স্ত্রী হত্যায় মুলাদীর বাসিন্দা স্বামীসহ ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড স্ত্রী হত্যায় মুলাদীর বাসিন্দা স্বামীসহ ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড - ajkerparibartan.com
স্ত্রী হত্যায় মুলাদীর বাসিন্দা স্বামীসহ ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

5:54 pm , July 18, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ মামলার হুমকি দেয়ায় স্ত্রীকে হত্যার অপরাধে স্বামী সহ ৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। এছাড়াও ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাস করে দন্ড দেয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার এ দন্ড দেন জননিরাপত্তা বিঘœকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মহসিনুল হক। দন্ডিতরা হলো মুলাদী চরসাহেব রামপুর গ্রামের বাসিন্দা জলিল সরদারের ছেলে আলমগীর সরদার, রফিজ উদ্দিনের ছেলে রিপন সরদার, উত্তর চর সেলিমপুর গ্রামের মোতাহার কাজীর ছেলে লিটন কাজী ও পশ্চিম উত্তর সেলিমপুর গ্রামের আব্দুল মান্নান হাওলাদারের ছেলে কামাল হাওলাদার। রায় ঘোষণার সময় কামাল পলাতক থাকলেও অপর ৩ জন উপস্থিত ছিলো। আদালতসূত্র জানায়, শাহনাজ চট্টগ্রামের একটি গার্মেন্টেসে চাকরী করতো। পরে শাহনাজের বান্ধবী ডালিয়ার চাচাতো ভাই কামালের মাধ্যমে আলমগীরের সাথে পরিচয় হয় তার। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠলে ২০১০ সালের ২২ জুলাই নিজের প্রথম স্ত্রী ও সন্তানের কথা গোপন রেখে শাহনাজকে বিয়ে করে আলমগীর। বিয়ের পরে তারা ঢাকায় বসবাস শুরু করে। এর কিছুদিন পর তাদের মধ্যে মনোমালিন্য হলে শাহনাজ তার পিতার বাড়ি মাদারীপুরের মৌলভীকান্দিতে যায়। পরে তার ছোট ভাইকে নিয়ে আলমগীরের বাড়ি এসে তার প্রথম বিয়ের খবর জানতে পারে। এতে শাহনাজ তাকে প্রতারণা করে বিয়ের কথা কামালকে জানিয়ে দন্ডিতদের নামে মামলার হুমকি দেয় এবং মাদারীপুর আইনজীবী বদিউজ্জামানের বাড়িতে কাজ শুরু করে। মামলার হুমকিতে আলমগীর তাকে নিয়ে ঘর করার জন্য আশ^স্ত করে। পরে ২০১১ সালের ২৭ অক্টোবর তাকে দেখা করার জন্য মুলাদীতে ডেকে নেয়। পরে মুলাদী চরসাহেবের লঞ্চঘাট থেকে তাকে নিয়ে দন্ডিতরা ট্রলারে ওঠে। সন্ধ্যা ৬টায় চরে নিয়ে দন্ডিতরা শ^াসরোধ করে তাকে হত্যা করে মুলাদীর ভুখা নদীতে ফেলে দেয়। পরেরদিন ২৮ অক্টোবর মুলাদী থানা পুলিশ নদীর পূর্ব পাড় থেকে শাহনাজের লাশ উদ্ধার করে। গায়ে আঘাতের চিহ্ন দেখে ঐ দিনই থানার এসআই উত্তম কুমার দাস বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করে। ২০১৩ সালের ২১ নভেম্বর স্বামী সহ দন্ডিত ৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট জমা দেয় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই নুরুল ইসলাম। মামলায় ৩৪ জনের মধ্যে ২৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক ঐ দন্ড দেন।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT