নগর পিতা সাদিক আবদুল্লাহ নগর পিতা সাদিক আবদুল্লাহ - ajkerparibartan.com
নগর পিতা সাদিক আবদুল্লাহ

7:35 pm , July 30, 2018

রুবেল খান ॥ অবশেষে নগর পিতা হিসেবে মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, আগামী প্রজন্মের নেতা ও তারুন্যের প্রদীপ সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহকেই বেছে নিলো নগরবাসী। বিপুল ভোটের ব্যবধানে তারা সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহকে বিজয়ী করেছেন। সেই সাথে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে হারানো দুর্গ ফিরে পেয়েছে সরকার দলীয় আওয়ামী লীগ। গতকাল অনুষ্ঠিত ভোটে আওয়ামী লীগ মনোনতি মেয়র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ বিপুল ভোটে বিজয়ী হওয়ার মধ্যে দিয়ে হারানো দুর্গ ফিরিয়ে দেন। শুধু তাই নয়, সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ ভোটের রাজনীতিতেও নতুন ইতিহাস রচনা করেছেন। এবার নিয়ে অনুষ্ঠিত চার পরিষদের নির্বাচনে দলীয় মেয়র প্রার্থীদের থেকে সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন তিনি। আর তাই বাঁধ ভাঙা উল্লাসে ফেটে পড়ে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা। কেন্দ্র থেকে ফলাফল ঘোষনা হওয়ার পর পরই স্ব স্ব কেন্দ্রের সামনে থেকে বিজয় মিছিল বের করেন তারা। মিষ্টি বিতরন এবং একে অপরের গলায় মালা পড়িয়ে উল্লাস করেন নেতা-কর্মীরা। ফলাফল ঘোষনার পরে থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মিছিলের নগরীতে পরিনত হয়। নগর পিতার আসনে আসীন হওয়া নৌকার কা-ারী সেরিনয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ ১৬ কেন্দ্রের ভোট গ্রহন স্থগিত করা হলেও প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর সাথে ভোটের ব্যবধান প্রায় এক লাখ হওয়ায় বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। বেসরকারীভাবে ঘোষিত সর্বশেষ ফলাফলে সাদিক আব্দুল্লাহ বিএনপি’র মনোনীত প্রার্থী এ্যাড. মজিবর রহমান সরোয়ারের চেয়ে ৯৪ হাজার ২১৮ ভোটের ব্যবধান রয়েছে। ঘোষিত ফলাফলে সেরিনয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ পেয়েছেন ১ লাখ ৯ হাজার ৮০৩ ভোট ও এ্যাড. সরোয়ার পেয়েছেন ১৩ হাজার ৪১ ভোট। ভোটের ১২৩ কেন্দ্রের মধ্যে ১০৭ কেন্দ্রে তারা ওই ভোট পেয়েছেন। এছাড়া স্থগিত হওয়া ১৬ কেন্দ্রে মোট ভোট সংখ্যা হলো ৩১ হাজার ২৮৭। এরচেয়ে সাদিক আব্দুল্লাহর প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা বেশি হওয়ায় বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
এছাড়া অন্য প্রার্থীদের মধ্যে চরমোনাই পীরের দলের হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মাওলানা ওবায়দুর রহমান পেয়েছেন ৬ হাজার ৪২৩, ডা. মনীষা চক্রবর্তি ১ হাজার ১১৭, জাপার ইকবাল হোসেন তাপস ৬৯৫, সিপিবি’র এ্যাড একে আজাদ ২৪৪ ও স্বতন্ত্র (প্রত্যাহারকৃত) বশির আহমেদ ঝুনু ৮১ ভোট পেয়েছেন।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানাগেছে, ২০০২ সালে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন গঠিত হয়। পরবর্তী ২০০৩ সালে প্রথম পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আওয়ামী লীগের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন এনায়েত পীর খান। তিনি বিএনপি নেতা মজিবর রহমান সরওয়ারের কাছে অনেক ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিলেন। এর পর ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত হয় বিসিসি’র দ্বিতীয় পরিষদের নির্বাচন। ওই নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগ সমর্থীত মেয়র প্রার্থী শওকত হোসেন হিরন। ওই নির্বাচনে মোটা সংগ্রহিত ভোটের মধ্যে তার প্রাপ্ত ভোট ছিলো ৪৬ হাজার ৭৯৬ ভোট। বিএনপি সমর্থীত প্রার্থী সরদার সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টুকে ৫৪৪ ভোটে পরাজিত করেন। এর পর ২০১৩ সালের নির্বাচনে তৃতীয় পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হয়ে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন সাবেক মেয়র মরহুম শওকত হোসেন হিরন। ওই নির্বাচনে পূর্বের থেকে ১৯ হাজার ৯৪৫ ভোট বেশি পেয়েছিলেন তিনি। সে সময় তার প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ছিলো ৬৬ হাজার ৭৪১ ভোট। তবুও বিএনপি সমর্থীত মেয়র প্রার্থী আহসান হাবিব কামাল’র কাছে পরাজিত হয়েছিলেন তিনি।
তবে পাঁচ বছর পরে এসে আওয়ামী লীগের হারানো দুর্গো ফিরিয়ে দিয়েছে সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। বিপুল ভোটে মেয়র নির্বাচিত হয়েন তিনি। শুধু তাই নয়, ভঙ্গ করেছেন বিগত দিনে বরিশাল সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ভোটের ইতিহাস। গড়েছেন নতুন রেকর্ড। কেননা এই নির্বাচনে তিনি ১ লাখ ৯ হাজার ৮০৩ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নির্বাচন বর্জন করা বিএনপি’র মেয়র প্রার্থী আলহাজ্ব মজিবর রহমান সরওয়ার ৯৪ হাজার ২১৮ ভোটের ব্যবধানে সাদিক আবদুল্লাহ’র কাছে পরাজিত হয়েছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT