জমে উঠছে নির্বাচনী প্রচারনা ॥ ভোট প্রার্থনায় ব্যস্ত প্রার্থী-কর্র্মীরা জমে উঠছে নির্বাচনী প্রচারনা ॥ ভোট প্রার্থনায় ব্যস্ত প্রার্থী-কর্র্মীরা - ajkerparibartan.com
জমে উঠছে নির্বাচনী প্রচারনা ॥ ভোট প্রার্থনায় ব্যস্ত প্রার্থী-কর্র্মীরা

6:13 pm , July 11, 2018

রুবেল খান ॥ আসন্ন বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের প্রর্তীক বরাদ্দের পর থেকেই ব্যস্ত সময় পার করছে প্রার্থীরা। আনুষ্ঠানিক প্রচার প্রচারণা শুরুর দ্বিতীয় দিন সকাল থেকেই গনসংযোগে নেমে পড়েন আওয়ামীলীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টি সহ ছয় দলের মেয়র প্রার্থীরা। থেমে নেই কাউন্সিলর প্রার্থীরাও। ভোটারদের ঘুম ভাঙার আগে তাদের দরজায় কড়া নাড়ছেন প্রার্থী ও তাদের কর্মী সমর্থকরা। ভোটারদের হাতে প্রার্থীদের ছবি ও প্রতীক সম্বলিত লিফলেট তুলে দিয়ে নিজ নিজ নির্বাচনী প্রতীকে ভোট ও প্রার্থীদের জন্য দোয়া চাইছেন তারা। পাশাপাশি মাইকিং এর শব্দে নির্বাচনী আমেজ ছড়িয়ে পড়ছে ভোটারদের মাঝে। আওয়ামী লীগ সহ ৫টি দলের প্রার্থীরা উন্নয়নের শ্লোগান দিয়ে ভোট চাইলেও ব্যতিক্রম প্রচারনা চালাচ্ছে বিএনপি। উন্নয়নের পাশাপাশি মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করে দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেয়ার ঘোষণা দিচ্ছেন বিএনপি’র মেয়র প্রার্থী ও তার কর্মী সমর্থকরা।
অবশ্য প্রচার প্রচারণার মাঠে মেয়র এবং কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের অভিযোগের শেষ নেই। বিশেষ করে নৌকা প্রতীকের পক্ষে সরকার দলীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘণের অভিযোগও মেয়র পদে নির্বাচনী মাঠে থাকা বিএনপি সহ পাঁচ দলীয় প্রার্থীর।
সূত্রমতে ৩০ জুলাই বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোটের লড়াইকে সামনে রেখে ১০ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে প্রার্থীদের আনুষ্ঠানিক প্রচার প্রচারনা। ওইদিন বেলা ১২টার পরে মেয়র প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রতীক পাওয়ায় প্রচার প্রচারণা শুরু করতে সময় বিলম্বিত হয় প্রার্থীদের। বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র প্রার্থী বেলা ১২টার পর পরই আনুষ্ঠানিক প্রচার প্রচারনা শুরু করলেও সন্ধ্যার পরে আনুষ্ঠানিক প্রচারনা শুরু হয় আওয়ামী লীগের প্রার্থীর। এর বাইরে বামপন্থি রাজনৈতিক সংগঠন বাসদ ও সিপিবি’র মেয়র প্রার্থী’র আনুষ্ঠানিক প্রচার প্রচারনা শুরু হয়েছে গতকাল বুধবার সকাল থেকে।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, অনেক আগে থেকেই প্রচার প্রচারনায় এগিয়ে আছে ক্ষমতাসিন আওয়ামী লীগ দলীয় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠানিক প্রচারনা শুরু করা সাদিক আবদুল্লাহ প্রচারনার দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ গতকাল বুধবার সকাল সকালই প্রচারনায় নেমে পড়েন। ‘আমরাই গরবো আগামীর বরিশাল’ এই শ্লোগান নিয়ে প্রত্যন্ত এলাকার ভোটারদের কাছে ছুটে যান মেয়র প্রার্থী সাদিক আবদুল্লাহ ও তার নৌকা প্রতীকের কর্মী-সমর্থকরা। তারা পোষ্টার, লিফলেট ও স্টিকার নিয়ে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যান। ভোটের আগাম প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ভোটারদের কাছে পৌছে দেন সাদিক আবদুল্লার ছবি ও নৌকা প্রতীক সম্বলিত ভোট কেন্দ্রের পরিচিতিপত্র। সাদিক আবদুল্লাহ সহ তার নৌকা প্রতীকের কর্মী-সমর্থকরা বর্তমান সরকারের উন্নয়ন সম্পর্কে অবহিত করেন ভোটারদের। উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে সাদিক আবদুল্লাহ’র বিকল্প নেই জানিয়ে নৌকায় ভোট দাবী করেন সংশ্লিষ্টরা।
তাছাড়া নৌকার পক্ষে দিনভর বিভিন্ন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গণসংযোগ ছাড়াও কর্মী সভা করেছেন আওয়ামী লীগের দলীয় নেতারা। বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত ৩০, ১১ ও ১৬ নং ওয়ার্ডে নির্বাচনী উঠান বৈঠক করেছেন সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। তিনটি উঠান বৈঠকেই ভোটার ও সমর্থকদের বেশ সাড়া পড়ে। ভোটাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার উন্নয়নে বিশ্বাসী। মরহুম শওকত হোসেন হিরন যখন মেয়র ছিলেন তখন বরিশাল সিটিতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। কারন তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের মেয়র। কিন্তু গত পাঁচ বছরে কি উন্নয়ন হয়েছে তার প্রমান নগরবাসি। তাই শান্তি ও উন্নয়নের জন্য ৩০ জুলাই ভোট কেন্দ্রে গিয়ে নৌকা মার্কায় ভোট চান সাদিক আবদুল্লাহ।
নগরীর মল্লিক রোডে গনসংযোগ কালে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ বলেন, নগরীতে বেকারত্ব নিরসনের জন্য আমি কাজ করব। এটাই আমার প্রধান উদ্দেশ্যে। তাছাড়া তরুণদের জন্য ডিজিটালভাবে নানা ধরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এর বাইরে আমার নিজের ব্যক্তিগত কোন ইশতেহার নেই। জনগনের চাওয়া পাওয়াই হবে আমার নির্বাচনের ইশতেহার।
এদিকে গতকাল বুধবার সকাল ১১টায় নগরীর জেলখানার মোড় থেকে দ্বিতীয় দিনের নির্বাচনী প্রচারনা শুরু করেন বিএনপি ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী আলহাজ্ব এ্যাড. মজিরব রহমান সরওয়ার। জেলখানার মোড় এলাকার ওষুধ ব্যবসায়ী, স্টেশনারী ও ফলের দোকান সহ অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে, রিক্সা, অটো রিক্সা ও ভ্যান চালকদের কাছে ধানের শীষে ভোট চান। সেই সাথে আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির কথা তুলে ধরে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান। শুধু জেলখানার মোড়ই নয়, নগরীর সদর রোড, গির্জা মহল্লা ও পোর্ট রোড এলাকায় দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে গণসংযোগ করেন মজিবর রহমান সরওয়ার।
গণসংযোগকালে মজিবর রহমান সরওয়ার অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা আমার কর্মী সমর্থকদের বিভিন্ন ভাবে প্রচার প্রচারণায় বাঁধা ও হুমকি-ধামকী দিচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে সরওয়ার বলেন, নির্বাচনে টুকিটাকি সমস্যা হবে। এ নিয়ে আমরা মাথা ঘামাচ্ছি না। এখন পর্যন্ত তেমন বড় কোন সমস্যা হয়নি। তবে বিভিন্ন কারনে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শংকা প্রকাশ করেন বিএনপি’র এই মেয়র প্রার্থী বলেন, সুষ্ঠু ভোট হলে জনগন বিএনপিকেই ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবে।
অপরদিকে নগরীর কাশিপুর এলাকায় দ্বিতীয় দিনের গণসংযোগ শুরু করেন জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী মো. ইকবাল হোসেন তাপস। ওই এলাকার ব্যবসায়ী, পথচারীদের কাছে লাঙল প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেন তিনি। এছাড়া গণসংযোগ করেছেন বাজার রোড ও রসুলপুর চর কলোনীতে। এসময় তিনি জাতীয় পার্টির আমলে বরিশালে হওয়া বিভিন্ন উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেন। টেকশই-মজবুত উন্নয়নের লক্ষ্যে লাঙল প্রতীকে ভোট দিয়ে তাকে জয়যুক্ত করার দাবী জানান তাপস।
নির্বাচন নিয়ে আশংকা প্রকাশ করে মেয়র প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস বলেন, নির্বাচনী প্রচারণার দ্বিতীয় দিনে এখন পর্যন্ত কিছু হয়নি। তাছাড়া নির্বাচনে কিছু সমস্যা হবেই। সেই সমস্যাগুলো অতিক্রম করে আমরা নির্বাচনে জয়ী হব।
তিনি আরো বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই পতাকাবাহী একটি গাড়ি বরিশালে ঘোরাঘুরি করছে। গাড়িতে যিনি থাকছেন তিনি মন্ত্রী পদমর্যাদার একজন ব্যক্তি। তিনি একটি বিশেষ উদ্দেশ্যে নিয়েই বরিশালে রয়েছেন। কেননা তার ছেলে এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী। তিনি মন্ত্রী, তাই সারা বাংলাদেশেই ঘুরবেন এটা স্বাভাবিক। কিন্তু আমি মনে করি নির্বাচনকালীন সময় তিনি বরিশালে না থাকলে আমাদের জন্য ভালো হবে। তাই বিষয়টির দিকে দৃশ্য দিতে নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিটক দাবী জানান এই প্রার্থী।
এদিকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী অধ্যক্ষ মাওলানা ওবায়দুর রহমান মাহবুব বিকেল ৩টায় সাগরদী বাজার এলাকা থেকে গনসংযোগ শুরু করেন। তার পক্ষে প্রচার প্রচারনা চালিয়েছেন চরমোনাই’র পীরে কামেল, ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমীর ও বরিশাল মহানগরের সভাপতি মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। এছাড়া বাদ জোহর নগরীর নাজিরের পুল এলাকায় গণসংযোগ করেন মেয়র প্রার্থী ওবায়দুর রহমান মাহবুব। তাছাড়া বিকাল ৫টায় সাগরদী আলিয়া মাদ্রাসার সামনে নির্বাচনী পথসভায় বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ’র কেন্দ্রীয় সভাপতি আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী।
পথসভায় মেয়র প্রার্থী ওবায়দুর রহমান মাহবুব বলেন, আমি দুর্নীতি ও দুর্দশাগ্রস্থ বরিশাল নগরবাসীকে একটি মডেল সিটি উপহার দিতে চাই। যেখানে সন্ত্রাস-দুর্নীতি-চাঁদাবাজ ও পার্সেন্টিসজীবীগণ নেতৃত্বে থাকবেনা। আর নগরবাসী এমন একজন ব্যক্তিকেই মেয়র হিসেবে দেখতে চায়। তাই আমি আশাবাদী যে সর্বস্তরের বরিশালবাসী আমাকেই নির্বাচিত করবে ইনশাআল্লাহ।
অপরদিকে গতকাল মঙ্গলবার প্রচার প্রচারনার দ্বিতীয় দিনে আনুষ্ঠানিক প্রচারনা শুরু করেন বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাস) এর ‘মই’ প্রতীকের প্রার্থী ডা. মনিষা চক্রবর্তী। সকালে নগরীর ফকিরবাড়ি রোডে বাসদ’র দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে প্রচারনার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় তার। অবশ্য প্রতীক পাওয়ার পর মঙ্গলবার তিনি চৌমাথা এলাকায় পথসভাও করেছেন বলে জানাগেছে। প্রচারনা শুরুর দ্বিতীয় দিন সকাল থেকে ফকিরবাড়ি রোড ছাড়াও সদর রোড সহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে সাধারণ মানুষের হাতে লিফলেট তুলে দিয়ে ভোট চান ডা. মনীষা চক্রবর্তী।
গনসংযোগকালে মনিষা চক্রবর্তী অভিযোগ করে বলেন, সরকারি দল আচরণবিধি লংঘন করছে। বস্তি ও শ্রমিক এলাকাগুলোতে প্রভাবশালী দলের লোকজন দাপট দেখাচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী’র বাবা আলহাজ্ব আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ-এমপি একজন মন্ত্রীর পদমর্যাদা প্রাপ্তই নন, যিনি দক্ষিণ বঙ্গের অন্যতম একজন ক্ষমতাধর ব্যক্তি। তিনি নির্বাচনী এলাকায় স্ব-শরীরে অবস্থান করে প্রচার প্রচারনা করছেন। অথচ সিটি নির্বাচনী গেজেট অনুযায়ী মন্ত্রী ও এমপিদের নির্বাচনী এলাকায় প্রচার প্রচারনা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেখানে তিনি এখনও বরিশালে অবস্থান করছেন। বিষয়টি আমরা নির্বাচন কমিশনে মৌখিক ভাবে জানিয়েছি। এমনকি লিখিত অভিযোগ করবেন বলেও জানিয়েছেন বাসদ’র ওই প্রার্থী।
নির্বাচনের গনসংযোগের অংশ হিসেবে বেলা ১২ টায় বরিশাল নগরীর সদর রোডের অশ্বিনী কুমার হলের সামনে থেকে একটি মিছিল বের করে বাংলাদেশ কমিউনিষ্ট পার্টির কাস্তে প্রতীকের মেয়র প্রার্থী এ্যাডভোকেট একে আজাদ। মিছিলটি সদর রোড সহ তৎসংলগ্ন প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিলের সময় দলীয় নেতা-কর্মী এবং প্রার্থী নিজেই নির্বাচনী লিফলেট ভোটার এবং শ্রমজীবী মানুষের হাতে তুলে দেন। তাদের মূল্যবান ভোট প্রার্থনা করেন।
এদিকে বিএনপি, জাতীয় পার্টি এবং বাসদ সহ অন্যান্য দলের প্রার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ বলেন, আমরা যানি অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে। জনগন উন্নয়নের সাথে নৌকায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবে জানিয়ে তিনি বলেন, যেসব অভিযোগ তোলা হয়েছে তা ভিত্তিহিন। এরকম কোনো ঘটনা ঘটলে সেটা সবার আগে সাংবাদিকরাই জানবে। সেরকম যদি কোনো খবর পেয়ে থাকেন তাবে তার প্রমান দিতে অনুরোধ করেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী সাদিক আবদুল্লাহ।
এদিকে প্রচারনার দ্বিতীয় দিনে মেয়র এবং কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রচার প্রচারনায় সরব হয়ে উঠেছে গোট নগরী। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দল বেঁধে প্রার্থীদের কর্মী সমর্থকরা লিফলেট হাতে ছুটছেন ভোটারদের কাছে। স্ব স্ব প্রার্থীর পক্ষে ভোট নিশ্চিত করতে বিভিন্ন আশ্বাসের বাণী শোনাচ্ছেন ভোটারদের। বিকাল হতেই মাইকের শব্দে মুখর হয় নির্বাচনী এলাকা। সব মিলিয়ে আসন্ন বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের প্রচার প্রচারনা জমে উঠছে বলে দাবী নগরবাসির।
উল্লেখ্য, আসন্ন ৩০ জুলাই বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে ৬ জন এবং কাউন্সিলর পদে ১২৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যার মধ্যে সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীর সংখ্যা ৩৫ জন। এবার বরিশাল সিটিতে মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৪২ হাজার ১৬৬ জন। এসংখ্যক ভোটারদের ভোট গ্রহনের জন্য কেন্দ্রের সংখ্যা ১২৩টি। যার মধ্যে ১০টি কেন্দ্রে ইভিএম পদ্ধতি থাকবে বলে জানিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT