5:55 pm , July 13, 2018
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ ভয়াবহ বিদ্যুৎ সংকটে বরিশাল। চাহিদার একভাগেরও কম পরিমাণ বিদ্যুৎ নিয়ে চলছে সরবরাহ ব্যবস্থা। জাতীয় গ্রিড থেকে ওই এক ভাগের কম বিদ্যুৎ পেলেও ভোলার গ্যাস বিদ্যুৎ কেন্দ্র বেসরকারি বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান সামিট পাওয়ার থেকে নির্ধারিত সামান্য পরিমাণে পাওয়া যাচ্ছে না। এ কারণে বিদ্যুতের সংকট সৃষ্টি হয়েছে।
এমন তথ্য জানিয়ে বিদ্যুৎ বিভাগ সংশ্লিষ্টরা জানান, জাতীয় গ্রিড থেকে প্রাপ্ত বিদ্যুৎ দিয়ে ঘনঘন লোডশেডিং এর মাধ্যমে নগরীর বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। নগরীর আশপাশে উপজেলাগুলোতে এই সমস্যা আরও ভয়াবহ। সেখানে সন্ধ্যার পর পিক আওয়ারে সামান্য পরিমাণ বিদ্যুৎ সরবরাহ করা দুরূহ হয়ে পড়েছে। সন্ধ্যার পর মফস্বল এলাকা গুলো প্রায় অন্ধকার ছিল।
এদিকে নগরীতে শুধু ঘনঘন লোডশেডিং এর সাথে আকস্মিকভাবে লো ভোল্টেজের নেমে যাওয়ায় ভোগান্তি চরমে উঠেছে। এতে ইলেকট্রনিক্স পণ্য সামগ্রী বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। গতকাল শুক্রবার বন্ধের দিন এ সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করে। বিদ্যুৎ বিভাগ জানিয়েছে, বন্ধের দিন ছোটখাটো ত্রুটি-বিচ্যুতি মেরামতের কারণে এমন সমস্যা হয়। এটা স্থায়ী কোনো সমস্যা নয়। তবে বরিশালে জাতীয় গ্রিড সহ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান থেকে বিদ্যুৎ প্রাপ্তি সামনের দিকে কম আসার সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে নগরবাসী শিকার হবে ঘরে ঘরে লোডশেডিংয়ের।
গতকাল বন্ধের দিন হওয়া সত্ত্বেও নগরীর বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের সমস্যা দেখা দেয়। সকাল থেকেই দিনের বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন এলাকায় চলছে লোডশেডিং। এর বাইরেও যে সময়টা ছিল তাতেও দেখা দিয়েছে লো ভোল্টেজ। এর কারণে অনেক বৈদ্যুতিক পণ্যের সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায় চাহিদা অনুযায়ী জাতীয় গ্রিড থেকে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ না পাওয়ায় এ ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। বরিশাল নগরীতে লোডশেডিং মুক্ত রাখতে যে পরিমাণ বিদ্যুতের প্রয়োজন তার যোগান দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। বরিশাল শহরে চাহিদা রয়েছে ১০০ মেগাওয়াট। এদিকে জাতীয় গ্রিড থেকে পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৩০ মেগাওয়াট। এছাড়াও ভোলা গ্যাস বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও সামিট পাওয়ার থেকে চাহিদা অনুযায়ী পাওয়া যাচ্ছে না। ভোলা গ্যাস বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে সামান্য কিছু বিদ্যুৎ পাওয়া গেলেও সামিট পাওয়ার থেকে কোনো বিদ্যুৎ দেয়া হচ্ছে না। যার কারণে লোডশেডিং ও বিদ্যুৎ লো ভোল্টেজে নেমে যাওয়ার পরিমাণ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সঠিকভাবে বিদ্যুতের যোগান না দেয়া হলে এই সমস্যা আরো তীব্র আকার ধারণ করতে পারে বলেও জানানো হয়।
অপরদিকে বন্ধের দিনে এমন সমস্যার কারণ উল্লেখ করে জানান, অফিসসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান খোলা থাকার দিনগুলোতে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ছোটখাটো সমস্যা গুলো সংযোগ বন্ধ করে করা সম্ভব হয় না। যার কারণে বন্ধের দিনে এই কাজগুলো করতে হয়। নাহলে বিদ্যুৎ বন্ধ থাকার কারণে প্রতিষ্ঠানগুলো বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।