নির্বাচনী প্রচারনায় নারীদের আধিপত্য নির্বাচনী প্রচারনায় নারীদের আধিপত্য - ajkerparibartan.com
নির্বাচনী প্রচারনায় নারীদের আধিপত্য

6:39 pm , July 24, 2018

সাঈদ পান্থ ॥ এবারের সিটি নির্বাচনে প্রার্থীদের পক্ষে প্রচারন-প্রচারনায় নারীদের আধিক্য বেশি। প্রতিদিন নগরীর ৩০ ওয়ার্ডে অর্ধলক্ষাধিক নারীরা প্রার্থীদের পক্ষে প্রচার-প্রচারনায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। অবশ্য এদের মধ্যে অনেকের নেই ভোটাধিকারের সুযোগ। তারা এসে প্রচারণায় অংশ নিয়ে বিভিন্নহারে পারিশ্রমিক পাচ্ছেন। এই নারীদের মধ্যে রয়েছে গৃহিীন, বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ছাত্রীরাও।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, নির্বাচনে প্রচার-প্রচারনায় একজন নারী পুরুষদের চেয়ে খুব সহজেই সকল শ্রেনীর ভোটারদের কাছে যেতে পারে। এছাড়াও একজন পুরুষদের চেয়ে নারীদের জন্য প্রার্থীদের ব্যয়ও কম হয়। তাই প্রার্থীরা নারীদেরকে প্রচারনায় পাঠানোর কৌশল গ্রহন করেছে। প্রার্থীরা প্রতিবেশি, অত্মীয়-স্বজনসহ আশে-পাশের এবং বিভিন্ন এলাকা থেকে নারীদের এনে প্রচারনায় পাঠাচ্ছে। প্রতিদিন ৪/৫ ঘন্টা প্রচার-প্রচারনায় যুক্ত হয়ে নারী কর্মীরা সর্বনি¤œ দুইশ’ থেকে হাজার টাকা আয় করছে।

নগরীর এক কাউন্সিলর প্রার্থীর পক্ষে প্রচারনায় যাওয়া বিএম কলেজের সমাজসেবা বিভাগের অনার্স ২য় বর্ষের কয়েকজন ছাত্রী ভোটারদের সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর লিফলেট দিয়ে তার পক্ষে ভোট প্রার্থনা করছেন। নাম প্রকাশ না করা শর্তে দুই ছাত্রী জানান, আমাদের গ্রামের বাড়ি পিরোজপুর জেলায়। আমরা সেখানকার ভোটার হয়েছি। কিন্তু পড়াশোনার কারণে এখন নগরীতে থাকতে হচ্ছে। একজন ছাত্রনেতার মাধ্যমে আমরা নির্বাচনী প্রচারণার দ্বায়িত্ব পেয়েছি। আমরা ভোট দিতে না পারলেও মানুষ যেন আমাদের প্রার্থীকে ভোট দেয়, সে জন্য তাদের বলছি। বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই প্রচারণার কারণে আমরা দুই জন পাবো ৫০০ টাকা। নির্বাচনের ১০ থেকে ১৫ দিন এভাবে প্রচারণা করলে আমার পরিবারের জন্য বড় উপকার হবে। তাই পড়াশুনার পাশাপাশি আমরা এই কাজ করছি। শুধু আমরা দুই জনই নয়, আমাদের প্রায় অধিকাংশ বান্ধবীরাই এই কাজ করে অর্থ আয় করছেন। যা আমাদের জন্য সহায়ক।

নগরীর নবগ্রাম রোডের এক চাকুরীজিবী বাসিন্দার বাড়ির গৃহ পরিচালিকা রহিমা। সে প্রতিদিন ওই বাসার কাজ বিকেল ৩টার মধ্যে শেষ করে। এরপর সে পাশের বাড়ির ভাবী ও স্থানীয় নারীদের সাথে তার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা করেন। তাই প্রতি দিন আয় করছেন ২০০ টাকা করে। যদিও রহিমা ওই ওয়ার্ডের একজন ভোটার। নগরীর ৯ নং ওয়ার্ড থেকে একজন কাউন্সিলর প্রার্থীর পক্ষে নেমেছে প্রায় দুইশতাধিক নারী। যারা অধিকাংশই নগরীর রসুলপুর বস্তির বাসিন্দা। প্রতিদিন ৩ ঘন্টার প্রচারণার জন্য তাদের দেয়া হয় ২৫০ টাকা করে। যার কারণে ওই বস্তির প্রায় সকল নারীই প্রচারনায় অংশ নিচ্ছে। একই ভাবে নগরীর প্রায় প্রতিটি ওয়ার্ডে দৈনিক হাজার হাজার নারী নির্বাচনী প্রচারনায় অংশ নিচ্ছে। নাম প্রকাশ না করা শর্তে একজন কাউন্সিলর প্রার্থী জানান, ‘আমার ওয়ার্ডের ২০০ মহিলাকে যদি আমি নির্বাচনী মাঠে নামাই তবে ওই দুইশ পরিবার আমার সমর্থক হয়ে যায়। তাতে করে আমার ভোট বৃদ্ধি পাবে। যদিও অন্যান্য প্রার্থীরাও নারীদের প্রচারনায় নামাচ্ছে। অপর এক কাউন্সিলর প্রার্থী জানান, আমার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী বহিরাগত সুন্দরী নারী দিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছে। যার মধ্যে অধিকাংশের ভোট নেই এই নগরীতে। তার পরও টাকার বিনিময়ে তারা নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন। যদিও এতে করে তরুন সমাজ ওই প্রার্থীর পক্ষে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। আবার মুরুব্বিরা উল্টটাও করতে পারে।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT