6:54 pm , April 23, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বিএম কলেজের বনমালী গাঙ্গুলী ছাত্রী নিবাস থেকে কথিত ছাত্রলীগ নেত্রী ফারজানা আক্তার ঝুমুরকে স্থায়ীভাবে বহিস্কারের দাবীতে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার দ্বিতীয় দফায় কলেজ অধ্যক্ষ’র কাছে স্মারকলিপি দেয় সাধারন ছাত্রীরা।
বনমালী গাঙ্গুলী সাধারন ছাত্রীদের পক্ষে ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে দেয়া স্মারকলিপিতে কথিত ছাত্রলীগ নেত্রী ঝুমুরের নানা অপকর্মের ফিরিস্তি তুলে ধরা হয়েছে। বিএম কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ঝুমুর ছাত্রী নিবাসের দুই নং ভবনের ১০০০(এ) কক্ষে বাস করতো।
অভিযোগে তারা উল্লেখ করেছে, ঝুমুর গত ৩ বছর ধরে বনমালী গাঙ্গুলী ছাত্রী নিবাসের সিনিয়র ছাত্রীদেরও মারধর করেছে। শিক্ষক বিপ্লব কুমার ভট্টাচার্য ছাত্রী নিবাসের সুপার’র দায়িত্বে থাকার সময় ঝুমুরকে বহিস্কার করেছিলেন। পরে কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটানোর মুচলেকা দিয়ে ছাত্রী নিবাসে ঠাই পেয়েছে ঝুমুর।
অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, গত ১ জানুয়ারী ২নং ভবনের ছাত্রী ঐশীকে ঘুমন্ত অবস্থায় বেধড়কভাবে মারধর করে। পরে তাকে ছাত্রী নিবাস থেকে বের করে দেয়া হয়। গত ১৯ মার্চ একই ভবনের অপর আবাসিক ছাত্রী শারমিনকেও বেধড়ক মারধর করে ঝুমুর। সর্বশেষ গত ২০ এপ্রিল দুই ছাত্রী জান্নাত ও ইভা শিকদারকে মারধরের হুমকি দেয় সে। তাই আবাসিক ছাত্রীরা রোববার কলেজের অধ্যক্ষ’র কাছে স্মারকলিপি দেয়। স্মারকলিপিতে ঝুমুরের বিরুদ্ধে ইয়াবা বিক্রি ও ওই সকল ঘটনা তুলে ধরে বহিষ্কারের দাবী জানানো হয়। বিষয়টি ঝুমুর জানতে পেরে স্মারকলিপি দেয়া ছাত্রীদের চড় থাপ্পর দেয়। একপর্যায়ে সাধারণ ছাত্রীরা পুনরায় জোটবদ্ধ হয়ে ঝুমুরকে গণধোলাই দেয়। এর পাশাপাশি ঝুমুরের রুমে থাকা আসবাবপত্র মূল সড়কে এনে পুড়ে ফেলে। এছাড়াও ছাত্রীরা সড়কে এসে বিক্ষোভ করে। এ সময় বেশ কিছুক্ষণ সড়কে যান চলাচলও বন্ধ ছিল।পরবর্তীতে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। গতকাল সকালে ঝুমুর হলে এসে দারোয়ান ও ছাত্রী জান্নাতকে গালগাল করে। তাই তার অত্যাচার নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষায় দ্বিতীয় দফায় কলেজের অধ্যক্ষ বরাবর উপাধ্যক্ষ স্বপন কুমার পালের মাধ্যমে স্মারকলিপি দেয়া হয়। অধ্যক্ষ স্মারকলিপি গ্রহন করে বিষয়টি বিবেচনা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।