কোরবানি উপলক্ষে বেড়েছে ফ্রিজের বেচা-কেনা কোরবানি উপলক্ষে বেড়েছে ফ্রিজের বেচা-কেনা - ajkerparibartan.com
কোরবানি উপলক্ষে বেড়েছে ফ্রিজের বেচা-কেনা

6:25 pm , August 17, 2018

জুবায়ের হোসেন ॥ মুসলমানদের ২য় বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহার আর মাত্র ৪ দিন বাকি। নগরী সহ আশপাশে কোরবানীর পশুর হাটের সাথে সাথে জমজমাট হয়ে উঠেছে শখ ও প্রয়োজনের পন্য রেফ্রিজারেটর এর বেচা কেনা। সকল ব্র্যান্ড ও নন-ব্র্যান্ডের, দেশী-বিদেশী ঈলেকট্রনিক্স পন্য ক্রিয়কারী প্রতিষ্ঠানগুলো এখন ছুটির দিনেও ব্যস্ত সময় পার করছে। গত এক সপ্তাহ আগ থেকে কোরবানীর ঈদ উপলক্ষে রেফ্রিজারেটর বিক্রিতে ব্যস্ত সময় যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন তারা। অন্য সামগ্রী বিক্রি হচ্ছে হাতে গোনা কিছু মাত্র। ঈদের ৪/৫ দিন পরেও রেফ্রিজারেটর এর এই বিক্রি চলবে বলেও বলেও জানান তারা। গতকাল ছুটির দিনেও বেচাকেনায় ব্যাস্ত দেখা গেছে নগরীর শহীদ মিনার এর সম্মুখের সিঙ্গার, সদর রোডস্থ র‌্যাংস, গীর্জা মহল্লা, চকবাজার সহ বিভিন্ন এলাকার ইলেকট্রক্সি পন্য ক্রিয়কারী প্রতিষ্ঠান গুলোকে। এসকল প্রতিষ্ঠানে দিনভর কম হলেও বিকেল গড়ানোর সাথে সাথে ক্রেতাদের ভীরও ছিলো ভালই। নগদ, কিস্তি, ভাগ্যে থাকলে ফ্রি অফারের মাধ্যমে সর্বনিম্ন ১২ হাজার থেকে দের লাখ টাকা পর্যন্ত রেফ্রিজারেটর বিক্রি হচ্ছে। কোরবানী পশুর মাংস সংরক্ষনের জন্য ডিপ ক্যাটাগরির রেফ্রিজারেটর এর চাহিদা বেশি। তবে প্রয়োজনের বাইরে শখের এই পন্যে তাই আকর্ষনীয় ডিজাইন, সর্বোচ্চ আধুনিক সুবিধার সংবলিত পন্যটি বেছে নিচ্ছেন ক্রেতারা। ঈদের বাজারের রেফ্রিজারেটর এর বেচাকেনার তথ্য সংগ্রহে গতকাল ছুটির দিনেও এমন চিত্র দেখা গেছে নগরীর বিভিন্ন বিক্রয় প্রতিষ্ঠানে।
নগরীর শহীদ মিনার এর বিপরীতে অবস্থিত সিঙ্গার এর বিক্রয়কেন্দ্রের সহকারী ব্যবস্থাপক মো. শফিক খান পরিবর্তনকে জানান, প্রতি বছর ঈদুল আযহার ন্যায় এবছরও গত এক সপ্তাহ ও আগ থেকে তারা বেশিরভাগই রেফিজারেটর বিক্রয় করছেন। গতকাল ছুটির দিনেও নগদ ও কিস্তিতে ৮ টি ফ্রিজ বিক্রি করেছেন তাদের এই একটি বিক্রয় কেন্দ্রে। গত এক সপ্তাতে ১০০ টির বেশি বিক্রয় হয়েছে বলে জানান তিনি। মানসম্মত ও ক্রেতাদের চাহিদা এখন আধুনিক সুবিধা সংবলিত পন্য বলে তিনি আরও জানান, ১২ হাজার ৯৯০ টাকা থেকে দেড়লাখ টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের রেফ্রিজারেটর বিক্রি হচ্ছে। প্রতিটি ফ্রিজ এর সাথে তারা একটি স্ক্রাচ কার্ড অফার দিচ্ছেন জাতে ক্রেতারা শত টাকা থেকে সর্বোচ্চ বিনা মুল্যেও পন্যটি পেতে পারেন। এছাড়া সহজ কিস্তিতে পন্য দিচ্ছেন তারা। নগদ মুল্যে রয়েছে নানা অফার। উৎসব উপলক্ষে ফেস্টিভ্যাল ও রিফ্লেক্সন এই দুই ধরনের রেফ্রিজারেটর বেশি বিক্রি হচ্ছে। সম্পুর্ন ডিপ ও বড় আকারের ডিপ রেফ্রিজারেটর এর চাহিদা ক্রেতাদের বেশি জানান তিনি। আগামী ৩০ আগস্ট পর্যন্ত রেফ্রিজারেটর বিক্রয়ে সকল অফার থাকবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে গীর্জা মহল্লা কসাই মসজিদের বিপরীতে ফাতেমা ইলেকট্রনিক্সের স্বত্বাধিকারী মো. হালিম ভূঁইয়া জানান, ১৫ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা মূল্যের ফ্রিজ তার শো রুমে রয়েছে। ব্যান্ডের ফ্রিজের মধ্যে শার্প, স্কয়ার, স্যামসাং, ইলেকট্রা, দাইয়ু, বাটারফ্লাইয়ের চাহিদা বেশি। তিনি বলেন, আমাদের এখানে বিক্রয়োত্তর সেবা এবং ১০ বছরের গ্যারান্টি থাকায় ক্রেতাদের ঝোঁকও অনেক বেশি। এছাড়াও ঈদ উপলক্ষে প্রতিটি ফ্রিজে বিশাল ডিসকাউন্ট এবং স্ক্যাচ কার্ডে নিশ্চিত উপহার রয়েছে। যার কারণে ক্রেতাদের আগ্রহও বেশি। তিনি জানান, বিক্রয়োত্তর সেবার বাইরেও তারা যেকোন সময় ফ্রিজের ছোটখাটো ত্রুটি হলে নিজস্ব ইঞ্জিনিয়ার দিয়ে তার সমাধান করেন।
ক্রেতা জাহিদুল আলম জানান, পশু কেনা শেষ এখন রেফ্রিজারেটর কিনতে এসছেন তিনি। তিনি বলেন, বর্তমানের ক্রেতারা শখের সাথে সাথে সুবিধা ও দামকেও ভালো প্রাধান্য দেয় পন্য ক্রয়ে। কোরবানীর পশুর মাংস বেশি তাই সংরক্ষনের জন্য এই সময় রেফ্রিজারেটর এর প্রধান ব্যবহার। এজন্যই ক্রেতাদের ভিড়। বিদেশী ও ব্র্যান্ডের পন্যের সমতুল্য সকল আধুনিক সুবিধা বাজেটের মধ্যে দেশী পন্যতেও পাওয়া যাচ্ছে। ডিজাইন ও বেশ ভালো তাই ক্রেতারা ওই সকল পন্যও বেশ যাচাই বাছাই করেই কিনছেন। ঈদের পরেও এই কেনাকাটা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান এই ক্রেতা।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT