নগরীর ১১নং ওয়ার্ডে ঠেলাগাড়ির সমর্থককে পিটিয়ে আহত নগরীর ১১নং ওয়ার্ডে ঠেলাগাড়ির সমর্থককে পিটিয়ে আহত - ajkerparibartan.com
নগরীর ১১নং ওয়ার্ডে ঠেলাগাড়ির সমর্থককে পিটিয়ে আহত

6:08 pm , July 14, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ নগরীর ১১নং ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর প্রচারনায় বাঁধা, হামলা ও কর্মীদের মারধর অব্যাহত রয়েছে। প্রচারনা শুরুর দিন থেকে ওই কর্মকান্ড শুরু হয়। নির্বাচনী প্রচারনার শুরুর দিন প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী মারুফ আহম্মেদ জিয়ার প্রচার মাইক ভাংচুর ও তার কর্মী শুক্কুর আহম্মেদকে মারধর করে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মজিবরের লোকজন। এরপর থেকে প্রতিদিনই ঠেলাগাড়ী প্রতীকের প্রার্থী জিয়ার প্রচারনায় বাঁধা দেয়াসহ নানা কর্মকান্ডের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল শনিবারে ঠেলাগাড়ী প্রতীকের প্রার্থী জিয়া ও তার কর্মীদের প্রচারনায় বাঁধা দেয়। খবর পেয়ে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে নির্বাচনী ভ্রাম্যমান আদালত গিয়ে তাদের প্রচারনা নির্বিঘœ করে। তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করার পরেই ঘুড়ি প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকদের মারধর করেছে মজিবর রহমান ও তার দুই ভাই। বিষয়টি আড়াল করতে প্রার্থী জিয়া ও তার কর্মীদের বিরুদ্ধে ওয়ার্ড যুবলীগের কার্যালয় ভাংচুরের মিথ্যা অভিযোগ এনে তাদের অনুসারী নারীদের নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে।

হামলা ও মারধরের শিকার ফুটবলার হলেন ওয়ার্ডের চরের বাড়ি এলাকার বাসিন্দা আলহাজ্ব মো. সামসুল হক। তিনি জানান, বিকেলে ষ্টেডিয়াম সংলগ্ন মাদ্রাসা সড়কে ঠেলাগাড়ী প্রতীকের পক্ষে প্রচারনা করার জন্য যান। তারা ওই এলাকায় পৌছানোর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী মজিবরের স্ত্রী ও কয়েক নারী এসে উপস্থিত হয়। জিয়ার ঠেলাগাড়ী প্রতীকে ভোট প্রার্থনার জন্য যে বাসায় যান, সেখানে গিয়ে তারা হাজির হয়। ভোটারদের সাথে কুশল বিনিময় করার সময় মজিবরের স্ত্রী ও নারী অনুসারীরা নানা শ্লোগান শুরু করে। প্রচারকাজে বাধা দেয়ার খবর পেয়ে নির্বাচনী ভ্রাম্যমান আদালত সেখানে গেলে মজিবরের স্ত্রী ও তার অনুসারী নারাীরা ঘটনাস্থল থেকে সরে যায়। ভ্রাম্যমান আদালত চলে যাওয়ার পর মাদ্রাসার সামনে আসে প্রার্থী মজিবর, তার ভাই ইমন ও মামুনসহ কয়েকজন।

ফুটবলার সামসুল হক বলেন, নির্বাচনী প্রচারনা শেষ করে প্রার্র্থী জিয়াকে পাঠিয়ে দিয়ে তিনি মাদ্রাসার সামনে ছিলেন। তখন আকস্মিকভাবে মজিবর, তার ভাই ইমন, মামুন, ফারুক, জাহাঙ্গীর, রাকিব, রাব্বি, খোকন, আল আমিন ও বাশারসহ ক্যাডাররা এসে হামলা করে। তারা বেধরকভাবে তাকে মারধরে তিনি সড়কে পড়ে প্রায় অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তখন এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। এই ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। কোতয়ালী মডেল থানা জানিয়েছে, উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা না এলে বিষয়টি জিডি না অভিযোগ হিসেবে নেয়া হবে তা জানানো যাবে।

এদিকে যুবলীগের ওয়ার্ড কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ এনে নগরীতে ১১নং ওয়ার্ডের বস্তিবাসী। তাদের দাবি, ঠেলাগাড়ি মার্কার লোকজন তাদের যুবলীগের অফিস ভাঙচুর করেছে। এ ব্যাপারে ঘুড়ি প্রতীকের প্রার্থীর ভাই ইমন জানায়, প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী জিয়ার পক্ষে শফিকুল আলম গুলজার, ফুটবলার সামসুল হক, তার ভাতিজা রাজু, সাগরসহ কয়েকজন ওয়ার্ড যুবলীগের কার্যালয়ে হামলা ভাংচুর করেছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে। তবে এর সত্যতা পাওয়া যায়নি।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT