বিপ্লবেই আস্থা ২০নং ওয়ার্ডবাসীর বিপ্লবেই আস্থা ২০নং ওয়ার্ডবাসীর - ajkerparibartan.com
বিপ্লবেই আস্থা ২০নং ওয়ার্ডবাসীর

6:18 pm , July 23, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ৩০টি ওয়ার্ডেই চলছে কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রচার যুদ্ধ। তবে সবকটি ওয়ার্ডের মধ্যে থেকে গোটা নগরবাসির দৃষ্টি ২০নং ওয়ার্ডটিতে। কেননা ভোট যুদ্ধে ওয়ার্ডের তিন প্রার্থীর কেউ আওয়ামী লীগের সমর্থন পাননি। যে কারনে উম্মুক্তভাবেই ওয়ার্ডটিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগ অনুসারী ৩ কাউন্সিলর প্রার্থী। আনুষ্ঠানিক প্রচার প্রচারনা শুরুর পর থেকেই তিন প্রার্থী ছুটছেন ভোটারদের কাছে। বিজয়ের বিজয়ের শতভাগ নিশ্চয়তাও দিচ্ছেন যে যার অবস্থান থেকে। তবে ২০নং ওয়ার্ডের বাস্তব চিত্র ভিন্ন। ওয়ার্ডের সিংহভাগ ভোটাররাই বিপ্লবেই আস্থা রাখছেন। কারণ, গত ৫ বছর ওয়ার্ডবাসীর সুখে-দুঃখে তিনিই ছিলেন। ফজরের নামাজ পড়ে যার কর্মব্যস্ততা শুরু হয়, ধর্মভীরু সেই বিপ্লবকে কাউন্সিলর হিসেবে দেখতে এলাকাবাসী এখন একাট্টা। কালো টাকা, পেশি শক্তি ও কমিশনবাজের হাত থেকে মুক্ত করতে চাচ্ছেন ওয়ার্ডটিকে। ভোটারদের সেই চিন্তা এবং পছন্দের দিক থেকে এগিয়ে আছেন ঠেলাগাড়ী প্রতীকের কাউন্সিলর প্রার্থী জিয়াউর রহমান বিপ্লব। আর তাই দলমত নির্বিশেষে বিপ্লবকে বিজয়ী করতে দিন রাত প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন ওয়ার্ডের ভোটাররা।

খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, ২০১৩ সালের নির্বাচনে প্রথম বারের মত ২০ নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে চমক সৃষ্টি করেন ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মু. জিয়াউল হক এবং র‌্যাব ফোর্সেস এর সাবেক অতিরিক্ত মহা-পরিচালক জিয়াউল আহসান’র ছোট ভাই বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও সামাজসেবক তুখোর ছাত্রনেতা ও সাবেক নিবেদিতপ্রান ছাত্রলীগ নেতা জিয়াউর রহমান বিপ্লব। ওই নির্বাচনে অল্প ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হলেও নতুন এবং তরুন জনপ্রতিনিধি হিসেবে তার প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ছিলো তুলনামুলক বেশি।

এদিকে বিগত নির্বাচনে পরাজিত হলেও সাধারন মানুষের পাশে ছিলেন জিয়াউর রহমান বিপ্লব। বরং তিনি ওয়ার্ডবাসীর পাশে থেকে সেবা করে এসেছেন। দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানো, মৃত ব্যক্তির দাফন-কাফনের ব্যবস্থা, শিক্ষা সহায়তা প্রদান সহ সকল ধরনের সামাজিক কর্মকান্ডে তার অংশগ্রহন ছিলো চোখে পড়ার মত। একজন জনপ্রতিনিধি না হয়েও জিয়াউর রহমান বিপ্লব’র সমাজিক এবং উন্নয়নমুলক কার্যক্রম পুনরায় তাকে আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নিয়ে এসেছে। এলাকার সর্বমহলের ভোটারদের দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে ২০নং ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনি। শুধু তাই নয়, আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত ছিলো দল সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীরা সবাই ঠেলাগাড়ী প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবেন। দলের সমর্থন না পেলেও আওয়ামী লীগের নির্বাচিত ঠেলাগাড়ী প্রতীকই পেয়েছেন তিনি। এটি তার নির্বাচনের বিজয়ের প্রতীক হিসেবেও দেখছেন ওয়ার্ডের ভোটাররা।

সরেজমিনে দেখাগেছে, ওয়ার্ডটিতে তিনজন কাউন্সিলর প্রার্থী থাকলেও সেখানে জিয়াউর রহমান বিপ্লব’র পক্ষে সাধারন ভোটাররা প্রচার-প্রচারনা করেন। আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা সবাই জিয়াউর রহমানের জয়ধ্বনি করছেন। বিশেষ করে ওয়ার্ডের নারী ভোটারদের প্রথম পছন্দ জিয়াউর রহমান বিপ্লব। পরোপকারী বিপ্লবকে কাউন্সিলর হিসেবে দেখতে চাচ্ছেন তারা। যে কারনে দল মত নির্বিশেষে জিয়াউর রহমান বিপ্লবকে বিজয়ী করতে নারীদের দল ছুটে চলেছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। স্বতঃস্ফুর্ত নারী কর্মীরা দিন-রাত ভোট প্রার্ধনা করছেন ভোটারদের কাছে।

এলাকার একাধিক ভোটার বলেন, আমরা ভোট দিয়ে একজন ব্যক্তিকে পাঁচ বছরের জন্য জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করব। কিন্তু সেই জনপ্রতিনিধিকে আপদে বিপদে যদি কাছেই না পাই তবে সেই জনপ্রতিনিধি’র প্রয়োজন কিসে ? ভোটাররা মন্তব্য করে বলেন, বিগত পাঁচ বছর আমরা দেখেছি। যিনি জনপ্রতিনিধি ছিলেন সার্বক্ষনিক তার নিজের কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন। ওয়ার্ডবাসিকে সময় দেননি। এমনকি ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তাকে পেতে হলে আগে তার পিএসকে খুঁজে বের করতে হয়েছে।

ভোটাররা আরো অভিযোগ করেন, একজন জনপ্রতিনিধি জনগনের জানমালের নিরাপত্তার কাজে সহযোগিতা করবেন। কিন্তু সেই জনপ্রতিনিধিই যদি জনগনের পথের কাঁটা হয়ে দাড়ায় তবে আর কিছু থাকে না। বিগত দিনে যে জনপ্রতিনিধি ছিলেন তিনি মানুষের উপকারে কতটুকু কাজে এসেছে তা সবাই স্পস্ট করে বলতে না পারলেও হিন্দু জমি দখলে সহায়তা এবং সেখান থেকে পার্সেন্টিজ নেয়ার অভিযোগ তার বিরুদ্ধে রয়েছে। যে কারনে ওয়ার্ডটিতে বিপ্লবের প্রতিই আস্থা রাখছেন ভোটাররা।   

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT