6:17 pm , August 16, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ ঈদুল আজহার কোরবানীর পশুর জন্য নগরীর এলাকাসহ জেলায় স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে ৫১ টি পশুর হাট মিলবে। স্থায়ীহাটের অনুমোদন আগে থেকে নেয়া থাকলেও অস্থায়ী হাটের অনুমোদনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গতকাল বৃহষ্পতিবার দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় সরকার বিভাগের তথ্যানুযায়ী, বরিশাল জেলায় ১৬টি স্থায়ী পশুর হাট রয়েছে। যারমধ্যে বরিশাল সদর উপজেলায় ১টি, বাকেরগঞ্জে ৩টি, বানারীপাড়ায় ২টি, গৌরনদীতে ২টি, মুলাদীতে ৬টি, হিজলায় ১টি ও মেহেন্দিগঞ্জে ১টি। এছাড়া বরিশাল সিটি করপোরেশনের ৩টি, বরিশাল সদর উপজেলার ৮টি, মুলাদীর ৫টি, গৌরনদীর ২টি, আগৈলঝাড়ার ৩টি, বাবুগঞ্জের ৫টি, বাকেরগঞ্জে ৩টি ও উজিরপুরের ৪টি অস্থায়ী পশুর হাটের জন্য অনুমতি চাওয়া হয়েছে। যারমধ্যে মুলাদীর ৫টি বাদে বাকিগুলোর অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এই ৫টিরও অনুমোদন দ্রুত সময়ের মধ্যে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অপরদিকে বরিশাল সিটি করপোরেশনের হাট-বাজার শাখা সূত্রে জানা গেছে, নগরীর বাঘিয়া এলাকায় ১টি ও পোর্টরোডে ১টি স্থায়ী পশুর হাট রয়েছে। এরবাহিরে নগরীর রুপাতলী মোল্লা বাড়ির মাদ্রাসা মাঠ, কালিজিরা বাজার ও সিএন্ডবি রোড সেচ ভবনের পাশে তিনটি অস্থায়ী পশুর হাটের জন্য এই পর্যন্ত আবেদন পাওয়া গেছে। যারমধ্যে থেকে নীতিগতভাবে তিনটি অস্থায়ী পশুর হাটকেই অনুমতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাট-বাজার শাখার তত্ত্বাবধায়ক নুরুল ইসলাম। তিনি জানান, বিগত সময়ে অস্থায়ী হাট নিয়ে উদ্যোক্তদের মধ্যে ব্যাপক তোড়জোড় থাকলেও এবার তা দেখা যাচ্ছে না। গত বছরও ৫টি অস্থায়ী পশুর হাট ছিলো নগরীতে। কিন্তু এই বছর এ পর্যন্ত তিনটি অস্থায়ী হাটের জন্য আবেদন জমা পড়ে। যার প্রত্যেকটির অনুমতি দেয়া হয়েছে। অপরদিকে স্থায়ী হাটে কেউ ইজারা না নেয়ায় নিজস্ব জনবল দিয়ে পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এর বাহির নগরীতে কেউ পশুর হাট করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এই লক্ষ্যে শহরজুড়ে নজরদারী জোড়দার করা হচ্ছে। পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসনও বিষয়টি দেখভাল করবেন। এদিকে হাটগুলোকে ঘিরে চাঁদাবাজি রোধ, অজ্ঞান পার্টির তৎপরতা রোধ ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রতিটি হাটে জাল টাকা সনাক্তকরণে মেশিন ও অনলাইন-মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু রাখা হবে বলে জানান সিটি কর্পোরেশনের এই কর্মকর্তা।