6:16 pm , August 8, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অফিস সহায়কের উপর পুলিশি নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। হয়রানিমূলক নির্যাতনের শিকার হয়ে অফিস সহায়ক মো. আসলাম শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে নগরীর টিএন্ডটি কলোনীর সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে নির্যাতনকারী টহল অফিসার এসআই খালেকুল বাদশাহসহ দুই পুলিশ কনেষ্টেবলের বিরুদ্ধে পুলিশ কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। অভিযুক্ত অপর দুই জন হলো, ফেরদৌস আলম ও রোকনুজ্জামান। নির্যাতনের শিকার মো. আসলাম জানান, সে বরিশাল অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে অফিস সহায়ক পদে চাকরি করেন। চাকরির সুবিধার জন্য সে নগরীর ফজলুল হক এভিনিউস্থ টিএন্ডটি মসজিদের ম্যাচে ভাড়া থাকে। বাড়ী থেকে দুরে থাকায় মঙ্গলবার রাতে পারিবারের সাথে কথা বলে আসলাম। এসময় তার মোবাইল ফোনের টাকা শেষ হয়ে গেলে তিনি রিচার্জ করার জন্য বের হয়ে লঞ্চঘাটের দিকে যায়। পথিমধ্যে টিএন্ডটি মসজিদের সামনে পাঁকা রাস্তায় আসার সাথে সাথে তার পথ অবরোধ করে এসআই খালেকুল বাদশাহ। এসময় আসলাম তার বের হওয়ার কারণ জানালেও কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা তার উপর চড়াও হয়। এসময় আসলাম নিজের পরিচয় জানালে পুলিশ সদস্যরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে মারধর করে এবং বিভিন্ন ভাষায় গালিগালাজ করে। পুলিশের মারধরের কারণে আসলাম অজ্ঞান হয়ে পরে। ওই সময় এসআই বাদশা ও তার বাহিনী নিয়ে চলে যায়। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় গতকাল সকালে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ব্যাপারে বরিশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের নাজির কামরুল হাসান বলেন, মারধরের শিকার আসলাম অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে বিচারক বিষয়টির আইনানুগ ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিএমপি কমিশনারকে অনুরোধ জানিয়ে অভিযোগপত্র পেরণ করেছেন। এ ব্যপারে বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার এসআই বাদশাকে ফোন করা হলে তার ব্যবহৃত মোবাইলটি ব্যস্ত পাওয়া যায়।
বিষয়টি সম্পর্কে মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোশাররফ হোসেন জানান, তারা আদালতের দেয়া অফিস আদেশ পেয়েছেন এবং বিষয়টি সহকারি পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. রাসেলকে তদন্তের জন্য দায়িত্ব দিয়েছেন। তদন্ত শেষে এসআই খালিকুল বাদশা’র বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তবে বর্তমানে এসআই খালিকুল বাদশা তার দায়িত্ব পালন করছেন। অপরদিকে আদালতে কর্মরত স্টাফের উপর হামলায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন আদালতের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। তারা পুলিশের এমন বর্বর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।