জমে উঠছে কোরবানির হাট জমে উঠছে কোরবানির হাট - ajkerparibartan.com
জমে উঠছে কোরবানির হাট

6:25 pm , August 17, 2018

মর্তুজা জুয়েল ॥ জমে উঠতে শুরু করেছে নগরীসহ আশে-পাশের কোরবানির পশুর হাট। ঈদের ৫ দিন বাকি থাকতেই গতকাল শুক্রবার থেকে হাটগুলোতে ক্রেতাদের ভীড় ছিল লক্ষ্যনীয়। হাটগুলোতে অন্য জেলা থেকে ও স্থানীয় খামারীদের সরবরাহ করা গরু বেশী দেখা গেছে। ক্রেতারা জানিয়েছেন, সামনে আরো ৪/৫ দিন সময় থাকায় মূল্য বেশী হাকাচ্ছেন বিক্রেতারা। আর বিক্রেতারা বলছেন হাটে ক্রেতার উপস্থিতি ও চাহিদা যত বেশী থাকবে দাম তত বেশী বৃদ্ধি পাবে।
এবার সবচেয়ে বেশী ভীর ও গরু দেখা গেছে চরমোনাই মাদ্রাসার হাটে। বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক হাট ছিল। ফলে ঐ দিন থেকেই ক্রেতারা ভীড় করা শুরু করে। বৃহস্পতিবার ৬’শ গরু বিক্রি করা হয়েছে বলে জানান হাটের ইজারাদার মো. সিরাজুল ইসলাম। তিনি জানান, প্রতিদিন এ হাটে ৫’শ থেকে ৮’শ গরু বিক্রি করা হচ্ছে। মাদ্রাসা থেকে যে কোন মূল্যের গরুর ইজারা ১০০ টাকা নির্ধারন করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া এ হাটে কোন দালাল, প্রতারক, গরু নিয়ে টানাটানি, গরু রাখার স্থান নির্ধারন নিয়ে প্রভাব বিস্তারের কোন ঝামেলা নেই। ফলে প্রথম থেকেই বিভিন্ন জেলার বেপারীরা এখানে ট্রাক বোঝাই গরু নিয়ে আসছে এবং ক্রেতারাও নির্বিঘেœ গরু কিনতে পারছে। এছাড়া এবার সাহেবের হাটের সঙ্গে চরমোনাই ব্রীজের সংযোগ তৈরী হওয়ায় ক্রেতারা দলবেধে হাটে আসছেন।
ত্রেতাদের সাথে কথা বলে এবং সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে ৫০ হাজার টাকা মূল্যের নীচে কোন গরু নেই। এখন পর্যন্ত হাটে একটি গরুর দাম ৭ লাখ টাকা হেকেছেন বিক্রেতা। ক্রেতার উপস্থিতি যত বাড়ছে বিক্রেতারা মূল্য তত বেশী হাকাচ্ছেন। আরো ৪ দিন সময় থাকার কারনে বিক্রেতারা মূল্য বেশী চাচ্ছেন বলে মনে করছেন ক্রেতারা।
একইভাবে নগরীর হাটও জমে উঠেছে। বিশেষ করে গতকাল শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় নগরবাসী ছুটেছেন বিভিন্ন হাটে। নগরীর রুপাতলীর সোনারগাঁও টেক্সটাইল মিল এলাকার হাটে গিয়ে দেখা গেছে প্রচুর ভীড়। ওই হাট প্রস্তুত না হলেও সেখানে চলছে বেচা-কেনা। একদিকে হাটের বিভিন্ন কাজ চলছে আর অপরদিকে বিক্রি করা হচ্ছে পশু। এই হাটে মেডিকেল টিম ও পুলিশ বক্স রয়েছে। হাটে গরু নিয়ে আসা বেপারীরা জানান, এখানে শহরের ক্রেতারা বেশী ভীড় করছেন। তারা ক্রয়ের চেয়ে দাম দর করছেন বেশী। অরো ২/৩ দিন পর বিক্রি বেশী হবে। এ হাটের ক্রেতারা জানিয়েছেন, গত বারের তুলনায় এবার প্রতিটি গরুর মূল্য ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা বেশী চাওয়া হচ্ছে। অন্য জেলা থেকে গরু এনে ট্রাক পথে ঘাটে বিভিন্ন স্থানে রেখে দিয়ে কৃত্রিম সংকট করার চেষ্টা করছেন ব্যবসায়ীরা। এজন্য মূল্য কিছুটা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সিন্ডিকেট এবং কৃত্রিম সংকট না থাকলে গরুর মূল্য অনেক কমে আসবে বলে মত দেন তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে নগরীর অন্যান্য হাটগুলোতেও ভীর ছিলো বেশী। তবে হাটগুলোতে এখানোও বাশের সারি নির্মান, ইট বালু দিয়ে মাঠ তৈরীর কাজ চলছে।
এদিকে এবার এখন পর্যন্ত কোনহাটে ভারতীয় গরু দেখা যায়নি। হাটগুলোতে কুষ্টিয়া, যশোর, মেহেরপুর, সাতক্ষীরা এলাকার গরু বেশী আনা হচ্ছে। কুষ্টিয়ার পাইকারী গরু ব্যাবসায়ী রশিদ বেপারী জানান, দুইটি ট্রাকে করে ৪০ টি গরু এনেছেন তিনি। এখানে ভারতীয় কোন গরু নেই। বাজারে দেশী গরুর চাহিদা থাকায় ব্যবসায়ীদের ভারতীয় গরু আনার প্রতি তেমন আগ্রহ নেই। তিনি জানান ২ দিনে চরমোনাই হাটে তার ৩৮ টি গরু বিক্রি করা হয়েছে। এখন আরো ১ ট্রাক গরু পাঠানোর জন্য মোকামে বলেছেন। প্রতি ট্রাকে পথে ৬ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হচ্ছে বলেও জানান তিনি। বিক্রি হওয়া গরুতে ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত লাভ হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এছারা নগরী , শহরতলী ও জেলার অন্যান্য স্থানের হাটগুওেলাতে উত্তরবঙ্গের জেলার পাশাপশি ভোলা, মেহেন্দীগঞ্জ, গঠিয়া, দুধাল এলাকার খামারীরা গরু সরবরাহ করছেন। খামারীদের পরিচর্যায় অধিকাংশ গরুই মোটাতাজা ও সতেজ। একারেনে মূল্য কিছুটা বেশী বলে জানান খামারীরা। অপরদিকে নগরীর হাটগুলোতে ছাগল এবং খাসীর মূল্য অত্যন্ত চড়া মূল্য লক্ষ্য করা গেছে। ছোট সাইজের ছাগলের মূল্য ৯ হাজার থেকে ১৫ হাজার এবং মাঝারি আয়তনের ছাগল ১৫ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা চাওয়া হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT