6:24 pm , July 10, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ প্রতীক বরাদ্দের সাথে সাথেই নগরীতে শুরু হয়ে গেছে নির্বাচনী সহিংসতা। এক প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা হামলা চালাচ্ছে অপর প্রার্থী’র কর্মী সমর্থকদের উপর। ভাংচুর করছে প্রচার মাইক। গতকাল মঙ্গলবার প্রচার প্রচারনা শুরুর প্রথম দিনেই নগরীর ১১নং ওয়ার্ড থেকে নির্বাচনী সহিংসতা শুরু হয়েছে। ওই ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী মারুফ হোসেন জিয়া’র কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা চালিয়েছে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী ও বর্তমান কাউন্সিলর মো. মজিবর রহমান’র কর্মী সমর্থকরা। এ সময় তারা মারুফ হোসেন জিয়ার কর্মী শুক্কুরকে বেধড়ক মারধর এবং প্রচার মাইক ভাংচুর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত শুক্কুরকে শেবাচিম হাসপাতালের সার্জারী বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে ওই ঘটনায় আহত শুক্কুর নগরীর স্টেডিয়াম বা¯ুÍহারা কলোনির বাসিন্দা নেছার উদ্দিনের ছেলে।
আহত শুক্কুর জানান, তিনি ১১নং ওয়ার্ডে ঠেলাগাড়ী প্রতীকের কাউন্সিলর প্রার্থী যুবলীগ নেতা মারুফ হোসেন জিয়া’র পক্ষে চাঁদমারী মাদ্রাসা সড়কে নির্বাচনী প্রচার প্রচারনা শুরু করেন। প্রার্থী মারুফ হোসেন জিয়ার সামনে মাইক নিয়ে প্রচার শুরু করলে একই ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ও ঘুড়ি প্রতীকের প্রার্থী মো. মজিবর রহমান’র কর্মী সমর্থক বাস্তহারা কলোনীর মজিদের ছেলে ফারুক, করিমের ছেলে আল আমিন, নূরু’র ছেলে রাকিব, কালু’র ছেলে লিটু সহ ১০/১৫ জন মিলে বাঁধা দেয়। এক পর্যায় তারা লাঠিসোটা নিয়ে প্রচার গাড়ি এবং মাইকে হামলা ও ভাংচুর শুরু করে। বাঁধা দিতে গেলে ঠেলাগাড়ি প্রতীকের প্রার্থী’র কর্মী শুক্কুরকে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এই ঘটনায় আইনগত সহায়তা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন মারুফ হোসেন জিয়া।