5:25 pm , August 28, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ নগরীর শহীদ জিয়াউর রহমান নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৫৩ শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির টাকা আত্মসাত করায় প্রধান শিক্ষক আবদুস সালামের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুর্নীতি দমন কমিশনে ৬ জন অভিভাবক যৌথভাবে এ অভিযোগ দায়ের করেন। এর আগে গত ১৬ আগষ্ট এ্যাড. আজাদ রহমান স্বাক্ষরিত এক আইনী নোটিশে প্রধান শিক্ষককে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির কত টাকা উত্তোলন ও প্রদান করা হয়েছে তা জানতে চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রধান শিক্ষক নোটিশের জবাব না দেয়ায় গতকাল অভিভাবকরা দুদকে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সূত্র জানায়, নগরীর ৫নং ওয়ার্ড মহাম্মদপুর এলাকার মোয়াজ্জেম সিকদারের মেয়ে সুমাইয়া আক্তার ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী, ৪নং পলাশপুরের মাহমুদা বেগমের ছেলে রাব্বি মৃধা ৮ম শ্রেণীর ছাত্র, ইসলামনগরের হাফেজ হাওলাদরের ছেলে তাসিন ৮ম শ্রেণীর ছাত্র, মহাম্মদপুরের হারুন মিয়ার মেয়ে মরিয়ম আক্তার ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী, আনিছুজ্জামান হাওলাদারের মেয়ে দোলন আক্তার ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী ও আব্দুল করিম বেপারীর মেয়ে তিন্নি আক্তার ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী ওই বিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত আছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকাসহ বিভিন্ন ফান্ডের টাকা কৌশলে আত্মসাত করে আসছেন। এর মধ্যে ২০১৬-২০১৭ সালের ৭ম শ্রেণীর উপবৃত্তির ৭ হাজার ২শত ও ৮ম শ্রেণীর ৯ হাজার টাকা বে নামে মোবাইল এ্যাকাউন্ট খুলে তা আত্মসাত করেন। একইভাবে অপরাপর ৫৩ শিক্ষার্থীর টাকাও তিনি আত্মসাত করেন। উপবৃত্তির টাকা না পেয়ে অভিভাবকরা প্রধান শিক্ষক আবদুস সালামের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, সরকার এমপিও বিহীন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা না দেয়ায় তাদের পুত্র কণ্যারা টাকা পায় নাই। অভিভাবকরা ডাচ বাংলা ব্যাংক ও সংশ্লিষ্ট শাখা, কার্য্যালয়ে যোগাযোগ করে জানতে পারেন যে উপবৃত্তির টাকা সংশ্লিষ্ট ব্যাংক হিসাবে আসে কিন্তু প্রধান শিক্ষক তার পক্ষাশৃত ব্যক্তিদের মাধ্যমে ওই টাকা উত্তোলন করে তা আত্মসাত করেন। এ ঘটনায় গত ১৬ আগষ্ট প্রধান শিক্ষককের কাছে আইনী নোটিশের মাধ্যমে অভিভাবকরা উপবৃত্তির কত টাকা উত্তোলন ও প্রদান করা হয়েছে তা জানতে চান। এছাড়া নোটিশ প্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে তা জনাতে বলা হয়েছিল। কিন্তু প্রধান শিক্ষক আবদুস সালাম নোটিশের কোন জবাব না দেয়ায় গতকাল দুদক কার্য্যালয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়। একই সাথে অভিযোগের অনুলিপি দুদক চেয়ারম্যান, সচিব ও মহা পরিচালক এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা পরিচালক, ব্যান বেইস এর পরিচালক, বরিশাল জেলা প্রশাসক, মাদ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বরিশাল অঞ্চলের পরিচালক ও উপ পরিচালক, বরিশাল জেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলা নিবার্হী অফিসার, বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও কাউনিয়া থানার অফিসার ইনচার্জকে দেয়া হয়েছে।