6:25 pm , July 12, 2018
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ চার্জশীট থেকে মামলার ধারা কমিয়ে দেয়ার শর্তে বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশের দুই সদস্যর বিরুদ্ধে ঘুষ দাবীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় গতকাল গতকালওই মামলার ৪ নম্বর আসামী মাওলানা কামাল হোসেন বরিশাল মেট্রোপলিটন কমিশনার বরাবর একটি অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদ্বয় হলেন- কোতয়ালী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) দীপায়ন ও কনস্টেবল সুশান্ত। অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাতে ঐ দুই পুলিশ সদস্যকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে তাদেরকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে বলে মডেল থানার ওসি শাহ মো. আওলাদ হোসেন নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে অভিযোগকারী মাওলানা কামাল হোসেন বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে কোতয়ালী মডেল থানায় একটি মারামারির মামলা রয়েছে। যার নম্বর-৬৯। ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন এসআই দীপায়ন। গত ৫ জুলাই এসআই দীপায়নকে আমি ফোন দিয়ে মামলার চার্জশীট হয়েছে কিনা জানতে চাই। তখন এসআই দীপায়ন আমাকে জানায়, আমিসহ ৬জনের বিরুদ্ধে চার্জশীট দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপর থানার বকশি কনস্টেবল সুশান্তের কাছে ফোন দিয়ে আমি চার্জশীটের কপি চাই। তখন বকশি সুশান্ত আমার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার ধারা কমিয়ে দেয়ার প্রস্তাব দিয়ে সরাসরি দেখা করতে বলে। সুশান্তের কথা মত ১১ জুলাই আমি তার সাথে নগরীর পুলিশ লাইন্সের সামনে একটি রেস্টুরেন্টে দেখা করি। তখন সে ফোনের মাধ্যমে এসআই দীপায়নের সাথে আমায় কথা বলিয়ে দেয়। একটু পরেই বকশি সুশান্ত, এসআই দীপায়নকে ১০ হাজার দিতে হবে বলে জানায়। কামাল হোসেন বলেন, পরে জানতে পারি ওই মামলার চার্জশীট আগেই দেয়া হয়ে গিয়েছে এবং এসআই দীপায়নের কথা মত কনস্টেবল সুশান্ত আমার কাছে টাকা নিতে আসে। এই বিষয়ে আমি পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযোগ দিয়েছি। তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়ে।
এই বিষয়ে কোতয়ালী মডেল থানার এসআই দীপায়নকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। বিষয়টি সম্পর্কে কোতয়ালী মডেল থানার ওসি বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রাথমিকভাবে তাদের পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।