পুলিশ কর্মকর্তাসহ সদস্য লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় মামলা দায়ের পুলিশ কর্মকর্তাসহ সদস্য লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় মামলা দায়ের - ajkerparibartan.com
পুলিশ কর্মকর্তাসহ সদস্য লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় মামলা দায়ের

6:38 pm , July 16, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ নৌ-বন্দরে ঢাকা-বরিশাল রুটের সুন্দরবন-১১ লঞ্চে পুলিশ কর্মকর্তাসহ সদস্য লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। গত শনিবার সন্ধ্যার ওই ঘটনায় রোববার গভীর রাতে কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা করা হয়। মামলায় বাদী হয়েছেন থানার এসআই নিজাম মাহমুদ ফকির। সৈকত ইমরান নামে একজন নামধারীসহ ২৬ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বেআইনী জনতায় সরকারী কাজে বাঁধা, পুলিশ সদস্যকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর ও গুরুতর আহত করার অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, জন প্রশাসন মন্ত্রনায়লের সচিব ফয়েজ আহম্মেদ ও প্রধনমন্ত্রীর কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব সাজ্জাদুল হাসানকে বিদায় জানানোর জন্য শনিবার রাতে নৌ-বন্দরে সুন্দরবন ১১ লঞ্চে যান ডিআইজি শফিকুল ইসলাম (বিপিএম পিপিএম) ও পুলিশের কমিশনার (ভারপ্রাপ্ত) মাহফুজুর রহমান।

এ সময় তারা লঞ্চের ভিআইপ লাউঞ্জে প্রবেশ করেই দেখতে পায় দাড়িওয়ালা মধ্য বয়সী এক ব্যক্তি একটি অস্ত্র হাতে নিয়ে সোফার উপরে বসে আছে। এসময় ডিআইজি ও পুলিশ কমিশনার তাদের নিজেদের পরিচয় দিয়ে ভিআইপ লাউঞ্জে উপস্থিত ভিআইপি যাত্রী ব্যতীত অতিরিক্ত লোকজনকে সংরক্ষিত এলাকা ছেড়ে অন্যত্র যাওয়ার জন্য অনুরোধ করে এবং ভিআইপি লাউঞ্জে দুই সচিব আসার বিষয়ে অবহিত করেন। এ সময় পুলিশ কমিশনারের স্টাফ অফিসার সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার জাহিদুল ইসলাম নির্বাচন ও দুই সচিবের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে অস্ত্রধারী ওই ব্যক্তিকে অস্ত্রের লাইসেন্স দেখানোর জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু অস্ত্রধারী ওই ব্যক্তি তার অস্ত্রের লাইসেন্স না দেখাতে চাইলে পুলিশ কমিশনারের দেহরক্ষী কনষ্টেবল হাসিব ওই ব্যক্তিকে ভিআইপি লাউঞ্জ থেকে বাহিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অস্ত্রধারী ওই ব্যক্তির সাথে থাকা সৈকত ইমরান নামের এক ব্যক্তি কমিশনারের দেহরক্ষীর সাথে তর্ক-বিতর্কে জড়ায়। এক পর্যায়ে অস্ত্রধারী ব্যক্তি ও সৈকত ইমরান উত্তেজিত হয়ে তাদের সাথে থাকা সঙ্গীদের নিয়ে পুলিশ কনষ্টেবল হাসিবকে হত্যার উদ্দেশ্যে পথরোধ করে এলোপাতারী মারপিট করে। এ সময় পুলিশ কমিশনারের স্টাফ অফিসার সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার জাহিদুল ইসলাম তাদের থামাতে চেষ্টা করলে কনস্টেবলসহ তার উপর এলোপাতারীভাবে মারপিট করতে থাকে। এতে তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলা, ফুলা জখম হয়। তখন তারা নিজেদের পুলিশে লোক পরিচয় দিয়ে সরকারী নিরাপত্তার কাজে এসেছেন বলে তাদের জানান। পরিচয় দেয়ার পরেও অস্ত্রধারী ব্যক্তি ও তার সাথে থাকা সৈকত ইমরানসহ আরো ২০ থেকে ২৫ জনে মিলে তাদের উপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে অস্ত্রধারী ব্যক্তি তার অস্ত্র দিয়ে পুলিশ কমিশনারে স্টাফ অফিসার ও বডিগার্ড মোঃ হাসিবকে হত্যার উদ্ধেশ্যে গুলি করার চেষ্টা করে। পাশাপাশি পুলিশ কমিশনারের স্টাফ অফিসাকে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরনের চেষ্টা করে। এ সময় বিএমপি মিডিয়া বিভাগে কর্মরত কনস্টেবল ওবায়েদ ঘটনার ছবি তুলতে চাইলে তাকে মারপিট করে ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে এবং তাকে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে।

এক পর্যায়ে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে পুলিশ কমিশনার বিএমপি কন্ট্রোল রুমে জানালে মামলার বাদিসহ অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার দক্ষিন, কোতয়ালী মডেল থানার সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার অতিরিক্ত ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিয়ন্ত্রন করে। এসময় উলে¬খিত দুই সচিব লঞ্চে অবস্থান করলেও ভিআইপি লাউঞ্জে ঢুকতে পারেননি। পরে উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা উভয় সচিবকে ভিআইপ লাউঞ্জে নিয়ে যায়। তবে ঘটনাস্থলে থাকা প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, অস্ত্রধারী সৈকত ঢাকা দক্ষিন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম মুরাদ’র ব্যক্তিগত গানম্যান।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT