5:53 pm , July 13, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ অবশেষে আইনী লড়াইয়ের মাধ্যমে প্রার্থীতা ফিরে পেলেন জাতীয় পার্টির বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থী বশির আহমেদ ঝুনু। উচ্চ আদালতের নির্দেশে বিভাগীয় কমিশনার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা তাকে প্রার্থীতা ফিরিয়ে দিয়েছেন। এমনকি গতকাল শুক্রবার বিকালে বশির আহমেদ ঝুনুকে তার নির্বাচনী প্রতীকও বরাদ্দ দিয়েছে রিটার্নিং কর্মকর্তা। এই নির্বাচনে নিজের পছন্দ অনুযায়ী হরিণ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ঝুনু। সে অনুযায়ী প্রতীক পাওয়ার পর পরই প্রচার-প্রচারনায় নেমে পড়েছেন তিনি। হরিণ প্রতীকের পক্ষে ভোট চাইতে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটছেন তার কর্মী-সমর্থকরাও।
গতকাল শুক্রবার বিকালে বরিশাল জেলা নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে নির্বাচনী প্রতীক পাওয়ার পরে এক প্রতিক্রিয়ায় বশির আহমেদ ঝুনু বলেন, সামান্য ত্রুটি’র কারনে নির্বাচন কর্তৃপক্ষ এমনকি আপীল কর্তৃপক্ষ আমার মনোনয়নপত্র বাতিল করেছিলেন। আমি তাদের সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করেছি। আদালত সার্বিক দিক বিবেচনা করে আমার মনোনয়নপত্রের বৈধতা দিয়েছে। এমনকি ৩০ জুলাই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য নির্বাচন কমিশন সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর কর্তৃপক্ষকে আমার নির্বাচানী প্রতীক দেয়ার জন্য বলেছেন।
তিনি বলেন, আইনী লড়াইয়ের মাধ্যমে আমি আমার প্রার্থীতা ফিরে পেয়েছে। এটি আমার বিজয়। তাই নির্বাচনে বিজয়ের বিষয়েও আমি আশাবাদী। আমি মানুষের উন্নয়নে কাজ করতে চাই। অবহেলিত জনগোষ্ঠির হয়ে কাজ করতে চাই। মাদক, সন্ত্রাস, অনিয়ম এবং দুর্নীতি মুক্ত নারী ও শিশু বান্ধব একটি পরিকল্পিত মহানগরী গড়ে তুলতে চাই। সে জন্য জনগনের সহযোগিতা প্রয়োজন। আমার বিশ্বাস উন্নয়নের সার্থে বরিশালের জনগনের সুচিন্তি রায় আমার পক্ষেই থাকবে।
উল্লেখ্য, বশির আহমেদ ঝুনু বরিশাল সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও বরিশাল জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি জাতীয় পার্টির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। এছাড়া একটি মানবাধিকার সংগঠনের সভাপতিও তিনি। আসন্ন ৩০ জুলাই বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন তিনি। কিন্তু দলের হাইকমান্ড ইকবাল হোসেন তাপসকে দলীয় মনোনয়ন দেন। তার পরেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহনের জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করেন ঝুনু। সমর্থক ভোটার তালিকায় এক ভোটারের সাক্ষর জাল এবং অপর এক ভোটারকে খুঁজে না পাওয়ার অজুহাতে বশির আহমেদ ঝুনু’র মনোনয়নপত্রটি বাতিল করে বিসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং বিভাগীয় কমিশনার। এরপর তিনি ওই আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনে রীট করেন। বশির আহমেদ ঝুনু স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেও তাকে জাতীয় পার্টির বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবেই দেখছেন ভোটাররা। প্রার্থীতা ফিরে পেয়ে ঝুনু’র নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশ নেয়ায় জাতীয় পার্টি মনোনিত প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস’র ভোটের রাজনীতিতে প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন দলীয় নেতা-কর্মীরা।