ৫৫৩টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হয়। এবছর মহানগরে আরও একটি মন্ডপ বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে মহানগর পুজা উদযাপন কমিটির সংশ্লিষ্ঠ সূত্র।

দূর্গা পুজার প্রস্তুতির তথ্য সংগ্রহে নগরীর বিভিন্ন মন্ডপে ঘুরে এবং সংশ্লিষ্ঠদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, আরও ১০/১২ দিন আগ থেকে নগরীর প্রত্যেকটি মন্ডপে প্রতিমা নির্মানের কাজ শুরু হয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত প্রসিদ্ধ মৃৎ শিল্পীরা (পাল) দলবদ্ধ ভাবে এসে ৪/৫ জন করে বিভক্ত হয়ে একই সাথে বিভিন্ন মন্ডপের প্রতিমা নির্মানের কাজ করছেন। কোথাও প্রতিমার আকৃতি নির্মান, তো কোথাও মাটির প্রলেপ দিয়ে ক্রমেই এগোচ্ছে বৃহৎ এই উৎসবের প্রস্তুতি। নগরীর একটি মন্ডপের প্রতিমা নির্মানের দায়িত্বরত নিতাই পাল জানান, কলসকাঠী থেকে তিনি সহ তার দল এসছেন প্রতিমা নির্মানের জন্য। নগরী ও নগরীর বাইরে মোট ১১ টি মন্ডপের কাজের দায়িত্ব পেয়েছেন। পর্যায়ক্রমে একই সাথে প্রত্যেকটি মন্ডপের কাজ চলছে বলে জানান নিতাই পাল। সাজ সজ্জার ওপর নির্ভর করে মন্ডপ তৈরিতে ৬০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত তাদের মজুরি নির্ধারন করা আছে বলেও জানান তিনি। নগরীতে বেশির ভাগ পাল আসেন কলসকাঠী, বাউফল ও মাদারীপুর থেকে। আপাতত কাডাম ( কাঠের ফ্রেম), প্রতিমার আকৃতি নির্মান, মাটির প্রলেপ দেয়ার কাজ সম্পন্ন হয়েছে অনেকগুলো পুজা মন্ডপে। প্রতিমা শুকানোর পর রং দেয়া ও সাজসজ্জা ও অলংকরনের কাজের মাধ্যমে নির্মান প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে বলে জানান তিনি। তিনি আরও জানান, পূর্ব পুরুষ এর করা পুন্যের এই পেশায় তারা নিয়োজিত আছেন কয়েক যুগ ধরে। অর্থের চাইতে এই পেশায় ভক্তি ও শ্রদ্ধাই তাদের আগলে রেখেছে। পূজো শুরুর এখনও এক মাস এর বেশি বাকি, তবে কাজের চাপ এখনই অনেকটা বেড়ে গেছে। তবে চাপ যতই হোক দেবীর আগমনের ঠিক আগেই তার প্রতিকৃতি প্রতিমা নির্মানের কাজ আনন্দের সাথে শেষ হবে বলে জানান নিতাই পাল।

পুজা সংশ্লিষ্ঠ দেবাশিষ দাশ শংকর জানান, আগামী ১৫ অক্টোবর ষষ্ঠি পুজার বোধন এর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে মহাসপ্তমি, মহাঅষ্টমী, মহানবমী ও বিজয়া দশমির বিসর্জন এর মাধ্যমে দেবী দুর্গা তার কৈলাশে ফিরে যাবেন এবং সমাপ্ত হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব।

এ বিষয়ে মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি নারায়ন চন্দ্র দে নারু জানান, আগামী ৯ অক্টোবর শুভ মহালয়া অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দুর্গা পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। পরবর্তীতে আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে শারদীয় দুর্গোৎসবের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। ১৯ অক্টোবর বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে শেষ হবে ৫ দিনব্যাপী দুর্গোৎসব।

এদিকে উৎসব শান্তিপূর্ণ ও নির্বিঘœ করতে সবগুলো পূজা মন্ডপসহ সার্বিক নিরাপত্তায় যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন জেলা ও মহানগর পুলিশের কর্মকর্তারা।

এই বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT